-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
উপমহাদেশীয় শক্তির এই ছায়াময় রঙ্গমঞ্চে, যুদ্ধের শিল্পকে কূটনীতির নৈপুণ্য দ্বারা মসৃণ করতে হবে।
ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরের বছরগুলিতে কাশ্মীর উপত্যকায় আপাতভাবে যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেছিল, পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলা তা ভেঙে দিয়েছে। এই ট্র্যাজেডি শুধু কোনও অস্বাভাবিকতা নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করে এমন অন্তর্নিহিত অস্থিরতার একটি ভয়াবহ প্রমাণ। এটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যে, শান্ত থাকার পরেও কাশ্মীর পাকিস্তানি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার জন্য সংবেদনশীল।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক পুনর্গঠনের ফলে দৃশ্যত শান্ত অবস্থা শুরু হয়েছিল। বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি অক্ষত যুদ্ধবিরতির ফলে, এই অঞ্চলে বিদ্রোহী কার্যকলাপে লক্ষণীয় হ্রাস ঘটে। ‘একীকরণের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার’-এর ভারতের কূটনৈতিক বক্তব্য বিদেশে আকর্ষণ অর্জন করেছে, এবং বিনিয়োগকারী ও পর্যটকেরা সতর্কতার সঙ্গে উপত্যকায় পুনরায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে যে, এই ধরনের শান্তি দৃশ্যত বিশ্বাসযোগ্য হলেও তার মধ্যে কৌশলগত গভীরতার অভাব ছিল।
বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি অক্ষত যুদ্ধবিরতির ফলে, এই অঞ্চলে বিদ্রোহী কার্যকলাপে লক্ষণীয় হ্রাস ঘটেছে।
অতএব, পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতার দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত — লক্ষ্যগুলিকে সামর্থ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করা, আকাঙ্ক্ষাকে স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, এবং দীর্ঘমেয়াদি অগ্রাধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখা।
পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান হতাশা
কাশ্মীরে এই নতুন হিংস্রতার সময়কাল কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তীব্রতর রাজনৈতিক ঝড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ — একটি দেশ এখন এক সংকট থেকে অন্য সংকটে পড়ছে, এবং সামরিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা ভাসমান একটি ভঙ্গুর বেসামরিক ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক বৈধতার অপরিবর্তনীয় ক্ষয় কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে এবং রাওয়ালপিন্ডির হাতে ক্ষমতার আরও বেশি কেন্দ্রীকরণের দিকে পরিচালিত করেছে। এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা একটি অবনতিশীল অর্থনৈতিক দৃশ্যপট দ্বারা আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যার বৈশিষ্ট্য অ-বহনযোগ্য ঋণের বোঝা, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপ এবং আইএমএফ ও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা চিনের মতো কৌশলগত পৃষ্ঠপোষকদের উপর নির্ভরতা।
ইতিমধ্যে, নিজস্ব সীমান্তের মধ্যে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর ক্রমবর্ধমান সাহসিকতা এবং তীব্রতর বালোচ বিদ্রোহের মধ্যে প্রতিফলিত চরমপন্থী হিংস্রতার পুনরুত্থান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংহতির ছিন্নভিন্ন সুতোগুলিকে উন্মোচিত করেছে।
জেনারেল আসিম মুনির যখন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তার ঝড়ের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন দেশের ‘জুগুলার ভেন’ বা ‘শরীরের গুরুত্বপূর্ণ শিরা’ হিসাবে কাশ্মীরের পুনরুত্থান কোনও অলস মন্ত্র নয়। বরং, এটি রাজনৈতিক নাটকের একটি ইচ্ছাকৃত অঙ্ক — এক অসম্মানিত শাসক শ্রেণির অভিজাতদের থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন জনসাধারণের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি ভ্রান্ত বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার পুরনো প্রচেষ্টার পুনরুজ্জীবন।
গণতান্ত্রিক বৈধতার অপরিবর্তনীয় ক্ষয় কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে এবং রাওয়ালপিন্ডির হাতে ক্ষমতার আরও বেশি কেন্দ্রীকরণের দিকে পরিচালিত করেছে
এখানে, কাশ্মীর কেবল একটি কারণ নয়, বরং ক্ষমতার একটি উপকরণ: যা দেশে ভাঙা আনুগত্যকে একত্রিত করা এবং বিদেশে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সময়ের বিন্যাসে অপরিবর্তিত এবং ব্যর্থতার দ্বারা অনাহত এই স্থায়ী কৌশলটি পাকিস্তানের কৌশলগত মানসিকতার মধ্যে একটি গভীর অস্থিরতা প্রকাশ করে: পক্ষাঘাতকে ঢাকতে কল্পকাহিনীর উপর নির্ভরতা, এবং ক্ষয়কে ছদ্মবেশে লুকিয়ে রাখার জন্য প্রতীকবাদের উপর নির্ভরতা। এতে, শক্তি নয়, বরং হতাশার প্রতিফলন দেখা যায়। এ হল এক কমান্ড কাঠামোর শেষ আশ্রয়স্থল যা তার জনগণ এবং নিজস্ব উদ্দেশ্য উভয় থেকেই ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের ভারত সফরের সময় এই হতাশা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ওয়াশিংটন যখন নয়াদিল্লির সঙ্গে তার কৌশলগত সংযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছে, ঠিক তখনই এই ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পথ এখনও অনেক দূরে, যদিও বিশ্ব মঞ্চে এর দৃশ্যমানতা ম্লান হয়ে গিয়েছে।
প্রতিশোধ এবং এর ঝুঁকি
ভারত, তার পক্ষ থেকে, জরুরি ভিত্তিতে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি — যা দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতার মধ্যে সহযোগিতার একটি বিরল উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত — স্থগিত করে নয়াদিল্লি তার বিপদসীমা পুনর্নির্মাণের ইঙ্গিত দিয়েছে।
সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো প্রচলিত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বাইরে, এবার আরেকটি বিকল্প প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা হল বিশেষ করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং লস্কর-এ-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গি নেটওয়ার্কের উচ্চ স্তরের ব্যক্তিদের লক্ষ্যভিত্তিক হত্যা। নজরদারি ও হামলার ক্ষমতার অগ্রগতির কারণে এই ধরনের অভিযান এখন সম্ভব। আক্রমণের অভ্রান্ততা এবং ন্যূনতম শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে এগুলি কার্যকর করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কে দায়ী তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়, যা কৌশলগত প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
তবে, আক্রমণাত্মক কৌশলগুলি সহজাত ঝুঁকি বহন করে।
ভারতীয় সামরিক পদক্ষেপের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা যাই হোক না কেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া কার্যত অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে, ঠিক যেমনটি ২০১৯ সালে হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের কার্গিল সংঘাত থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলা পর্যন্ত ঐতিহাসিক রেকর্ড একটি গুরুতর বাস্তবতা তুলে ধরে: দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত উত্তেজনার রৈখিক অগ্রগতি হয় না, এবং প্রায়শই যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশাকে অস্বীকার করে। ২০১৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনী কর্তৃক একটি ভারতীয় মিগ-২১ ভূপাতিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে চিহ্নিত করেছে, যা একটি বৃহত্তর সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিশোধের অন্তর্নিহিত হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনকে জরুরি কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে, যা প্রকাশ করে যে আঞ্চলিক সংকটগুলি কতটা দ্রুত বিশ্ব শক্তিগুলিকে জড়িয়ে ফেলতে পারে। কাশ্মীর বিরোধের মধ্যস্থতার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তাৎক্ষণিক প্রস্তাব — যদিও শেষ পর্যন্ত অবাস্তব — উপমহাদেশের স্থায়ী কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পশ্চিমী শক্তিগুলির প্রায়শই সুবিধাবাদী সম্পৃক্ততার প্রতীক।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিশোধের অন্তর্নিহিত হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনকে জরুরি কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে, যা প্রকাশ করে যে আঞ্চলিক সংকটগুলি কতটা দ্রুত বিশ্ব শক্তিগুলিকে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
যদিও পশ্চিমীদের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রবণতা কমেছে, তবুও তা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়নি। আরও উল্লেখযোগ্যভাবে, চিনের আধিপত্যবাদের ক্রমবর্ধমান উত্থানের ফলে এর পশ্চাদপসরণও কিছুটা কমে গিয়েছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে তা কাটিয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক পুনর্বিন্যাসের পর, বেজিং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে আন্তর্জাতিকীকরণের দিকে এগিয়ে যায়। ২০২০ সালের মধ্যে, এটি আরও এগিয়ে যায়, বল প্রয়োগের মাধ্যমে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করে।
চিনের এই ভঙ্গির বিবর্তন আকস্মিক নয়; এটি তার বৃহত্তর কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং পাকিস্তানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তার ভূমিকা প্রতিফলিত করে। এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের রাশিয়া, চিন এমনকি পশ্চিমী শক্তিগুলিকে পহেলগাম গণহত্যার তদন্তের আহ্বান নতুন বা আশ্চর্যজনক নয়। এটি একটি পরিচিত কৌশল, যা কাশ্মীর বিরোধে বৈশ্বিক শক্তিগুলিকে টেনে আনার পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টার গভীরে প্রোথিত। ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার বৃহত্তর বিচ্ছিন্নতার কারণে চাপের মুখে থাকা বেজিং যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার নিজস্ব পরিবর্তনশীল সমীকরণ মোকাবিলা করছে, তখন দক্ষিণ এশিয়ার উপর তার হিসাব কৌশলগত সুযোগের উপর নির্ভরশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির আহ্বান শুধু প্রস্তুতিই নয়, বরং ভারতীয় প্রতিক্রিয়ার জন্য অধীর আগ্রহে প্রত্যাশার ইঙ্গিত দেয়, তা সে একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল হোক বা পুরোদস্তুর আক্রমণ। রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ উভয় জায়গা থেকে যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য বেরিয়ে আসছে, যার মধ্যে জলপ্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়াকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, তা যখন কোনও নিশ্চিত হুমকির অনুপস্থিতির সঙ্গে মিলিত হয়, তখন তা ফাঁকা বলে মনে হয়।
একটি টলমল পাকিস্তানি রাজনীতি, একটি বিভ্রান্ত পশ্চিম এবং আরবদের সম্মতি ভারতের জন্য আত্মরক্ষার লক্ষ্যে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের একটি আপাতদৃষ্ট অনুমতি তৈরি করে। তবুও এই আখ্যান যুদ্ধক্ষেত্রের অসামঞ্জস্যতা উপেক্ষা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার আবদ্ধ হয়ে যাওয়া থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। যুদ্ধ, যদি আসে, তা যুক্তিসঙ্গত লক্ষ্য থেকে মুক্ত হয়ে, তার নিজস্ব যুক্তির সঙ্গে আরও তীব্র হতে পারে। একটি সামরিক আঘাত রাজনৈতিক অবকাশ দিতে পারে, তবে এটি কৌশলগত বিপদকে আমন্ত্রণ জানানোর ঝুঁকি রাখে।
রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ উভয় জায়গা থেকে যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য বেরিয়ে আসছে, যার মধ্যে জলপ্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়াকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, তা যখন কোনও নিশ্চিত হুমকির অনুপস্থিতির সঙ্গে মিলিত হয়, তখন তা ফাঁকা বলে মনে হয়।
উত্তেজনা বৃদ্ধির কোরিয়োগ্রাফি
দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা এবং লাগামহীন উত্তেজনার বিপদের মধ্যে ভারত একটি জটিল কৌশলগত ধাঁধার মুখোমুখি। চ্যালেঞ্জটি শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত শক্তি ব্যবহার করে প্রতিশোধ নেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং উত্তেজনার কোরিয়োগ্রাফি আয়ত্ত করার মধ্যে রয়েছে: উদ্দেশ্যমূলকভাবে আঘাত করা, কিন্তু অভ্রান্ততার সঙ্গে থামানো।
নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ার কার্যকারিতা ত্রিমুখী বাধ্যবাধকতার উপর নির্ভর করবে — প্রথমত, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোর পদ্ধতিগত ধ্বংস; দ্বিতীয়ত, কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া রোধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহানুভূতিকে দক্ষভাবে ব্যবহার; এবং তৃতীয়ত, পাকিস্তানি রাজনীতির মধ্যে গভীর ফাটলের কৌশলগত শোষণ, যার দ্বন্দ্বগুলি একে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। উপমহাদেশীয় শক্তির এই ছায়াময় মঞ্চে যুদ্ধের শিল্পকে কূটনীতির নৈপুণ্য দিয়ে নিরস্ত করতে হবে।
ভারতের চ্যালেঞ্জ শুধু বলপ্রয়োগের মধ্যেই নয়, বরং ক্ষমতা ও নীতির সূক্ষ্ম ক্যালকুলাসের মধ্যেও রয়েছে। যা প্রয়োজন তা হল একটি তাৎক্ষণিক মানসিক প্রভাব তৈরি করার জন্য যথেষ্ট নাটকীয় প্রতিক্রিয়া, এবং সেইসঙ্গেই অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলির সমাধান শুরু করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আগাম প্রতিরোধ অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, কিন্তু একইসঙ্গে পরিবর্তনশীল সারিবদ্ধতার সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, যা নীরবে এবং অবিচলভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থাপত্যকে পুনর্গঠন করে।
এই ভাষ্যটি প্রথম দ্য প্রিন্ট -এ প্রকাশিত হয়েছিল।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Professor Harsh V. Pant is Vice President – Studies and Foreign Policy at Observer Research Foundation, New Delhi. He is a Professor of International Relations ...
Read More +Vinay Kaura PhD is Assistant Professor in the Department of International Affairs and Security Studies and Deputy Director of Centre for Peace &: Conflict Studies ...
Read More +