Author : Akshay Joshi

Published on May 21, 2025 Updated 0 Hours ago

পিএমএওয়াই-ইউ-এর অধীনে ভারতের ‘‌স্বস্থানে অবস্থিত’‌ বস্তি পুনর্নির্মাণ প্রকল্পটি কম বসবাস এবং স্থবির প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুঝতে হিমসিম খাচ্ছে। নতুন নীতি কৌশল কি এই ব্যবধান পূরণ করতে পারবে?

পিএমএওয়াই-ইউ-এর ‘স্বস্থানে অবস্থিত’ বস্তি পুনর্নির্মাণ প্রকল্প: একটি  বিশ্লেষণ

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-নগর (পিএমএওয়াই-ইউ) ২.০ অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে শহুরে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এক কোটি ঘর নির্মাণ করা। ‘‌ইন-সিটু’‌ বা ‘‌স্বস্থানে অবস্থিত’‌ বস্তি পুনর্বাসন (আইএসএসআর) ছিল পিএমএওয়াই-ইউ ১.০-এর একটি স্বাধীন প্রকল্পের উপাদান, যা বস্তিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদানের লক্ষ্যে জমিকে সম্পদ হিসাবে ব্যবহার করে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে। পিএমএওয়াই-ইউ ২.০-তে, সরকার সুবিধাভোগী নেতৃত্বাধীন নির্মাণ (বিএলসি) এবং অংশীদারিত্বে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন উপাদানের অধীনে আইএসএসআর অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকারের একটি নতুন নীতিগত পদ্ধতি বিবেচনা করে, আইএসএসআর-এর কর্মক্ষমতা এবং এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতাগুলি মোকাবিলায় সরকার কী কৌশল নিতে পারে তা বিশ্লেষণ করা প্রাসঙ্গিক।


যেহেতু ভারতের ৬০ শতাংশ বস্তি সরকারি জমিতে অবস্থিত, তাই এই প্রকল্পটি মানুষকে স্থানান্তরিত করার পরিবর্তে বিদ্যমান বস্তির স্থানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।



পিএমএওয়াই-ইউ ১.০-‌র অধীনে
আইএসএসআর-এর মূল লক্ষ্য ছিল বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে বস্তিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করা। যেহেতু ভারতের ৬০ শতাংশ বস্তি সরকারি জমিতে অবস্থিত, তাই এই প্রকল্পটি মানুষের স্থানান্তরের পরিবর্তে বিদ্যমান বস্তিতেই বসবাসকারীদের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। পুনর্নির্মাণকারী বেসরকারি সংস্থাগুলি অবশিষ্ট জমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। তা ছাড়া, সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলিকে প্রতি ইউনিট গড়ে ১ লক্ষ টাকা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল। বিনিময়ে, বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে আবাসন ইউনিট প্রদান করা হয়েছিল। কাগজে কলমে এই প্রকল্পটি প্রতিটি অংশীদারের জন্য একটি লাভজনক পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছিল। তবে, প্রকল্পের কার্যকারিতা একটি বিপরীত বাস্তবতা তুলে ধরেছিল।

সারণী ১: আইএসএসআর কর্মক্ষমতা

অনুমোদিত বাড়ি

 সুস্থিত

সম্পূর্ণ

দখলকৃত

২.৯৫ লক্ষ

২.২৬ লক্ষ

৭৭%

১.৬৩ লক্ষ

৫৫%

১.১০ লক্ষ

৩৭%

সূত্র: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক

পিএমএওয়াই-ইউ তথ্য অনুসারে, আইএসএসআর অংশে সবচেয়ে কম সংখ্যক বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এতে ২.৯৫ লক্ষ বাড়ি অনুমোদন করেছিল। বিস্ময়করভাবে ৬৩ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এবং অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে, যা প্রকল্পের সর্বোত্তমের চেয়ে কম স্তরের কর্মক্ষমতা তুলে ধরে। তবে, উপরের তথ্য প্রকল্পের অগ্রগতির একটি সামগ্রিক ধারণা প্রদান করে না। ২.৯৫ লক্ষ সংখ্যাটি অনুমোদিত বাড়ির সংশোধিত তথ্য থেকে নেওয়া। ২০২২ সালের আইএসএসআর-অনুমোদিত তথ্যের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিলে একটি ভয়াবহ বাস্তবতা উপস্থাপিত হয়।

সারণী ২: আইএসএসআর লক্ষ্য সংশোধন

প্রকল্প চালু করার সময় চাহিদা

২০২২ সালে অনুমোদিত বাড়ি

২০২৪ সালে অনুমোদিত বাড়ি

পার্থক্য

১৪.৩৫ লক্ষ

৪.৩৩ লক্ষ

২.৯৫ লক্ষ

-১.৩৮ লক্ষ

সূত্র: গৃহায়ণ ও নগর বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

তথ্য থেকে বোঝা যায় যে অনুমোদিত প্রকল্পগুলিও বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, যদি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত ঘরগুলির সঙ্গে দখলকৃত বাড়ির সংখ্যা তুলনা করা হয়, তাহলে স্পষ্ট হয় যে আইএসএসআর-এর মাত্র ৮ শতাংশ ঘরের দখল নেওয়া হয়েছে। অন্য কথায়, সারা দেশে মাত্র কয়েকটি আইএসএসআর প্রকল্প সফল হয়েছে।

প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ধীরগতির অগ্রগতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। তবে, নীতিগত ত্রুটিগুলি বোঝার জন্য, ধীর অগ্রগতির জন্য দায়ী অন্য কারণগুলি বার করা প্রয়োজন।

প্রকল্পের সীমাবদ্ধতা

নির্ভরযোগ্য তথ্যের অনুপস্থিতি: আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের রাজ্যসভার নন-‌স্টার্ড প্রশ্ন নং ৫৫৬ অনুসারে, "গত পাঁচ বছর ধরে বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে রাজ্যভিত্তিক এবং বছরভিত্তিক তথ্য পাওয়া যায় না।" মন্ত্রক ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের উপর নির্ভর করে। জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, শহরাঞ্চলের দিকে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ঘটছে। আবাসনের দামের কারণে অনেকেই বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। বস্তির জনসংখ্যা চিহ্নিত করার জন্য মন্ত্রক বা অন্য কোনও সরকারি সংস্থার কোনও ব্যবস্থা নেই। কেন্দ্রীয়, রাজ্য বা স্থানীয় সরকার কর্তৃক বস্তি ট্র্যাকিং ব্যবস্থার অনুপস্থিতির অর্থ হল, হাজার হাজার বস্তি অস্বীকৃত। এর অর্থ হল, প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলি অদৃশ্য এবং নীতিমালার বাইরে।

বস্তি সনাক্তকরণ: পিএমএওয়াই-ইউ ১.০ নির্দেশিকা অনুসারে বস্তি হল, "কমপক্ষে ৩০০ মানুষের একটি সংক্ষিপ্ত এলাকা অথবা প্রায় ৬০-৭০টি পরিবারের ঘনবসতিপূর্ণ নিম্নমানের বাসস্থান যেখানে বাড়িঘর থাকে, যেখানে সাধারণত অপ্রতুল পরিকাঠামো, অনুপযুক্ত স্যানিটারি ব্যবস্থা ও পানীয় জলের অসুবিধা থাকে।" নগর স্থানীয় সংস্থা (ইউএলবি) শহরের এই ধরনের এলাকাগুলি জরিপ করে  বস্তি হিসেবে ঘোষণা করার দায়িত্ব পালন করে। তবে, ইউএলবি কোনও এলাকাকে বস্তি হিসেবে গণনা করা এড়িয়ে চলে। কারণ, যদি গণনা করা হয়, তাহলে তাদের অবশ্যই বস্তিতে রাস্তা, জল ও স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করতে হবে।

বস্তির স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা: একটি বস্তিকে আইএসএসআর প্রকল্পের জন্য বিবেচনা করার জন্য এর স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা থাকতে হবে। সংজ্ঞা অনুসারে, একটি স্থায়িত্বযোগ্য বস্তি মানুষের বসবাসের জন্য উপযুক্ত এবং সঠিক স্থানে এর নিয়মিতকরণ করা যেতে পারে। অস্থায়ী বস্তিগুলি পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান (যেমন নদীর তীর, পুকুর, পাহাড়ি বা জলাভূমি), পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল স্থান (ম্যানগ্রোভ, জাতীয় উদ্যান, বা অভয়ারণ্য), অথবা জনসাধারণের জন্য উপযোগী এবং পরিষেবার জন্য চিহ্নিত জমি (যেমন প্রধান রাস্তা এবং রেলপথ)-তে অবস্থিত। সমস্ত অস্থায়ী বস্তি যুক্তিসঙ্গত আইএসএসআর প্রকল্পের আওতার বাইরে পড়ে।  তা ছাড়া, স্থায়ী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ বস্তিগুলিকে স্থিতিশীল হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা উচিত। এর মধ্যে অবস্থান, আকার, জমি ও বর্তমান আবাসনের বাজার মূল্যের মতো বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে বস্তিগুলির পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়বুদ্ধি আছে কি না তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ছোট শহর ও শহরের বেশিরভাগ বস্তি স্থিতিশীলতার মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। সামগ্রিকভাবে, অল্প সংখ্যক বস্তি স্থিতিশীল ও টেকসই হিসেবে মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়।

আইএসএসআর বাস্তবায়নকে আরও বেশ কিছু কারণ বাধাগ্রস্ত করে। তবে, তথ্যের অভাব, স্থানীয় সংস্থা কর্তৃক বস্তির স্বীকৃতি না পাওয়া, স্থায়িত্ব ও বাস্তবতার কারণ, এবং ভূমি অধিকারের অভাবের মতো কারণগুলি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ বাধা, কারণ এগুলি আইএসএসআরের অধীনে যোগ্যতা অর্জনকারী বস্তির সংখ্যা সঙ্কুচিত করে (টেবিল ৩ দেখুন)।

টেবিল ৩: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আইএসএসআর কর্মক্ষমতা

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

অনুমোদিত বাড়ি

সুস্থিত বাড়ি

সমাপ্ত বাড়ি

দখলকৃত বাড়ি

দিল্লি

চণ্ডীগড়

সূত্র: সূত্র: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক

উপরের তথ্য থেকে দেখা যায় যে দিল্লি বা চণ্ডীগড়ে কোনও আইএসএসআর প্রকল্প অনুমোদিত হয়নি বা চলমান নেই। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে যথাক্রমে ১.৭৮৫ মিলিয়ন ও ৯৫,০০০ মানুষ বস্তিতে বাস করেন। এই প্রকল্পের সীমাবদ্ধতাগুলি যোগ্য বস্তির সংখ্যা সঙ্কুচিত করছে, যার ফলে বস্তির জনসংখ্যার প্রতি অবিচার হচ্ছে।

সুপারিশ


বস্তিবাসীদের সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদানের প্রথম পদক্ষেপ হল তাদের অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া। সরকারকে বস্তি গণনার জন্য একটি দেশব্যাপী জরিপ করতে হবে এবং ইউএলবিগুলি-‌কে অনুসরণ করার জন্য কঠোর নির্দেশিকা প্রদান করতে হবে।

স্বীকৃতি প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য, সরকার প্রতিটি ইউএলবিতে বস্তিবাসীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইউএলবিগুলির জন্য উন্নয়ন তহবিল নির্ধারণ করতে পারে। এটি ইউএলবিগুলি-‌কে বস্তির জনসংখ্যা সনাক্ত করতে এবং তথ্যের অপ্রতুলতা ও বস্তি স্বীকৃতির বাধাগুলি মোকাবিলায় সহায়তা করতে উৎসাহিত করতে পারে।

বস্তির তথ্য এবং স্বীকৃতি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের পর, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্জাব বস্তিবাসী (মালিকানা অধিকার) আইন ২০২০ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে, যা বস্তিবাসীদের নিরাপদ জমির মালিকানা এবং জমির অধিকার প্রদান করে। আইন অনুসারে, ইউএলবি এটি গ্রহণ করার পরে বস্তিবাসীরা মালিকানাধীন জমির অধিকার পান। আইনটি বস্তিবাসীদের একটি আনুষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে একীভূত করার জন্য একটি কাঠামো ও আইনি স্বীকৃতি প্রদান করে। আইনের একটি অনন্য দিক হল জমির মালিকানা অধিকার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়, কিন্তু ৩০ বছরের জন্য হস্তান্তরযোগ্য নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং বরাদ্দকৃত জমির লেনদেন এড়ায়। অধিকন্তু, বস্তিবাসীদের বর্তমানে দখলকৃত জমি যদি সরকারের হয়, তবে তাদের মালিকানাধীন জমির অধিকার দেওয়া হয়। এই অধিকারগুলি হয় বিনামূল্যে দেওয়া হয় অথবা বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক বিভাগের উপর ভিত্তি করে ভর্তুকি প্রদান করা হয়। আইনটির জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণ বস্তি নিয়মিতকরণ এবং জমির নিরাপত্তাকে সমর্থন করবে।

বর্তমান নীতিগত পদ্ধতিতে বস্তি পুনর্নির্মাণের জন্য বেসরকারি খেলোয়াড়দের জড়িত করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই কৌশলটির উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে সরকারের একটি বহুমুখী কাঠামো তৈরি করা দরকার।

বস্তির শ্রেণি

সুপারিশ

স্থায়ী ও কার্যকর বস্তি

বিদ্যমান আইএসএসআর মডেল

স্থায়ী ও অকার্যকর বস্তি

ওড়িশা জাগ মিশন মডেল

অস্থায়ী ও কার্যকর বস্তি

অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতাকে বাধাগ্রস্ত করে

অস্থায়ী ও অকার্যকর বস্তি

স্থানান্তর

 

স্থায়ী ও কার্যকর বস্তির জন্য, বিদ্যমান আইএসএসআর মডেলটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সরকার স্থায়ী এবং অকার্যকর বস্তির জন্য সফল ওড়িশা জাগ মিশন মডেল বাস্তবায়ন করতে পারে। এই মডেলটি বস্তিবাসীদের জন্য একটি কার্যকরী মালিকানা তৈরি করে জমির অধিকারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই অধিকার উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত কিন্তু হস্তান্তরযোগ্য নয়। অধিকন্তু, সরকার আবাসন ইউনিটগুলির পুনর্নির্মাণে বিনিয়োগ করে এবং সমগ্র বস্তি এলাকায় রাস্তা, জল এবং পয়ঃনিষ্কাশনের মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে।

অকার্যকর হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ বস্তিগুলি স্থায়িত্বের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে না, কারণ অকার্যকরিতা অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের সম্ভাব্যতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলস্বরূপ, সমস্ত অকার্যকর বস্তি অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এই বস্তিবাসীদের নিকটবর্তী আবাসন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করার জন্য সরকারের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করা উচিত।


ভারতজুড়ে বস্তি গণনা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে প্রণোদনা এবং প্রয়োগের একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। 



উপসংহার

সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বস্তির অস্তিত্ব স্বীকার করা প্রথম পদক্ষেপ। ভারতজুড়ে বস্তি গণনা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে প্রণোদনা এবং প্রয়োগের একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে কাঠামো নিতে পারে।
পঞ্জাব বস্তিবাসী (মালিকানা অধিকার) আইন ২০২০ ভারতজুড়ে বস্তিবাসীদের বসবাস অধিকার প্রদানের জন্য একটি বিস্তৃত কাঠামো প্রদান করে। ওড়িশার জাগ মিশন প্রকল্পটি বস্তি পুনর্নির্মাণের জন্য একটি সামগ্রিক কাঠামো প্রদান করে, যা বসবাস অধিকার ছাড়িয়ে যায় এবং বস্তির ভৌত পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারা যথেষ্ট বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই মডেলটি স্থায়ী এবং অস্থায়ী বস্তির জন্য গ্রহণ করা যেতে পারে, কারণ এটি বস্তি সম্প্রদায়ের জন্য একটি স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সুযোগ প্রদান করে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বস্তির প্রয়োজনীয়তার নির্দিষ্টতার উপর ভিত্তি করে সমাধানের একটি গুচ্ছ স্থাপন করতে হবে।‌ আইএসএসআর-এর এক-আকার-সকলের-‌জন্য পদ্ধতি ব্যতিক্রমী ফলাফল প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।



অক্ষয় জোশী পাবলিক পলিসি প্র্যাকটিশনার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.