Author : Soumya Awasthi

Published on May 13, 2025 Updated 0 Hours ago

অপারেশন সিন্দুর-পরবর্তী একিউআইএস-এর জিহাদের আহ্বান একটি কৌশলগত বর্ধিত উত্তেজনার পরিস্থিতি চিহ্নিত করে, যা ভারতকে তার আদর্শগত ও আঞ্চলিক প্রচারণায় একটি প্রাথমিক লক্ষ্য হিসাবে তুলে ধরে।

অপারেশন সিন্দুর এবং একিউআইএস: জিহাদি বিশ্বে ভারতের বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া

৬ মে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে নয়টি সন্ত্রাসী শিবিরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর, ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদা (একিউআইএস) ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গোষ্ঠীটি জিহাদকে একটি ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করে। এই ঘোষণা জঙ্গি গোষ্ঠীর বাগাড়ম্বর ও কৌশলগত ভঙ্গির তীব্র প্রসারের প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।

একিউআইএস-এর মূল নেতৃত্ব পাকিস্তান থেকে কাজ করে বলে মনে করা হয়, যার আমির
ওসামা মেহমুদ উপজাতীয় অঞ্চল এবং শহুরে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে আপেক্ষিক নিরাপত্তা উপভোগ করে, যা প্রায়শই পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকা উপাদানগুলির পরোক্ষ সুরক্ষা বা নিষ্ক্রিয় অবহেলার অধীনে। এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে দারুল উলুম হাক্কানিয়া, বাহাওয়ালপুর মাদ্রাসা এবং সালাফি ধর্মীয় নেটওয়ার্ক ও মাদ্রাসা সার্কিটের মতো পাকিস্তানি দেওবন্দি প্রতিষ্ঠান থেকে, বিশেষ করে পাকিস্তানে, নিয়োগের চেষ্টা করে আসছে

গোষ্ঠীটি তাদের সাম্প্রতিক
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানিয়েছে, এবং ভারতকে নিরীহ মুসলমানদের হত্যা এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, তারা এই হামলাগুলিকে ইসলামের বিরুদ্ধে একটি কথিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রচারণার প্রদর্শনী হিসেবে উপস্থাপন করে, এবং হিংসাত্মক সংঘর্ষকে একমাত্র উপযুক্ত প্রতিশোধ হিসাবে ঘোষণা করে। দলটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং একিউআইএস ব্রিগেডে যোগদানের আহ্বান জানায়, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মা এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক পবিত্রতার অভিভাবক হিসাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে।


দলটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং একিউআইএস ব্রিগেডে যোগদানের আহ্বান জানায়, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মা এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক পবিত্রতার অভিভাবক হিসাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে।



এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী না হলেও, বহু ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং
 প্রাক্তন আমির আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার পর একিউআইএস-এর দক্ষিণ এশিয়ায় পুনরায় আত্মপ্রকাশের বারংবার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করে। এটি একটি আদর্শগত প্রচারণা প্রতিফলিত করে, এবং আঞ্চলিক গতিশীলতার পরিবর্তনের মধ্যে একটি কৌশলগত বাকচাতুর্য দেখানো এবং নিয়োগের সুযোগ হিসাবে কাজ করে। এই দলটি ভারতীয় বিমান হামলাকে বাকচাতুর্য দেখানো এবং নিয়োগের সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করেছে। এর লক্ষ্য ভারতকে একটি প্রাথমিক আঞ্চলিক আগ্রাসী হিসাবে চিত্রিত করা এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে উস্কে দেওয়া। তারা এই কৌশলটি তাদের প্রকাশনা, পুস্তিকা ও প্রচার ভিডিওর মাধ্যমে ক্রমাগত অবলম্বন করে আসছে। বিক্ষিপ্ত প্রচারণা এবং ব্যর্থ অভিযানগত প্রচেষ্টার মধ্যে — বেশিরভাগই পাকিস্তান ও বাংলাদেশে — একিউআইএস এই অঞ্চলের জিহাদি মঞ্চে একটি কেন্দ্রীয় খেলোয়াড় হয়ে উঠতে লড়াই করছে।

সাম্প্রতিক ভারতীয় বিমান হামলাগুলি একিউআইএস-কে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে বিবেচিত
জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-‌র মতো গোষ্ঠীগুলির ব্যবহৃত লঞ্চ প্যাড এবং রসদ বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে  বলে জানা গিয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ ভারতীয় হামলার পরিমাণ এবং উদ্দেশ্য অস্বীকার করেছে, জিহাদি গোষ্ঠীগুলি থেকে প্রতিক্রিয়া জোরদার হয়েছে।

একিউআইএস-‌এর উপর প্রভাব

একিউআইএস-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে তুলে ধরে, কারণ একিউআইএস আন্তর্জাতিক ধর্মীয় অনুভূতিকে উস্কে দিতে চায়। এটি জিহাদি ভঙ্গির একটি সর্বোত্তম উদাহরণ, যেখানে ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলিকে মুসলিম নির্যাতনের পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যান তৈরি করতে এবং জঙ্গি  প্রতিক্রিয়াগুলিকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক ঘোষণা এবং প্রচারণা একিউআইএস-এর আদর্শগত এবং কৌশলগত গণনায় ভারতের উত্থানকে পুনরায় নিশ্চিত করে, যা
কাশ্মীর থেকে প্যালেস্তাইন ও মায়ানমার পর্যন্ত বিষয়গুলিকে সংযুক্ত করে। যা এই ঘোষণাকে পূর্ববর্তী একিউআইএস-এর বিবৃতি থেকে আলাদা করে তোলে তা হল এর সময় ও কৌশলগত উদ্দেশ্য। অধিকন্তু, একিউআইএস-এর নবায়িত বক্তব্য বৃহত্তর জিহাদি ভূদৃশ্যের মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে কাজ করে। এই গোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি, যা উচ্চ-প্রোফাইল আক্রমণ পরিচালনা এবং এই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক মৌলবাদী যুবক নিয়োগের ক্ষেত্রে একিউআইএস-কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই আন্তঃজিহাদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা জঙ্গি রাজনীতির গতিশীল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রকৃতিকে তুলে ধরে।


একিউআইএস পুরো উপমহাদেশের মুসলমানদের যাকে এরা 'হিন্দুত্ব সন্ত্রাসবাদ' বলে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।



জিহাদের ডাক শুধু ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। একিউআইএস পুরো উপমহাদেশের মুসলমানদের যাকে এরা '
হিন্দুত্ব সন্ত্রাসবাদ' বলে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে পাকিস্তানের আঞ্চলিক পবিত্রতা এবং ইসলামের সম্মান রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে নেওয়া ব্যক্তিদের খোলাখুলিভাবে প্রশংসা করা হয়েছে, এবং বিভিন্ন ফ্রন্টে সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি মুসলিম তরুণদের জাতীয়তাবাদী পরিচয় প্রত্যাখ্যান করার পরিবর্তে জিহাদি নেতৃত্বে বিশ্ব উম্মার পতাকা আলিঙ্গন করার আহ্বান জানিয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শগত মোড়, কারণ এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত জাতীয় নিরাপত্তা পদক্ষেপগুলিকে বিশ্বাসের সঙ্গে একটি কাল্পনিক যুদ্ধকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, যা জিহাদি খেলার বইতে একটি পুরনো পদ্ধতি যা প্রায়শই বিচ্ছিন্ন সমাজগুলিতে অনুরণন পেয়েছে।

ভারতের উপর প্রভাব

ভারতের এই উন্নয়নকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। যদিও একিউআইএস ভারতীয় মাটিতে আক্রমণ চালানোর ক্ষেত্রে সীমিত সাফল্য পেয়েছে, তারা ধারাবাহিকভাবে আদর্শগত অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে
ডিজিটাল প্রচারণা, সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক এবং মৌলবাদী ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে। বর্তমান ঘোষণাটি একক-‌নেকড়ে (‌লোন-উলফ)‌ আক্রমণ বা ক্ষুদ্র-কোষ সক্রিয়করণ (‌স্মল সেল অ্যাকটিভেশন)‌ উৎসাহিত করার জন্য প্রচারণামূলক উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে।


দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা হিসাবে মতাদর্শগতভাবে মৌলবাদীকরণ বিরোধিতার উপর নজর দিতে হবে, মৌলবাদীকরণ নিরসন কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করতে হবে, এবং বিপদ চিহ্নিত ও ধ্বংস করার জন্য শক্তিশালী আন্তঃসংস্থা দক্ষতা তৈরির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।



তাই ভারতের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় পরিণতির  মূল্যায়ন করতে হবে। স্বল্পমেয়াদিভাবে, শক্তিশালী ডিজিটাল নজরদারি, সমন্বিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কৌশলগত সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে মৌলবাদীকরণ, হিংস্রতার প্ররোচনা এবং অনলাইন জিহাদি প্রচারণার বিপদ রুখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা হিসাবে মতাদর্শগতভাবে মৌলবাদীকরণ বিরোধিতার উপর নজর দিতে হবে, মৌলবাদীকরণ নিরসন কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করতে হবে, এবং বিপদ চিহ্নিত ও ধ্বংস করার জন্য শক্তিশালী আন্তঃসংস্থা দক্ষতা তৈরির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।

ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই বিবৃতিটি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী বর্ণনার দ্বন্দ্বগুলিকেও উন্মোচিত করে। যদিও ইসলামাবাদ বারবার দাবি করেছে যে তারা আন্তর্জাতিক জিহাদি সত্তাগুলিকে সমর্থন করে না, তবুও পাকিস্তানে একিউআইএস-এর উপস্থিতি এবং নেতৃত্বের ভিত্তি একটি প্রকাশ্য গোপন বিষয়। পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে এই ধরনের প্রকাশ্য ঘোষণা জারি করার জন্য একিউআইএস যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বোধ করে, তা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি ভারতের দীর্ঘস্থায়ী যুক্তিকেও শক্তিশালী করে যে, পাকিস্তান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিপদস্বরূপ গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা জোগায় এবং সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

এগিয়ে যাওয়ার পথ

এই ঘটনা আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একটি সতর্ক সংকেত হিসাবেও কাজ করবে। একিউআইএস হুমকি শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মাঝেমধ্যে জিহাদি হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এবং তালিবান নিয়ন্ত্রণাধীন আফগানিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্যান-ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট নিশ্চিত করার জন্য একটি অঞ্চলব্যাপী গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী কাঠামো প্রয়োজন। তাছাড়া, একিউআইএস-এর মতো সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিদের বিচ্ছিন্ন করা এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-‌সহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগাতে হবে।


একিউআইএস হুমকি শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মাঝেমধ্যে জিহাদি হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এবং তালিবান নিয়ন্ত্রণাধীন আফগানিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।



অধিকন্তু, ডার্ক নেট জিহাদি ফোরাম, টেলিগ্রামে আরবি ও উর্দু চ্যানেল, এবং ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষায় একিউআইএস-এর নতুন প্রচারণার দিকে নজর রাখার জন্য ডিজিটাল নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

অবশেষে, আদর্শগত যুদ্ধকেও সমান জরুরি বলে ধরে তার সঙ্গে লড়তে হবে। দুর্বল রাষ্ট্রীয় বর্ণনা এবং সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ফলে তৈরি শূন্যস্থানে জিহাদি প্রচারণা বৃদ্ধি পায়। ভারতকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তার অভ্যন্তরীণ আলোচনা যেন এমন মিথ্যা বর্ণনাকে বিশ্বাসযোগ্যতা না দেয় যে মুসলিমরা পরিকল্পিতভাবে অবরুদ্ধ। হিংস্র চরমপন্থাকে অবৈধ ঘোষণা করতে এবং বহুত্ববাদ ও সহাবস্থানের সাংবিধানিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সম্প্রদায়ের নেতা, ধর্মীয় পণ্ডিত এবং নাগরিক সমাজের কর্মীদের অবশ্যই জড়িত থাকতে হবে।

উপসংহার

পরিশেষে, ভারতের বিরুদ্ধে একিউআইএস-এর জিহাদের ঘোষণা একটি প্রচারণামূলক কৌশল এবং এই অঞ্চলে তার প্রভাব পুনরুজ্জীবিত করার কৌশলগত প্রচেষ্টা। যদিও এর অভিযানগত ক্ষমতা সীমিত, তবুও এর আদর্শগত আবেদন এবং হিংস্রতাকে উৎসাহিত করার সম্ভাবনার কোনও ভাবেই অবমূল্যায়ন করা যাবে না। ভারতকে এমন একটি বহুমাত্রিক কৌশলের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে যা কঠোর শক্তির সঙ্গে আদর্শগত স্থিতিস্থাপকতা, গোয়েন্দা সমন্বয়ের সঙ্গে ডিজিটাল সাক্ষরতা, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার সঙ্গে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ সংহতির একত্রীকরণ নিশ্চিত করে। আগামী মাসগুলিতে প্রকাশ পাবে যে একিউআইএস ঘোষণাটি কেবল বাকপটুতাই থেকে যাবে, নাকি বাস্তব হুমকিতে রূপান্তরিত হবে। তবে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াটিকে সক্রিয় ও স্থায়ী হতে হবে।



সৌম্য অবস্থি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.