Published on Sep 02, 2024 Updated 0 Hours ago

নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অবৈধ কার্যকলাপ দমন করার লক্ষ্যে ভারতকে অবশ্যই তার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত জুড়ে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংহতি বজায় রাখা ও বলপ্রয়োগের মধ্যেকার সূক্ষ্ম রেখাটি ধরে এগিয়ে চলতে হবে

মায়ানমারের মাদক-আতঙ্ক: ভারতের কৌশলগত প্রতিক্রিয়া

১১ ও ১২ জুলাই নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক-‌এর দ্বিতীয় বিদেশমন্ত্রীদের রিট্রিট অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছে। এই রিট্রিট শুধুমাত্র বিদেশমন্ত্রীদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে আলোচনা করার সুযোগই দেয়নি, বরং ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর জয়শঙ্করকে তাঁর মায়ানমারের সমকক্ষ উ থান শওয়ের সঙ্গে বৈঠকের বাইরে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল। আলোচনার বিষয় ছিল ক্রমবর্ধমান সীমান্ত অস্থিতিশীলতা, যা মানব পাচার, অনলাইন স্ক্যামের বিস্তার এবং সীমান্তের ওপারে অবৈধ মাদক পরিবহণ সহজতর করে।

বেআইনি মাদক পাচারের বিষয়টি একটি গুরুতর অপরাধ যা জাতীয় স্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে, এবং আলোচনায় তা একটি মূল বিষয় ছিল। ইউএনওডিসি ১৯৫০ সাল থেকে মাদক পাচারের কেন্দ্রস্থল
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল-‌এ মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছে। ২০১৫ সাল থেকে আফিম চাষে হ্রাস সত্ত্বেও, ২০২২ সাল পর্যন্ত মায়ানমার দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী ছিল, যা বিশ্ব উৎপাদনে ২৫ শতাংশে অবদান রাখত। যাই হোক, ২০২৩ সালে, মায়ানমার ১,০৮০ টন উৎপাদন করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আফিম উৎপাদনকারী হয়ে ওঠে, যেখানে তালিবানের দমনপীড়নের পর আফগানিস্তানের উৎপাদন ৩৩০ টনে নেমে আসে। ইউএনওডিসি সতর্ক করেছে যে, মায়ানমারের আফিম উৎপাদন আরও বাড়তে পারে, এবং তা ভারতসহ এশিয়া জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

মায়ানমারে অস্থিতিশীলতা

কোভিড-১৯ সংকটের পরের ঘটনা এবং ২০২১ সালের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল মায়ানমারের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছে। গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠী, সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী, এবং হুন্তার মধ্যে চলতি গৃহযুদ্ধ এই পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। অর্থনীতি, যেটি
২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গড় বার্ষিক ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, ২০২১ সালে ১৮ শতাংশে সঙ্কুচিত হয়েছিল, এবং তারপরে ২০২২ সালে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল৷ কিয়াতের প্রায় অর্ধেক অবমূল্যায়নের ফলে ১৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এদিকে বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২৪ সালের জন্য মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিসংখ্যান মায়ানমারের ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থার ছবি তুলে ধরে।

নির্মাণ, বস্ত্র, পর্যটন ও আতিথেয়তার মতো শিল্পগুলি উল্লেখযোগ্য কাজের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, আর
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং একটি শক্তিশালী ডলার অর্থনীতিকে আরও চাপের মধ্যে ফেলেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অধিগ্রহণের পর ক্রমাগত নিরাপত্তা হুমকি এবং শাসন ব্যবস্থার ব্যাঘাত প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের বেঁচে থাকার জন্য আফিম চাষে ঠেলে দিয়েছে। এটি এমন একটি ফসল যা তারা স্বাধীনতা-পূর্ব যুগ থেকে চাষ করে আসছিল।


২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অধিগ্রহণের পর ক্রমাগত নিরাপত্তা হুমকি এবং শাসন ব্যবস্থার ব্যাঘাত প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের বেঁচে থাকার জন্য আফিম চাষে ঠেলে দিয়েছে। এটি এমন একটি ফসল যা তারা স্বাধীনতা-পূর্ব যুগ থেকে চাষ করে আসছিল।



উদ্ভিদ-ভিত্তিক ওষুধের পুনরুত্থান দেখা গেলেও, মেথামফেটামিনের মতো কৃত্রিম ওষুধগুলিও প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা ২০১৫ সালে আফিম উৎপাদন হ্রাসে অবদান রেখেছিল। হেরোইনের তুলনায় সিন্থেটিক ওষুধ উৎপাদন সহজ, এবং কৃত্রিম ওষুধের জন্য কম শ্রম ও নির্দিষ্ট পরিবেশগত অবস্থার প্রয়োজন হয়। পরিবেশগত অবস্থাই এই পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গিয়েছে। মেথামফেটামিনগুলি ইনডোর ল্যাবে রসায়নবিদদের ছোট ছোট দল দ্বারা সংশ্লেষিত হয়, আর এতে কম শ্রমে বেশি লাভ হয়। উপরন্তু, বিকল্প কাঁচামালের প্রাপ্যতা ইফেড্রিন ও 
সিউডোফেড্রিনের মতো প্রথাগত পূর্বসূরীদের থেকে ফেনাইলেসিটোন (পি-২-পি)- ‌ভিত্তিক উৎপাদন পদ্ধতিতে নিয়ে যায়, যা কম খরচে উৎপাদনকে সহজতর করে তোলে।

মায়ানমারে সিন্থেটিক ড্রাগ ও আফিম উৎপাদনের বেশিরভাগই শান রাজ্যের '
বিশেষ অঞ্চলে' কেন্দ্রীভূত, যা ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির নিয়ন্ত্রণে, যারা সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্কগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে। এই অঞ্চলটি খণ্ডিত রাষ্ট্রীয় এক্তিয়ার এবং চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওষুধ ও পূর্ববর্তী বাজারের নৈকট্য থেকে উপকৃত হয়। ২০২৩ সালে ইউএনওডিসি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই ওষুধগুলির অবৈধ উৎপাদন প্রতিবেশী দেশগুলিতে ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

ভারতের জন্য দ্বিধা

মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের ১৬৪৩ কিলোমিটার ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত রয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত, এবং সেইসঙ্গে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম যা উভয় দিক থেকে ১৬ কিমি প্রবেশের অনুমতি দেয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে — মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ — মাদক চোরাচালানকারী, পাচারকারী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির জন্য সহজে প্রবেশের সুবিধা দেয়৷ এই প্রবেশযোগ্যতা এই অঞ্চলের মধ্যে অবৈধ ওষুধের পাচার ও বিতরণে অবদান রাখে, এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে।

মণিপুর ও মিজোরাম মায়ানমার থেকে মাদক পাচারের প্রধান
ট্রানজিট হাব হিসাবে কাজ করে, এবং এতে দুটি প্রাথমিক রুট ব্যবহার করা হয়: একটি মান্দালয় থেকে মোনেওয়া ও কালেওয়া হয়ে তামু-মোরে (মণিপুর) বা রিহ-চাম্পাই (মিজোরাম), এবং অন্যটি ভামো থেকে হোমলিন হয়ে নাগাল্যান্ড, অসম, কলকাতা এবং তার বাইরে ভারতে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অবৈধভাবে উৎপাদিত আফিম, বিশেষ করে মণিপুরে, হেরোইন উৎপাদনের জন্য মায়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর ফের ভারতে পাচার করা হয়। ভারত থেকে মায়ানমারেও একই ধরনের পথ দিয়ে মেডিক্যাল প্রিপারেশনস নিয়ে যাওয়া হয়।


মণিপুর ও মিজোরাম মায়ানমার থেকে মাদক পাচারের প্রধান ট্রানজিট হাব হিসাবে কাজ করে, এবং এতে দুটি প্রাথমিক রুট ব্যবহার করা হয়।



সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মায়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মাদকদ্রব্য আটকের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মণিপুর পুলিশ
জুলাই ২০২২ ও জুলাই ২০২৩ এর মধ্যে প্রায় ১২৬.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে৷ ২০২৪ এই উদ্বেগজনক প্রবণতাকেই প্রতিফলিত করে চলেছে, যেমনটি বেশ কয়েকটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের (এনইআর) রাজ্য জুড়ে মাদক আটকের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট৷ এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে মিজোরামের আবগারি ও মাদকদ্রব্য বিভাগ মাদক পাচার ও অ্যালকোহল-সম্পর্কিত কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে — ২,২৯৭ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ৩০টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই বিভাগ ২৬.৪৯৪ কেজি হেরোইন, ৩৮৪.১০০১ কেজি গাঁজা ও ১১২.৫২৮ কেজি মেথামফেটামিন-‌সহ প্রচুর পরিমাণে অবৈধ পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। অতিরিক্তভাবে, বিভাগটি কাশির সিরাপের ৫,১২৭টি শিশি, আলপ্রাজোলামের ১,৬৭৮টি ট্যাবলেট ও ট্রামাডলের ১৩৬টি ট্যাবলেট আটক করেছে, যা মিজোরাম জুড়ে এই ধরনের বস্তুর অপব্যবহার রোধে বিভাগের দায়বদ্ধতাকে শক্তিশালী করেছে।

বিদ্যমান ও সম্ভাব্য ব্যবস্থা

ভারত সরকার চলতি মাদক সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যার ফলে
গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান ও কনট্রোলড ডেলিভারি অপারেশনস (সিডি) পরিচালনার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। এই অপারেশনগুলির মধ্যে অবৈধ মাদকের চালান রোধ ও তা আটক করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা জড়িত, যার ফলে পাচারের নেটওয়ার্কগুলি আক্রান্ত হয়। উপরন্তু, ভারত আন্তর্জাতিক প্রভাব আছে এমন মাদক সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করতে মাদক ব্যবসা মোকাবিলায় সহযোগিতা ও সমন্বিত কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য মায়ানমারের সাথে ডিরেক্টর জেনারেল স্তরে আলোচনা শুরু করেছে।

এই বিষয়ে মায়ানমার ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভারত ও মায়ানমারের কর্মকর্তাদের মধ্যে
মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সপ্তম মায়ানমার-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল, যা অনলাইনে পরিচালিত হয়েছিল। বৈঠকে মাদক ব্যবসা বৃদ্ধির কথা এবং এই অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বের কথা বলা হয়। ওষুধের সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য ওষুধ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশ এই রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তাদের সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে এই লক্ষ্যে যে সব ব্যবস্থা প্রয়োজন তার রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।


বৈঠকে মাদক ব্যবসার বৃদ্ধির কথা এবং এই অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বের কথা বলা হয়।



নয়াদিল্লিকেও স্বীকার করতে হবে যে, মায়ানমার দেশটি অপারেশন ১০২৭-এর পর ক্রমবর্ধমানভাবে খণ্ডিত হয়ে গিয়েছে, এবং প্রতিটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী অ-‌রাষ্ট্রীয় শক্তি ও অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি চলতি মাদক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নজরদারি ও তা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। ‌বিমস্টেক ফরেন রিট্রিটে সমস্ত অংশীদারের সঙ্গে জড়িত হওয়ার বিষয়ে ডঃ
জয়শঙ্করের কথাগুলি এই দিকটিকেই নির্দেশ করে, তবে এর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক নীতির প্রয়োজন।

ভারত সরকার
ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বন্ধ করা এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কথাও ভাবছে। এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য মাদক পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ সীমিত করা এবং ভারতে মায়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ কমানো। তা সত্ত্বেও এই উদ্যোগটি মিজোরাম সরকার এবং সামাজিক কর্মীরা সহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে৷ তারা যুক্তি দেয় যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সম্পর্ককে দুর্বল করতে পারে এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি করতে পারে। অধিকন্তু, একটি উদ্বেগ রয়েছে যে এটি অসাবধানতাবশত সীমান্তের ওপারে অবৈধ পথের ব্যবহার বাড়িয়ে তুলতে পারে।

নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অবৈধ কার্যকলাপ দমন করার লক্ষ্যে ভারতকে অবশ্যই তার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত জুড়ে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংহতি বজায় রাখা ও বলপ্রয়োগের মধ্যেকার সূক্ষ্ম রেখাটি ধরে এগিয়ে চলতে হবে। মায়ানমারের অস্থিতিশীলতার পরিণতিগুলি মোকাবিলা করার সময় এই সূক্ষ্ম ভারসাম্য ভারতের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জগুলিকে চিহ্নিত করে, এবং তা শুধু নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই নয়, দীর্ঘস্থায়ী আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার ক্ষেত্রেও যা এই সীমান্তের দুই পারের সম্প্রদায়গুলিকে আবদ্ধ করে।



শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.