-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
২০২৫ সালে মালয়েশিয়ার আসিয়ান সভাপতিত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে হয়েছে। কারণ এটি আঞ্চলিকতা, আন্তঃআঞ্চলিক সম্পর্ক ও গ্লোবাল সাউথের সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করছে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পর মালয়েশিয়া আগের চেয়েও বেশি অনিশ্চিত ভূ- রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে পথ করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। শুল্কের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত চাপ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটের ক্ষেত্রে প্রাক্তন বাইডেন প্রশাসনের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে নতুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ইতিমধ্যেই একক ভাবে বিদ্যমান স্থিতাবস্থাকে ‘অস্থিতিশীল’ করার দায়িত্ব নিয়েছে, যা ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতিধ্বনি এখন ইন্দো-প্যাসিফিকেও অনুভূত হচ্ছে এবং আসিয়ান ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি পশ্চিমীদের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের সম্ভাব্য অবনতি হওয়ার দরুন বেশ সতর্ক রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, মালয়েশিয়া তার বিদ্যমান অস্তিত্বগত সঙ্কট থেকে আসিয়ান-কে ‘মুক্ত’ করার জন্য নতুন প্রত্যাশার সম্মুখীন হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আসিয়ান-এর ‘একত্রিত ভাবে কাজ করা’ এবং আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জগুলির সক্রিয় প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান হতাশার মুখে পড়েছে। মায়ানমার সঙ্কটের ক্ষেত্রে পাঁচ-দফা ঐকমত্যের মতো লঘু প্রতিক্রিয়া - যেমন মূলত অপ্রাসঙ্গিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আসিয়ান-এর পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি - দেখিয়েছে যে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মডেল নিয়ে এই গোষ্ঠীর পক্ষে ভাসা ভাসা কর্মকাণ্ডের ঊর্ধ্বে ওঠা কতটা কঠিন হতে পারে।
অতএব, পুত্রজায়া জানেন যে, তাঁর কী করণীয়। এ ছাড়াও, ২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার চেয়ারম্যান পদের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আসিয়ান ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম (এআইপিএফ) ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক কাঠামো চুক্তি হয়। এর পাশাপাশি গত বছর লাওসের সভাপতিত্বের সূচনা হয়েছিল, যা দ্বিতীয় এআইপিএফ-এর সঙ্গে গতিশীলতা বজায় রেখেছিল এবং আসিয়ান পণ্য বাণিজ্য চুক্তির জন্য সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছিল।
ব্রুনাইয়ের নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র ছাড়া অন্য আসিয়ান দেশগুলিতে তুলনামূলক ভাবে সাম্প্রতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক অগ্রাধিকারগুলি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার দিকে সরে যাচ্ছে, যার ফলে দ্রুত শক্তিশালী ঐকমত্যের প্রত্যাশা হ্রাস পাচ্ছে।
তবে, এ কথা স্বীকার করতে হবে যে, আসিয়ান-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মালয়েশিয়ার ক্ষমতা সীমিত, বিশেষ করে ব্যাপক নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্যে এবং একটি অগভীর ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার জন্য ব্লকের সংগ্রামের কারণে এমনটা ঘটেছে। ব্রুনাইয়ের নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র ছাড়া অন্য আসিয়ান দেশগুলিতে তুলনামূলক ভাবে সাম্প্রতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক অগ্রাধিকারগুলি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার দিকে সরে যাচ্ছে, যার ফলে দ্রুত শক্তিশালী ঐকমত্যের প্রত্যাশা হ্রাস পাচ্ছে। শুধুমাত্র এই কৌশলগত সংহতির উপর মনোনিবেশ করার পরিবর্তে, মালয়েশিয়ার ভূমিকা হওয়া উচিত আসিয়ান চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং ভবিষ্যতের সভাপতিত্বের জন্য মঞ্চ তৈরি করা। মালয়েশিয়ার আসল অবদান হতে পারে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা মোকাবিলা করার জন্য আরও সুসংহত এবং স্থিতিস্থাপক আসিয়ান তৈরি করা।
প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার ইব্রাহিমও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
গত বছরই প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার তাঁর সকল আসিয়ান সমকক্ষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সম্ভবত মালয়েশিয়ার আসিয়ান সভাপতিত্বের প্রাককালে এ হেন সাক্ষাৎ এই ধারণাকেই সশক্ত করে যে, মালয়েশিয়ার বিদেশনীতি প্রকৃতপক্ষে আস্থা, সৌহার্দ্য এবং ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’র উপর ভিত্তি করে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ ক্ষমতা দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ারের ক্ষেত্রে এটি সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা উন্নত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আসিয়ান কেন্দ্রীয়তা এবং ঐক্যের প্রতি একটি অভিন্ন সাধারণ প্রতিশ্রুতির প্রতি আলোকপাত করে এবং তা যৌথ বার্তা প্রদান করে। দক্ষিণ চিন সাগর ও মায়ানমার সঙ্কটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে অন্তর্নিহিত আন্তঃআসিয়ান মতপার্থক্য এবং বিরোধের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি প্রবল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং আসিয়ান সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ ও সরবরাহ শৃঙ্খলের অপরিহার্যতার জন্য তীব্র প্রতিযোগিতাও রয়েছে। এই জটিল প্রেক্ষাপটেও মালয়েশিয়ার কাছে আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্ব হারিয়ে যায়নি এবং পুত্রজায়া একটি আসিয়ান-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যাতে সদস্য দেশগুলি মোটরগাড়ি, অর্ধপরিবাহী এবং ওষুধ আমদানির উপর পরিকল্পিত মার্কিন শুল্কের বিষয়ে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করতে পারে।
সুতরাং, সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়া সুবিশাল ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই আসিয়ান আঞ্চলিকতাকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সভাপতিত্বের সময় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন-এর (ইস্ট এশিয়া সামিট বা ইএএস) মতো আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইএএস-ও বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে রেহাই পায়নি। কারণ এটি গত বছর নেতাদের বিবৃতি প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই বছর মালয়েশিয়ার উপর দায়িত্ব বর্তায় মালিকানার অনুভূতি তৈরি করা এবং আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াগুলিতে আসিয়ান কেন্দ্রীয়তা পুনরুদ্ধার করা। ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি আসিয়ান-এর সম্মিলিত ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করা, স্পষ্ট করা ও তা প্রক্ষেপণ করা ইতিবাচক হবে। সর্বোপরি, একটি ব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা তার আহ্বায়ক ক্ষমতা ও বাস্তব অর্জনের মধ্যেই নিহিত। এই বছর দক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে এক জন নেতার বিবৃতি সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মালয়েশিয়াকে বাস্তব, বর্তমান ও অভিন্ন সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইএএস-এর প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা কর্ম পরিকল্পনাকে সমন্বিত করতে হবে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি আসিয়ান-এর সম্মিলিত ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করা, স্পষ্ট করা ও তা প্রক্ষেপণ করা ইতিবাচক হবে।
নিঃসন্দেহে মালয়েশিয়া এই ক্ষেত্রে কৌশলগত ভাবে অবস্থান করছে এবং আসিয়ানের সকল আলোচনার অংশীদারদের সঙ্গে তার ভাল কার্যকরী সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার তাঁর সকল সমকক্ষের (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছাড়া) সঙ্গে দেশে, বিদেশে অথবা অতীতের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যোগাযোগ রেখেছেন। এটি মালয়েশিয়ার আন্তঃআঞ্চলিক সম্পর্ক, সংযোগ এবং সহযোগিতার গভীর আহ্বানের ভিত্তি তৈরি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রাসেলস সফরের সময় প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার আঞ্চলিক স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার জন্য আসিয়ান-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। একই ভাবে, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে ভারতে তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের সময় প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মূল্য অর্থাৎ আসিয়ান-আইওআরএ (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন) এবং আসিয়ান-বিমস্টেকের (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) উপর আলোকপাত করে ‘চ্যালেঞ্জ, চাহিদা ও অগ্রাধিকার, যা সর্বদা ‘মূলধারা’র বলে বিবেচিত হয় না’, তার উপর আলোকপাত করেন।
মালয়েশিয়ার ‘অঞ্চলগুলিকে সেতুবন্ধন’ করার আহ্বান আসলে সেই দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলে, যার মাধ্যমে ব্রিকস+ সদস্যপদ অর্জনের প্রচেষ্টা দর্শানো হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি মালয়েশিয়ার কৌশলগত সুযোগ সর্বাধিক করা এবং বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে অভিন্ন সাধারণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করার এক অনন্য উপায়। বর্তমানে ব্রিকস+ অংশীদার দেশের মর্যাদাপ্রাপ্ত তিনটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্র ও পূর্ণ সদস্যপদপ্রাপ্ত ইন্দোনেশিয়া এই প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে সমন্বয় প্রদর্শন করে এবং এটি মূলত ব্রিকস+ উদীয়মান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় পশ্চিমী-বিরোধী ‘বিঘ্নকারী’ নেতিবাচক ধারণাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
মালয়েশিয়ার শক্তিশালী আঞ্চলিকতা ও আন্তঃআঞ্চলিকতার পক্ষে সমর্থন তার বৃহত্তর গ্লোবাল সাউথ গতিশীলতার প্রচেষ্টার সঙ্গে খাপ খায় এবং বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ও প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করেছে। এটি আন্তঃনির্ভরতা তৈরি করে এবং স্থিতিশীল, স্থিতিস্থাপক দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করে। যদি এই প্রক্রিয়াগুলি ও তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশীদারিত্ব একটি ভেন ডায়াগ্রামের মাধ্যমে দর্শানো হয়, তা হলে মালয়েশিয়া ইন্দো-প্যাসিফিকে ভূ-কৌশলগত সম্পৃক্ততার কেন্দ্রে এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ ও জনসাধারণের কাছে পণ্য সরবরাহের বিষয়ে গ্লোবাল সাউথের কর্মসূচিকে চালনা করার একটি মাধ্যম হিসাবে আসিয়ান-এর ভূমিকাকে কল্পনা করে। যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে, মালয়েশিয়ার গ্লোবাল সাউথ কর্মসূচি গ্লোবাল নর্থ-কে বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং আঞ্চলিক অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটের প্রতি মনোযোগী হয়ে আসিয়ান-এর সঙ্গে একই ভিত্তিতে কাজ করে ইইউ ও জাপানের মতো অংশীদারদের সঙ্গে গ্লোবাল সাউথের গতিশীলতায় গ্লোবাল নর্থের উদ্যোগকেও উৎসাহ জোগায়।
মালয়েশিয়ার শক্তিশালী আঞ্চলিকতা ও আন্তঃআঞ্চলিকতার পক্ষে সমর্থন তার বৃহত্তর গ্লোবাল সাউথ গতিশীলতার প্রচেষ্টার সঙ্গে খাপ খায় এবং বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ও প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করেছে।
মালয়েশিয়া এই বছর অভূতপূর্ব সময়ে আসিয়ান-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি নেহাত কম নয়, তা সত্ত্বেও আশার কথা হল এই যে, মালয়েশিয়া ধীরে ধীরে হলেও নিশ্চিত ভাবে নিজের ও আঞ্চলিক সংস্থার জন্য আস্থা তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি শক্তির যে কোনও অন্তর্নিহিত গুণের মতোই সংস্থাটি গতিশীল ও ইচ্ছাশীল – তা সে বৃহৎ ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থা হোক বা রাজনৈতিক সদিচ্ছা - স্বভাব এবং শক্তির প্রয়োজনের উপর নির্ভরশীল। সেই অর্থে দেখতে গেলে, মালয়েশিয়াকে আসিয়ান সংস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করতে হবে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিকে আসিয়ান-এর দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে। আশা করা যায় যে, বর্ধিত আঞ্চলিকতা, আন্তঃআঞ্চলিকতা এবং গ্লোবাল সাউথের সংহতি অনুসরণ করে মালয়েশিয়া এ বার আরও ক্ষমতাশালী ও প্রাসঙ্গিক আসিয়ান-এর ভিত্তি স্থাপন করবে।
ইয়ানিতা মিনা লুই মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর (আইএসআইএস) বিশ্লেষক এবং ভারতের বিদেশনীতি ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Yanitha Meena Louis is an Analyst at the Institute of Strategic and International Studies (ISIS) Malaysia, specialising in Indian foreign policy and regional geopolitics ...
Read More +