-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে তীব্রতর প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাতিন আমেরিকার বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। ব্রাজিলের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা এই প্রবন্ধটিতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরার পাশাপাশি এই অঞ্চলে ক্ষমতার সংগ্রামের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, পরিস্থিতিটি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্যই অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী বলে মনে হচ্ছে।
এ হেন বিশ্লেষণকে কেউ লাতিন আমেরিকা সম্পর্কে একটি সাহসী তাত্ত্বিক দাবি বলে মনে করতেই পারেন এবং নিতান্ত সঠিক ভাবে বলতেই পারেন যে, এই অঞ্চলটি আসলে গ্লোবাল সাউথের এমন একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল, যেখানে সবচেয়ে বেশি রকমের ‘পশ্চিমায়ন’ ঘটেছে। ধর্ম, ভাষা, আইনি প্রতিষ্ঠান, বাজার পুঁজিবাদ ও প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এটি পশ্চিমি দেশগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রদর্শন করে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই নানা প্রতিফলন স্পষ্ট হয়েছে।(১)
লাতিন আমেরিকার মানুষজনের মধ্যে হওয়া সমীক্ষাগুলি খুঁটিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলটির উপর সামাজিক প্রভাব বজায় রেখে চলেছে। চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিমুখী বিকল্পের সম্মুখীন হয়ে সমীক্ষার বেশির ভাগ উত্তরদাতা প্রায় সর্বদাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মতদান করেন। এই প্রবণতা বিশেষ করে ব্রাজিলে স্পষ্ট, যেখানে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কানাডা, ইজরায়েল বা সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন।(২)(৩) এই ধরনের মার্কিনপন্থী মনোভাব ব্রাজিলের সরকারি সংস্থা ও সামরিক বাহিনীতেও স্পষ্ট, যা বৃহত্তর আঞ্চলিক মনোভাবকেই দর্শায় এবং যা লাতিন আমেরিকা জুড়ে আমেরিকার স্থায়ী প্রভাবকেই তুলে ধরে।(৪)
২০২২ সালের ‘আ ওয়ার্ল্ড ডিভাইডেড – রাশিয়া, চায়না, অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকার তরফে পোষণ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা গ্লোবাল সাউথের মধ্যে ব্যতিক্রম অবশ্যই। গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে চিনের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অন্য দিকে ভেনেজুয়েলা ও নিকারাগুয়া – যে দু’টি দেশের সরকারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক খারাপ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যথাক্রমে ৪০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ অগ্রাধিকার দর্শিয়েছে।(৫)
এটি সাংস্কৃতিক আধিপত্যের একটি স্থায়ী ধারণাকেই দর্শায়, যার পরিণতি দৈনন্দিন জীবনেও ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে কূটনৈতিক শক্তির প্রক্ষেপণ ও গণমাধ্যমের প্রভাবের হাত ধরে এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে লাতিন আমেরিকার ৭৯ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নেটফ্লিক্স দেখেছেন। ৪৩ শতাংশ মানুষ প্রাইম ভিডিও দেখেছেন এবং ৪১ শতাংশ ডিজনি+ দেখেছেন, যা মার্কিন মিডিয়াজাত পণ্যের উচ্চ মাত্রার ব্যবহারকেই দর্শায়।(৬) অঞ্চলব্যাপী স্কুলগুলিতে ইংরেজি এখনও সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দ্বিতীয় ভাষা বা সেকেন্ড ল্যাঙ্গোয়েজ।(৭)
প্রকৃতপক্ষে, কোস্টারিকার সান হোসে, কলম্বিয়ার বোগোতা অথবা প্যারাগুয়ের আসুনসিওনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে, খাবার-দাবার, ফ্যাশন এবং সংগীতে মার্কিন প্রভাবের স্পষ্ট চিহ্ন সহজেই লক্ষ করা যায়। চিনের অর্থনৈতিক উপস্থিতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেলেও এই অঞ্চলে ‘চিনা জীবনযাত্রা’র শিকড় যে ততটাও গভীরে পৌঁছয়নি, সে কথাও স্পষ্ট। ব্রাজিলে ম্যাকডোনাল্ডস, নাইকি এবং অ্যাপলের মতো মার্কিন ব্র্যান্ডের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও মার্কিন প্রতীকগুলির আধিপত্যও এই অঞ্চলে স্পষ্ট।(৮)
ক্রমপরিবর্তনশীল ধরন
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় প্রাথমিক বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ইউরোপকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী বহিরাগত শক্তি হিসেবে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। কিউবা ছাড়া মহাদেশের দেশগুলি ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে ছিল এবং বিশ শতকের পাঁচের দশকের শেষের দিকে ও ছয়ের দশকের গোড়ার দিকে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ব্রাজিল বিশেষ করে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধারাবাহিক ভাবে তৃতীয়-বিশ্ববাদী পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করলেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে বান্দুং সম্মেলনের পদ্ধতি থেকে বিচ্যুত হয়েছিল।(৯)
একুশ শতকে এই প্রবণতাই বদলে যায়, যখন চিন লাতিন আমেরিকার দেশগুলির একাধিক পণ্যের জন্য প্রাথমিক রফতানি গন্তব্য হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালের মধ্যে চিন ব্রাজিল, চিলি ও পেরুর মতো দেশের জন্য বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে ওঠে, যা সয়াবিন, তামা ও লৌহ আকরিকের মতো পণ্যের চাহিদার দরুন বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালে চিনে ব্রাজিলের রফতানি ছিল তার মোট রফতানির ৩২ শতাংশ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশকে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন কেবল বাণিজ্যিক গতিশীলতাকেই নতুন আকার দেয়নি, বরং ভূ-রাজনৈতিক সাযুজ্যতার উপরেও বিস্তৃত প্রভাব ফেলেছে। চিনের সর্বোত্তম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ (বিআরআই) অংশগ্রহণকারী দেশগুলি – যে প্রকল্পের অধীনে চিন বিশ্বব্যাপী ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে – ক্রমবর্ধমান ভাবে চিনা অবকাঠামো ও চিন অর্থায়িত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে।(১০)
চিন বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে লাতিন আমেরিকায় নিজের উপস্থিতি বৃদ্ধি করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব কিন্তু অপ্রতিরোধ্য ভাবে পিছিয়ে পড়েনি। তবে বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে মার্কিন অংশের হ্রাস - ১৯৪৫ সালে ৪০-৪৫ শতাংশ থেকে নেমে এসে ২০২৩ সালে মাত্র ১৪ শতাংশ - হোয়াইট হাউসের বিশ্বদৃষ্টি থেকে লাতিন আমেরিকার ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়াকেই দর্শায়।(ক) রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে ভোটদানের ধরনেও এই বিষয়টি স্পষ্ট। ব্রাজিলে ইউরিকো গাসপার দুত্রা (১৯৪৬-১৯৫১) ও জুসেলিনো কুবিৎশেকের (১৯৫৬-১৯৬১) রাষ্ট্রপতিত্বের সময় দেশটির প্রতিনিধিরা মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে ৯০ শতাংশ হারে সমন্বিত হয়েছিল। তবে বর্তমানে ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই সমন্বয়ের পরিমাণ ২৫ শতাংশের বেশি নয়।(১১) এই সাধারণ প্রবণতাটি লাতিন আমেরিকার বাকি অংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তবে বিবেচনা করার জন্য একটি অতিরিক্ত প্রসঙ্গও রয়েছে। বিশ শতকের সাতের দশকের গোড়ার দিকে যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে তাইওয়ানের আগমন ঘটে, তখন থেকে লাতিন আমেরিকা, বিশেষ করে ব্রাজিল, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ভোটে চিনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সাদৃশ্য প্রদর্শন করেছিল। এ হেন সংযোগের নেপথ্যে একটি মৌলিক যুক্তিও ছিল। চিন ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলি কয়েক দশক ধরে উন্নয়ন, অর্থ, শান্তি ও নিরাপত্তা, উপনিবেশমুক্তকরণ, আন্তর্জাতিক আইন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একই রকম উদ্বেগ ভাগ করে নিয়েছে। এই ধরনের কূটনৈতিক সমমনস্কতাকে খাটো করে দেখা উচিত নয়।(১২)
বৈশ্বিক বিষয়গুলির ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের পরিপ্রেক্ষিতে, আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলির সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংঘাত, যেমন ইউক্রেন এবং গাজা, সম্পর্কে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ। যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, এই অঞ্চলটি আর পশ্চিমি দেশ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিঃশর্ত সমর্থন প্রদর্শন করছে না, যা একতরফা প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকেই দর্শায়।(১৩) আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা উদ্বেগের এই পটভূমিতে লাতিন আমেরিকাকে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমহ্রাসমান ক্ষমতা একটি সতর্কতামূলক সঙ্কেত হিসেবেই কাজ করে।
সর্বোপরি, কোভিড-১৯ অতিমারি গ্লোবাল নর্থ ও গ্লোবাল সাউথের মধ্যে গভীর বৈষম্যকেই প্রকট করে দিয়েছে, বিশেষ করে টিকার প্রাপ্তি ও বণ্টনের ক্ষেত্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ধনী দেশগুলি নিজেদের দেশের মানুষের টিকাদানকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল, প্রায়শই অর্থনৈতিক লাভের জন্য টিকা রফতানিকে কাজে লাগিয়েছিল। সেই কারণেই কম সমৃদ্ধ দেশগুলি ২০২১ বা ২০২২ সাল পর্যন্ত টিকাপ্রাপ্তির বিষয়ে তীব্র বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছিল। এ হেন পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া, ভারত ও চিন ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেসি বা টিকা কূটনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিল এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য লাতিন আমেরিকায় নানাবিধ প্রচেষ্টাস্বরূপ হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।(১৪)
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ কতটা বিধ্বংসী হতে পারে?
যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন… দুই দেশই ফ্রেন্ড শোরিং, নিয়ার শোরিং এবং বিচ্ছিন্নকরণের মতো কৌশলের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে,(খ) তখন জো বাইডেনের রাষ্ট্রপতিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পাশাপাশি ব্রাজিল ও মেক্সিকো প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোকে তার পছন্দের বাণিজ্যিক অংশীদার ও বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর অন্য দিকে চিন ব্রাজিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে এবং ব্রাজিল থেকে পণ্য আমদানি করেছে।(১৫) সামগ্রিক ভাবে, ব্রাসিলিয়া এবং সিউদাদ দে মেক্সিকো (মেক্সিকো সিটি) উভয়েরই পূর্ববর্তী অর্থাৎ ট্রাম্প-পূর্ব যুগে সন্তুষ্ট থাকার কারণ ছিল।(১৬)
যদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা কেবল বহিরাগত প্রভাবের নিষ্ক্রিয় প্রাপক হয়ে ওঠার বিরোধিতা করেন, তা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি তাঁর তৃতীয় মেয়াদের জন্য লিটমাস পরীক্ষাসম হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণের প্রাথমিক দিনগুলিতে ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনীতিতে অ-ডলারিকরণকে কোনও প্রকার আমল না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রায় একই সঙ্গে প্যারিস চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের কথাও তিনি ঘোষণা করেছিলেন। ২০২৫ সালের শেষের দিকে ব্রাজিল দ্বারা ব্রিকস বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কপ৩০ সম্মেলন আয়োজনের দরুন দেশটি ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সম্ভাব্য চাপের বিষয়টিকেও চাপা দিতে পারে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে ব্রাজিলের আমদানির উপর তাঁর প্রশাসনের শুল্ক আরোপের কারণে।(১৭) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্রাজিলীয় নাগরিকদের ব্যাপক ভাবে নির্বাসনের বিষয়টিকেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না এবং এই প্রবন্ধটি লেখার সময় সেই নির্বাসনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল।(১৮)
মেক্সিকোয় উত্তর আমেরিকা সংক্রান্ত নানাবিধ বিষয়ের বাড়তে থাকা প্রাসঙ্গিকতা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণকারী এবং নিজের দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ক্লদিয়া শেনবাউম পারদো। মেক্সিকো উপসাগর সম্পর্কে ট্রাম্পের অসম্মানজনক ও সংঘাতমূলক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদো বাধ্য হয়েছেন। নতুন মার্কিন প্রশাসন মেক্সিকো উপসাগরকে ‘গালফ অফ আমেরিকা’ বা ‘আমেরিকা উপসাগর’ বলে অভিহিত করেছে এবং মেক্সিকান অভিবাসীদের বিরত রাখার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য অবশ্যই অসম্মানজনক।(১৯) একই ভাবে, পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো আর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ ভবিষ্যতে চিন পানামা খাল দখল নিতে পারে… এ হেন আশঙ্কা দর্শিয়ে ট্রাম্প পানামা খালকে ‘আবার আমেরিকা’র অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মুলিনো অবশ্য দৃঢ়তার সঙ্গেই ট্রাম্পের এ হেন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।(২০)
ট্রাম্পের সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সবচেয়ে আকর্ষক উদাহরণ সম্ভবত এই অঞ্চলে আমেরিকার দীর্ঘকালীন মিত্রদের মধ্যে অন্যতম কলম্বিয়ার ঘটনা। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃত হয়েছিলেন। বোগোতায় অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকার করার পরই তিনি ট্রাম্পের হুমকির সম্মুখীন হন। ট্রাম্প কলম্বিয়ার পণ্যের উপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেত্রো সুর নরম করেন এবং তাঁর দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হন। যাই হোক, তিনি এখন এ বিষয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক বিজয় পাওয়ার দাবি করেছেন। কারণ বিতাড়িতদের মার্কিন সামরিক বিমানে নয়, বরং কলম্বিয়ান বিমান বাহিনীর সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উপরন্তু, সেই সব নির্বাসিত মানুষদের হাতকড়া বা শিকল না পরিয়ে, আটকে না রেখে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই আখ্যানের পরবর্তী পর্বসমূহ অবশ্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। তবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, পেত্রো দেখিয়েছেন, সীমিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র দুঃসাহসী অবস্থান কী ভাবে এই অঞ্চলে ট্রাম্পের কার্যকলাপকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে।(২১)
নানাবিধ ঘটনার মধ্যে ব্রাজিলের লুলা, মেক্সিকোর শেনবাউম এবং কলম্বিয়ার পেত্রোর মতো নেতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন-বিরোধী বা পশ্চিম-বিরোধী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের অভিযোগকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেও বিবেচনা করা উচিত। এই পদক্ষেপগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, লাতিন আমেরিকা একটি স্বায়ত্তশাসিত কূটনৈতিক পদ্ধতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সময় বাস্তববাদী দ্বিধা নিয়েই মার্কিন-চিন ক্ষমতার লড়াইয়ের মাঝেই পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বোপরি, সক্রিয়তা ও আত্মবিশ্বাসকে অবাধ্যতা বা অ-সহযোগিতা বলে দাগিয়ে দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।(২২)
সম্পূর্ণ ভিন্ন দিক থেকে দেখলে আবার বুয়েনস আইরেস এখন বেজিং থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। কারণ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলিকে নিজের এক অনুসারী হিসাবে স্থান দিয়েছেন। যাই হোক, পশ্চিমিদের প্রতি মাইলির স্বাগতপূর্ণ সুর সত্ত্বেও আর্জেন্তিনা এমন চুক্তি ও উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল, যেগুলি দর্শায় যে, আর্জেন্তিনা চিনপন্থীই ছিল। উদাহরণস্বরূপ বিআরআই-তে আর্জেন্তিনার সদস্যপদ ছিল। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলে আর্জেন্তিনার নেতা শর্তসাপেক্ষে মের্কোসুর – যা কিনা দক্ষিণ আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল - ছেড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শর্ত ছিল এই, যদি ট্রাম্পের আমেরিকা আর্জেন্তিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, তা হলে আর্জেন্তিনা মের্কোসুর ছেড়ে দেবে।(২৩)
আগামী পরিবর্তন হয়তো ততটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন না-ও হতে পারে। কারণ মার্কিন-চিন প্রতিযোগিতার বিদ্যমান সমীকরণ নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আকার দান করবে। এই অঞ্চলের উপর এই দুই মহাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্পূর্ণ প্রভাব ঠিক কোন মাত্রার হবে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
পাদটিকা
ক) একুশ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলের ফরেন মিনিস্টার সেলসো লাফার ও সেলসো আমোরিম এই ধরনের বিপরীতমুখী বৈদেশিক নীতির প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পশ্চিমি মহাশক্তির সঙ্গে ব্রাজিলের সামঞ্জস্য বজায় রাখার পক্ষে থাকলেও পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা অবশ্য কাঠামোগত সংশোধনবাদকেই সমর্থন করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্ট কার্দোসোকে ব্রাজিলের পুনর্নবীকরণকারী হিসেবে তুলে ধরেছিল এবং দেশের জনপ্রশাসন ও জাতীয় অর্থের সফল আধুনিকীকরণ, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার নেপথ্যের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তাঁর ভূমিকার কথাই বলেছিল। যাই হোক, পশ্চিমি অনুশীলনের অনুকরণ করার জন্য এবং এমন আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা মানবাধিকার, পরিবেশ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের মতো জাতীয় উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলির উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলেছে, তা সম্পন্ন করার দরুন কার্দোসো নানাবিধ অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁর বিপরীতে প্রেসিডেন্ট
লুলা দা সিলভাকে গ্লোবাল সাউথের একজন পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, যিনি সাহসী ও সংহতিপূর্ণ বৈদেশিক নীতির বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং যা বাস্তব রাজনীতির প্রচলিত নিন্দাবাদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁকে খুবই আদর্শবান বলে মনে করা হয় এবং বলা হয়, এই আদর্শের কারণেই ব্রাজিলের পশ্চিমি কূটনৈতিক ঐতিহ্য সম্ভবত বিপন্ন হয়েছে। দ্রষ্টব্য – ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ এবং কারিন ভাসকেজ, ‘ব্রাজিল’স পজিশন ইন দ্য রাশিয়া-ইউক্রেন ওয়ার – ব্যালান্সিং প্রিন্সিপলড প্র্যাগমাটিজম হোয়াইল কাউন্টারিং ওয়েপনাইজড ইন্টারডিপেন্ডেন্স’, কনটেম্পোরারি সিকিউরিটি পলিসি, ভলিউম ৪৫, ইস্যু ৪, ২০২৪, পৃষ্ঠা ৫৯৯-৬১১
খ) ‘ফ্রেন্ড-শোরিং’ আসলে সংস্থাগুলিকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলি থেকে সরে এসে মিত্র দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করে। ‘নিয়ার-শোরিং’ হল ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে নিকটবর্তী দেশে স্থানান্তরিত করার প্রয়াস। ‘ডিকাপলিং’ মানে একটি দেশের থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটা।
১) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ, ‘ডি-ওয়েস্টার্নাইজেশন, ডেমোক্রেটাইজেশন, ডিসকানেকশন – দি ইমার্জেন্স অফ ব্রাজিল’স পোস্ট-ডিপ্লোম্যাটিক ফরেন পলিসি’, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ৬ (২০২০) – ১-১৮
২) ডাউয়িসন বেলেম লোপেস এবং কারিন ভাসকেজ, ‘পিস অ্যাজ আ হাইপোথেটিক্যাল ইমপ্যারাটিভ – ব্রাজিল’স ফরেন পলিসি স্ট্যান্ডপয়েন্ট অন দ্য ওয়ার ইন ইউক্রেন’, গ্লোবাল পলিসি ১৬, নম্বর ৪ (সেপ্টেম্বর ২০২৪) – ৭৫২-৭৫৬
৩) রোবের্তো ফোয়া প্রমুখ, ‘আ ওয়ার্ল্ড ডিভাইডেড – রাশিয়া, চায়না অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’ (কেমব্রিজ, ইউনাইটেড কিংডম – সেন্টার ফর দ্য ফিউচার অফ ডেমোক্রেসি, ২০২২), https://doi.org/10.17863/CAM.90281.
৪) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ প্রমুখ, ‘ডিড দ্য ফার রাইট ব্রিড আ নিউ ভ্যারাইটি অফ ফরেন পলিসি? দ্য কেস অফ বলসোনারো’জ ‘মোর-বার্ক-দ্যান-বাইট’ ব্রাজিল’, গ্লোবাল স্টাডিজ কোয়ার্টার্লি ২ (২০২২)- ১-১৪
৫) ফোয়া প্রমুখ, ‘আ ওয়ার্ল্ড ডিভাইডেড – রাশিয়া, চায়না অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’
৬) ভ্যালেন্তিনা দুকুয়ে, ‘মিডিয়া কনসামশন ইন লাতিন আমেরিকা ২০২৩ অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট অন মার্কেটিং’, ২০২৩, https://americasmi.com/insights/media-consumption-latin-america/?utm_source=chatgpt.com
৭) ব্রিটিশ কাউন্সিল, ‘লার্নিং ইংলিশ ইন ব্রাজিল – আন্ডারস্ট্যান্ডিং দি এইমস অ্যান্ড এক্সপেক্টেশনস অফ দ্য ব্রাজিলিয়ান ইমার্জিং মিডল ক্লাসেস’, ২০২৪, https://www.britishcouncil.org.br/sites/default/files/learning_english_in_brazil.pdf?utm_source=chatgpt.com, accessed 24 January 2025.
৮) লোপেজ, ‘ডি-ওয়েস্টার্নাইজেশন, ডেমোক্রেটাইজেশন, ডিসকানেকশন – দি ইমার্জেন্স অফ ব্রাজিল’স পোস্ট-ডিপ্লোম্যাটিক ফরেন পলিসি’
৯) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ এবং কারিন ভাসকেজ, ‘ব্রাজিল’স পজিশন ইন দ্য রাশিয়া-ইউক্রেন ওয়ার – ব্যালান্সিং প্রিন্সিপলড প্র্যাগমাটিজম হোয়াইল কাউন্টারিং ওয়েপনাইজড ইন্টারডিপেন্ডেন্স’, কনটেম্পোরারি সিকিউরিটি পলিসি ৪৫, নম্বর ৪ (২০২৪) – ৫৯৯-৬১১
১০) ফোয়া প্রমুখ, ‘আ ওয়ার্ল্ড ডিভাইডেড – রাশিয়া, চায়না অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’
১১) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ, ‘আমেরিকানিজমো, আন্তিআমেরিকানিজমো অউ দেসামেরিকানিজমো?’ ইন উমা পারচেরিয়া বিচেন্তেনারিয়া – পাসসাদো, প্রেজেন্তে এ ফুতুরো দাস রেলাকেস ব্রাজিল-এস্তাদোস উনিদোস, ফার্নান্দা মানিয়োত্তা সম্পাদিত (ব্রাজিলিয়া- ফুনাগ, ২০২৪), পৃষ্ঠা ৩৬১-৩৭৬
১২) লোপেজ, ‘ডি-ওয়েস্টার্নাইজেশন, ডেমোক্রেটাইজেশন, ডিসকানেকশন – দি ইমার্জেন্স অফ ব্রাজিল’স পোস্ট-ডিপ্লোম্যাটিক ফরেন পলিসি’
১৩) লোপেজ এবং ভাসকেজ, ‘ব্রাজিল’স পজিশন ইন দ্য রাশিয়া-ইউক্রেন ওয়ার – ব্যালান্সিং প্রিন্সিপলড প্র্যাগমাটিজম হোয়াইল কাউন্টারিং ওয়েপনাইজড ইন্টারডিপেন্ডেন্স’
১৪) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ, ‘দ্য প্লেস অফ ব্রাজিল অ্যাট দ্য ভ্যাকসিন লাইন’, ইন ২০২১ – দ্য ইয়ার অফ ভ্যাকসিনস, নিউ দিল্লি, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মার্চ ১১, ২০২১; ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ, ‘লিডারশিপ চ্যালেঞ্জেস ইন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেনস – দ্য স্টোরি অফ ব্রাজিল’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ২০২১
১৫) জেওংমিন সিয়ং প্রমুখ, ‘জিওপলিটিক্স অ্যান্ড দ্য জিওমেট্রি অফ গ্লোবাল ট্রেড – ২০২৫ আপডেট, ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট, ২০২৫, https://www.mckinsey.com/mgi/our-research/geopolitics-and-the-geometry-of-global-trade-2024-update
১৬) ডাউয়িসন বেলেম লোপেজ, ‘ইউএস-চায়না পাওয়ার স্ট্রাগল অ্যান্ড ইটস রিপল এফেক্টস ইন ব্রাজিল অ্যান্ড লাতিন আমেরিকা’, ডব্লিউবিও নিউজলেটার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, https://www.braziloffice.org/en/articles/us-china-power-struggle-and-its-ripple-effects-in-brazil-and-latinamerica
১৭) লেওনার্দো মিয়াজ্জো, ‘ব্রাজিল চের্তামেন্তে তেরা প্রেজুইজোস কম ট্রাম্প এ ২০২৬ প্রেঅকুপা, দিজ উনো ডিগ্রে এম্বাইক্সাদর দে লুলা নস ইইউএ’, কার্তাকাপিতাল, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, https://www.cartacapital.com.br/politica/brasil-certamente-tera-prejuizos-com-trump-e-2026-preocupa-diz-1oembaixador- de-lula-nos-eua/
১৮) সিএনএন ব্রাজিল, ‘প্রিমেইরো ভু কম ব্রাজিলেইরস দেপোর্তাদস পোর ট্রাম্প চেগা আও ব্রাজিল হোয়ে’, ২০২৫, https://www.cnnbrasil.com.br/nacional/sudeste/mg/primeiro-voo-com-brasileiros-deportados-por-trump-chegaao- brasil-hoje/
১৯) ডেভিড আলিরে গার্সিয়া, ‘মেক্সিকান লিডার স্ট্রেসেস সভেরেনিটি, হোল্ডস অফ অন রিটালিয়েটরি ট্যারিফ থ্রেটস’, রয়টার্স, জানুয়ারি ২১, ২০২৫, https://www.reuters.com/world/americas/mexico-president-stresses-defense-countrys-sovereignty-after-initialtrump- 2025-01-21/
২০) ডিয়ারবেল জর্ডন, ‘পানামা রিজেক্টস ট্রাম্প ভাও টু ‘টেক ব্যাক’ পানামা ক্যানাল’, বিবিসি নিউজ, জানুয়ারি ২০, ২০২৫, https://www.bbc.com/news/articles/c2egwzvp080o
২১) রেডাচাও জি১, ‘আপোস ব্রিগা এন্ত্রে ট্রাম্প এ পেত্রো, দেপোর্তাদোস কলম্বিয়ানোস চেগাম আ বোগোতা – ডিনস, সেম আলগেমাস’, ২০২৫, https://g1.globo.com/mundo/noticia/2025/01/28/primeiros-deportados-dos-eua-chegam-a-colombia-emaviao- da-forca-aerea-do-pais.ghtml
২২) দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ব্রাজিল’স অফিস, ‘লুলা স্পিকস উইথ মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট’, ২০২৫, https://www.gov.br/planalto/en/latestnews/ 2025/01/lula-speaks-with-mexican-president
২৩) ফ্রান্স ২৪, ‘আর্জেন্তিনা’স মিলেই সেজ উড লিড মের্কোসুর ফর ইউএস ট্রেড ডিল’, ২০২৫, https://www.france24.com/en/livenews/ 20250122-argentina-s-milei-says-would-leave-mercosur-for-us-trade-deal
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dawisson Belém Lopes is professor of international and comparative politics, Federal University of Minas Gerais (UFMG); and research fellow, National Council for Technological and Scientific ...
Read More +