-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনের প্রতি ঢাকার মনোভাবের মাঝেই বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য স্থানান্তর চুক্তি বাতিলের ঘটনা গভীর কূটনৈতিক উত্তেজনাকেই দর্শায় এবং ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরে।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নয়াদিল্লি সেই ট্রান্সশিপমেন্ট বা পণ্য স্থানান্তর সংক্রান্ত সুবিধা বাতিল করেছে, যাতে বাংলাদেশকে ভারতীয় ভূখণ্ডে শুল্ক স্টেশন, বন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে তৃতীয় কোনও দেশে পণ্য রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই পদক্ষেপ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তি বাতিল করা, যা বাংলাদেশি রফতানিকে ভারতে পণ্য স্থানান্তরের সুযোগ করে দেয়। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ভূখণ্ডে যে সব পণ্য প্রবেশ করেছে, সেগুলি পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সরকার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যুক্তি দিয়েছে, ভারতীয় রফতানিকারকরা অভিযোগ করেছেন যে, পরিবহণ সংক্রান্ত বিলম্ব, ক্রমবর্ধমান খরচ এবং বাংলাদেশি পণ্যের কারণে বন্দর ও বিমানবন্দরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে এ হেন কারণ ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। সর্বোপরি, ভারত গত দুই দশক ধরে বিশাল ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের একমুখী, শূন্য-শুল্ক প্রবেশাধিকার প্রদান করে আসছে। অতএব, এই সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাবগুলি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটের বিপরীতে বিশ্লেষণ করা উচিত। কারণ গত বছরের অগস্ট মাসে বাংলাদেশের ঢাকায় শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর থেকে এই সম্পর্ক ক্রমশ নিম্নমুখী।
ভারতীয় সরকার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যুক্তি দিয়েছে, ভারতীয় রফতানিকারকরা অভিযোগ করেছেন যে, পরিবহণ সংক্রান্ত বিলম্ব, ক্রমবর্ধমান খরচ এবং বাংলাদেশি পণ্যের কারণে বন্দর ও বিমানবন্দরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে এ হেন কারণ ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে।
বন্ধুত্বের মাঝেও বিচ্যুতিরেখা
নয়াদিল্লির আওয়ামী লীগ প্রশাসনের প্রতি সমর্থনের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহিষ্কারের জন্য দেশব্যাপী বিক্ষোভের একটি স্পষ্ট ভারত-বিরোধী মনোভাব ছিল। পরবর্তী কালে, প্রত্যর্পণের আবেদনের মুখে হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়া এবং বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার পুনরাবৃত্তির খবর পাওয়ায় বিষয়টি জটিল হয়ে ওঠে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার জন্য ভারতের উপর দোষ চাপানোর বারবার প্রচেষ্টা এবং ভারতের কৌশলগত সংবেদনশীলতা বিবেচনা না করে পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার স্পষ্ট প্রচেষ্টা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একসময়ের সমৃদ্ধ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উল্লেখযোগ্য রকমের দুর্বল করে দিয়েছে। মার্চের শেষের দিকে বেজিংয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে একটি বিতর্কিত বিবৃতি দেওয়ার পর বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সম্বোধন করে ইউনূস মন্তব্য করেন, ‘পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য - যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত - একটি স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। ওই রাজ্যগুলির সমুদ্রে সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই। এই সমগ্র অঞ্চলের জন্য আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সুযোগের দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির জন্য এমন একটি সম্প্রসারণ হয়ে উঠতে পারে - জিনিসপত্র তৈরি করা, জিনিসপত্র উৎপাদন করা, জিনিসপত্র বাজারজাত করা, চিনের পণ্য আনা এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে রফতানি করা।’
কৌশলগত ভুল হিসাব?
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তৃতীয় দেশকে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার রাজনৈতিক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপের পাশাপাশি লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশ চিনা বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত লালমনিরহাট ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্তকারী সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত। উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজনৈতিক ভাবে একটি সংবেদনশীল অঞ্চল। এই অঞ্চলটি বিদ্রোহের ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত এবং অরুণাচল প্রদেশে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, নয়াদিল্লি এই অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক এবং এই অঞ্চলের কাছাকাছি যে কোনও অঞ্চলে চিনা যুদ্ধবিমান মোতায়েন করার যে কোনও প্রকারের প্রস্তাব ভারতের জন্য গুরুতর নিরাপত্তাগত প্রভাব বহন করে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজনৈতিক ভাবে একটি সংবেদনশীল অঞ্চল। এই অঞ্চলটি বিদ্রোহের ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত এবং অরুণাচল প্রদেশে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
ইউনূসের বক্তব্য কেবল বিতর্কিতই নয়, বরং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতাকেও দর্শায়। এটি ভারতের কৌশলগত সংবেদনশীলতার প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞার প্রতিফলন, যা একসময় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছিল। ভারত ও বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম সীমান্ত এবং গভীর ভাবে প্রোথিত আন্তঃনির্ভরশীলতা ভাগ করে নেয়। বাংলাদেশের এ হেন মনোভাব ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পর্কে বোধগম্যতার অভাবকেও দর্শায়। ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের বন্দর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে আরও সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার থেকে অবশ্যই উপকৃত হতে পারে। তবে এই রাজ্যগুলি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর দিয়েও সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে এবং মায়ানমারের উপকূলরেখায় অবস্থিত সিটওয়ে বন্দরের পরিচালনার অধিকারও তাদের রয়েছে। ফলস্বরূপ, ঢাকাই ‘মহাসাগরের অভিভাবক’… এ হেন দাবি বাংলাদেশের ভূমিকাকে অতিরঞ্জিত করে এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সামুদ্রিক ভূগোলকে উপেক্ষা করে, যা সমস্ত উপসাগরীয় উপকূলীয় দেশগুলির জন্য একটি সহযোগিতামূলক পরিসর। সর্বোপরি, বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানে ট্রানজিট বাণিজ্যের জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপর নির্ভর করে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য ভারতে পণ্য স্থানান্তরের সুবিধার উপর নির্ভর করে। তাই পণ্য স্থানান্তরের সুবিধা প্রত্যাহারে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রফতানিকারকদের, বিশেষ করে অগ্রণী রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের (আরজিএম) উপর প্রভাব ফেলেছে।
প্রায় ৪,০০০ কারখানা জুড়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প গত অর্থবর্ষে ৩৬টি দেশে প্রায় ০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৩৫,০০০ টন পোশাক রফতানি করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি রফতানি-অবকাঠামোগত ভাবে দুর্বল। ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর হল বাংলাদেশি রফতানির জন্য একমাত্র বিমান ও সমুদ্রপথ। ঢাকার পানগাঁও কন্টেনার টার্মিনাল এবং মংলা ও আশুগঞ্জ বন্দরের মতো অন্যান্য সংযোগ কেন্দ্র পণ্য ও কন্টেনারের সীমিত ধারণক্ষমতা বহন করে এবং তৈরি হওয়া পোশাক রফতানির জন্য উপযুক্ত নয়, যা আসলে একটি জেআইটি (জাস্ট-ইন-টাইম) শিল্প। অন্য দিকে, ভারতের নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের ১৫০ একর কার্গো সুবিধা, সমন্বিত টার্মিনাল, একটি লজিস্টিক সেন্টার ও বিস্তৃত বিমান সংযোগ দিয়ে সজ্জিত এবং কলকাতা হয়ে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত। অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ও সম্ভাব্য টার্মিনাল যানজট সত্ত্বেও ভারত একটি কাঙ্ক্ষিত প্রতিবেশীর প্রতি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে পরিবেশগত খরচ বহন করে বিনামূল্যে বাংলাদেশকে এই উন্নত অবকাঠামো প্রদান করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি রফতানি-অবকাঠামোগত ভাবে দুর্বল। ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর হল বাংলাদেশি রফতানির জন্য একমাত্র বিমান ও সমুদ্রপথ।
এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের আরজিএম শিল্প ইতিমধ্যেই লোহিত সাগরের সরবরাহ শৃঙ্খল সঙ্কট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ভুগছে (যার কারণে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় পণ্য পরিবহণের জন্য ছোট সুয়েজ খাল পথের পরিবর্তে কেপ অফ গুড হোপ দিয়ে নতুন পথ তৈরি করতে হচ্ছে) এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্কের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে (বর্তমানে অবশ্য স্থগিত)।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ হ্রাস বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) করিডোরের অগ্রগতিকেও ব্যাহত করছে, যা ২০২১ সাল থেকে ক্রমশ জোরদার হয়ে উঠছিল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই জটিল সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভাল ইঙ্গিত দেয় না। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে কম সংহত অঞ্চল হিসেবে রয়ে গিয়েছে, যেখানে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশের জন্য দায়ী এবং আসিয়ান (২৫ শতাংশ), উত্তর আমেরিকা (৪০-৫০ শতাংশ) এবং ইইউ-র (৬০-৬৫ শতাংশ) চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। এই পরিস্থিতি এই অঞ্চলের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধা মোকাবিলায় সক্ষম স্থিতিশীল, পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্য কাঠামোর জরুরি প্রয়োজনীয়তা দর্শায়। এ ছাড়াও, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমিত সংযোগের দৃষ্টান্তগুলি ব্যাঙ্ককে ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষিত সংযোগের জন্য বিমস্টেক মাস্টার প্ল্যানের অধীনে বে অফ বেঙ্গল মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমস্টেক) উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও পরিবহণ সংযোগ পরিকল্পনাগুলিকে সম্ভাব্য ভাবে ব্যাহত করতে পারে। এই পরিকল্পনার অধীনে বিমস্টেক দেশগুলি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ২৫০টিরও বেশি প্রকল্পে ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করলে স্থলবেষ্টিত হিমালয় দেশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হত, যারা বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বন্দরের উপর যথেষ্ট নির্ভরশীল।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য কূটনীতি
মজার বিষয় হল, ইউনূসের মন্তব্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কৌশলগত দুর্বলতার অঞ্চল হিসেবে চিত্রিত করলেও নয়াদিল্লি এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ঢাকার ট্রানজিট বাণিজ্য অধিকার প্রত্যাহার করেনি। এর নেপথ্যে দু’টি কূটনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে; প্রথমত, অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশের নিজস্ব তৃতীয় দেশের বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পশ্চাদভূমি এবং ট্রানজিট অঞ্চল হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মূল্য উপলব্ধি করানো, বিশেষ করে পণ্য পরিবহণ সুবিধা বন্ধের আলোকে; এবং দ্বিতীয়ত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করা, বিশেষ করে যখন উপসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চল অর্থাৎ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টানাপড়েনের মধ্যে রয়েছে। ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করলে স্থলবেষ্টিত হিমালয় দেশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হত, যারা বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বন্দরের উপর যথেষ্ট নির্ভরশীল। নয়াদিল্লি একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রতি আগ্রহী, যা ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেকের সাম্প্রতিক ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেখানে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এই বৈঠকের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং উভয় পক্ষই বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যগুলি অবশ্য এখনও কাগজে-কলমে রয়ে গিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই সূক্ষ্ম পর্যায়ে কৌশলগত বিচক্ষণতা ও আঞ্চলিক আন্তঃনির্ভরতার পারস্পরিক স্বীকৃতি কেবল দ্বিপাক্ষিক স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বরং উভয় দেশ দীর্ঘকাল ধরে বিনিয়োগ করে আসছে এমন বৃহত্তর বঙ্গোপসাগরীয় কাঠামোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোহিনী বোস অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
পৃথ্বী গুপ্ত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Sohini Bose is an Associate Fellow at Observer Research Foundation (ORF), Kolkata with the Strategic Studies Programme. Her area of research is India’s eastern maritime ...
Read More +Prithvi Gupta is a Junior Fellow with the Observer Research Foundation’s Strategic Studies Programme. Prithvi works out of ORF’s Mumbai centre, and his research focuses ...
Read More +