গত কয়েক বছরে দু’টি সশস্ত্র সংঘাত মানুষকে বর্তমান বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করেছে এবং বিশ্বকে এমন মাত্রার মেরুকরণের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা ঠান্ডা লড়াইয়ের পর থেকে এই প্রথম ঘটেছে।
২০২২ সাল থেকে বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না, যখন অন্য দিকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের উত্তেজনা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মৃত্যু এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আসলে এই সঙ্কটগুলি প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জের অক্ষমতাকে দর্শায়।
এই ধরনের অস্থিরতার সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি সমাধান প্রস্তাব করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত ও আইনের মুখাপেক্ষী। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) ইজরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন দ্বারা করা মামলায় তার সাম্প্রতিক রায়ের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। আগ্রাসী দেশের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দুই দেশের ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে একই রকম মনে হলেও উভয়ের সত্য একই রকম হতে পারে না।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) ইজরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন দ্বারা করা মামলায় তার সাম্প্রতিক রায়ের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া মামলা
২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইসিজে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের পরে ইউক্রেন দ্বারা দায়ের করা গণহত্যা মামলার এক্তিয়ার এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে রাশিয়ার উত্থাপিত প্রাথমিক আপত্তির উপর একটি নিয়ম জারি করে।
আশ্চর্যের বিষয় হল, এই মামলাটি তার ইতিহাসে আইসিজে-র সামনে তুলে ধরা সমস্ত গণহত্যার মামলা থেকে আলাদা। অন্য যে কোনও গণহত্যার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই দাবি করা হয় যে, উত্তরদাতা দেশ গণহত্যার জন্য দায়ী বা গণহত্যার কাজে সহায়তা করেছে। যাই হোক, বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে ইউক্রেন দাবি করেছে যে, রাশিয়া তার ভূখণ্ডে রুশ বা রুশভাষী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গণহত্যা মামলায় ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছিল। এবং এই উদাহরণকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নিজের বেআইনি আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছে রাশিয়া, যা জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে একটি ‘বিতর্ক’র জন্ম দিয়েছে। ফলে এটিকে বিপরীতমুখী গণহত্যার মামলা বলা যেতে পারে।
এই ধরনের উদ্ভাবনী যুক্তি উপস্থাপনের নেপথ্যে ইউক্রেন দু’টি যুক্তি দর্শিয়েছে। প্রথমটি ছিল এই যে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় রাশিয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ লঙ্ঘন করলেও কোনও আন্তর্জাতিক আদালতেই বিষয়টি তুলে ধরার মতো কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি এবং দ্বিতীয়টি হল রুশ নেতাদের দ্বারা সংঘটিত আগ্রাসনের অপরাধের বিচারের অভাব। এর পরিবর্তে ইউক্রেন আবার রাশিয়াকে আদালতে আনার জন্য গণহত্যা কনভেনশনে বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান ব্যবহার করেছে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে আদালত অস্থায়ী ব্যবস্থার বিষয়ে তার আদেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ইউক্রেনের সৃজনশীল যুক্তিটি সত্যিই প্রশংসনীয় এবং এর ভিত্তিতে রাশিয়াকে ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানগুলি অবিলম্বে স্থগিত করা’র নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশ রুশ ফেডারেশন সম্ভবত উপেক্ষা করেছে।
যাই হোক, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেওয়া আদালতের রায়ে আইসিজে রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক আপত্তিকে এই বলে বহাল রাখে যে, গণহত্যার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বলপ্রয়োগ জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় পড়ে না। এর কারণ হল, যদি একটি মামলা জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে আনা হয়, তা হলে বর্তমান মামলার মতোই আইসিজে আক্রমণের বৈধতা বা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না… এ হেন অন্যান্য প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে পারে না। উপরন্তু, গণহত্যার মিথ্যা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আগ্রাসনকে সম্বোধন করে… এ হেন কোন ধারা বর্তমানে কনভেনশনের মধ্যে বিদ্যমান নেই।
এই ধরনের উদ্ভাবনী যুক্তি উপস্থাপনের নেপথ্যে ইউক্রেন দু’টি যুক্তি দর্শিয়েছে। প্রথমটি ছিল এই যে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় রাশিয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ লঙ্ঘন করলেও কোনও আন্তর্জাতিক আদালতেই বিষয়টি তুলে ধরার মতো কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি এবং দ্বিতীয়টি হল রুশ নেতাদের দ্বারা সংঘটিত আগ্রাসনের অপরাধের বিচারের অভাব।
এর অর্থ হল এই যে, আগামিদিনে আদালত কেবলমাত্র এই সিদ্ধান্তই নেবে যে, ইউক্রেন প্রকৃতপক্ষে গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে কি না, যেমনটা রাশিয়া অভিযোগ করেছে। এর পাশাপাশি আদালত এ-ও বিবেচনা করবে যে, পরোক্ষ ভাবে ছাড়া রাশিয়ার দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইজরায়েল মামলা
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত যেদিন তার প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন করেছিল, সেদিন আইসিজে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় একটি নিয়ম জারি করে, যার লক্ষ্য ছিল গাজায় ইজরায়েল কর্তৃক গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রথমত, এটি যথেষ্ট কৌতূহলের উদ্রেক করে যে, কেন দক্ষিণ আফ্রিকা – এমন একটি দেশ, যার আপাতদৃষ্টিতে এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কোনও স্বার্থ নেই –ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রশ্নটির উত্তর হল এই - যেমনটা আইসিজে রায়েও বলা হয়েছে – ‘গণহত্যা কনভেনশনের যে কোনও রাষ্ট্রপক্ষ অন্য রাষ্ট্রের পক্ষে দায়িত্ব নিতে পারে, যার মধ্যে আদালতের সামনে বিচারকার্যের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কনভেনশনের অধীনে মেনে চলতে ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে এবং সেই ব্যর্থতার অবসান ঘটাতে বাধ্যবাধকতা দর্শাতে পারে।’ যেহেতু উভয় দেশই জেনোসাইড কনভেনশনের বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত, তাই দক্ষিণ আফ্রিকা জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে বাধ্যতামূলক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে আদালতে বিরোধী মামলা দায়ের করতে পারে।
যেহেতু আলোচ্য বিষয়টির শুনানি অস্থায়ী ব্যবস্থা সম্পর্কিত ছিল, তাই আদালতকে এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে হবে যে, অস্থায়ী ব্যবস্থা জারির আদেশের জন্য নির্ধারিত মান বাস্তবিকই পূরণ করা হয়েছে কি না। এর অর্থ এই নয় যে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রমাণ করতে হবে যে, ইজরায়েল আসলে গাজায় গণহত্যা করছে। বরং এ কথা বলা যায় শুধুমাত্র জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে অধিকার রক্ষা এবং বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দাবিটি সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিবৃতি, ইজরায়েলি নেতাদের বক্তব্য, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ইত্যাদির আলোকে আদালত বলেছে যে, গাজায় বর্তমানে গণহত্যার মতো পরিস্থিতির একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে।
সর্বোপরি, এই রায়টি ফিলিস্তিনি জনগণকে একটি স্বতন্ত্র জাতীয় গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করতে চলেছে। এটি এমন এক সত্য, যা গণহত্যার অপরাধ প্রমাণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি নির্দিষ্ট গণহত্যার অভিপ্রায়ের অস্তিত্বের যৌক্তিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা প্রমাণ করা এই অপরাধ প্রমাণ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষিত।
আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের বেশির ভাগ ব্যবস্থাই মঞ্জুর করেছে, যার মধ্যে রয়েছে, ইজরায়েলকে অবশ্যই গণহত্যার প্রত্যক্ষ ও জনসাধারণের উস্কানি প্রতিরোধ করার জন্য ও শাস্তি দেওয়ার জন্য তার ক্ষমতার মধ্যে থাকা সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং গাজাকে মানবিক সহায়তার বিধান সক্ষম করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে। সর্বোপরি, এই রায়টি ফিলিস্তিনি জনগণকে একটি স্বতন্ত্র জাতীয় গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করতে চলেছে। এটি এমন এক সত্য, যা গণহত্যার অপরাধ প্রমাণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি নির্দিষ্ট গণহত্যার অভিপ্রায়ের অস্তিত্বের যৌক্তিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা প্রমাণ করা এই অপরাধ প্রমাণ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষিত।
যাই হোক, আইসিজে-র রায়ে যে দু’টি বিষয় স্পষ্ট, তা হল:
১) গাজায় যুদ্ধবিরতির আদেশ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধ সত্ত্বেও আদালত ইজরায়েলকে একই আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। অতএব, ইজরায়েল তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার কোনও বাধ্যবাধকতা দেখায়নি, যেমনটি দেখা গিয়েছে।
২) গণহত্যার অভিপ্রায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা তথ্য সংগ্রহের কাজ এই ধরনের মামলার জন্য অপরিহার্য। যাই হোক, দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধ সত্ত্বেও আদালত ইজরায়েলকে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ পদ্ধতির মতো তথ্য-অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলিতে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করেছিল।
ইজরায়েলকে অবশ্যই গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি অথবা মৃত্যুর মতো কাজগুলিকে প্রতিরোধ করতে হবে… আদালত এ হেন রায় দিলেও এ কোনও নতুন কথা নয়। কারণ জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে ইজরায়েল ইতিমধ্যে এই বাধ্যবাধকতার আওতায় ছিল।
এই পরিস্থিতির আসল অর্থ কী?
উভয় রায় ঘোষণার পর থেকে বাস্তবে খুব বেশি বদল ঘটেনি। রাশিয়া ইউক্রেনে তার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের উপর উল্লেখযোগ্য মানবিক ক্ষতি সত্ত্বেও ইজরায়েল হামাসকে নির্মূল করার জন্য নিজের সংকল্পকে আরও জোরদার করেছে।
যেহেতু আইসিজে তার আদেশগুলি নিজে থেকে প্রয়োগ করতে পারে না এবং সম্মতি সুনিশ্চিত করার জন্য সর্বদা স্থবির রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের উপর নির্ভর করতে হয়, তাই চূড়ান্ত ভাবে রায় ঘোষণার পরেও – তা যখনই নেওয়া হোক না কেন – খুব বেশি পরিবর্তন হবে না।
এই সিদ্ধান্তগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা প্রয়োগ করা না হলেও সেগুলি প্রায়শই এই বিকেন্দ্রীভূত প্রভাব ফেলে যে, কী ভাবে রাষ্ট্রগুলি বিবাদে জড়িত পক্ষগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছে।
তা সত্ত্বেও, আইসিজে-র সিদ্ধান্তগুলি রাষ্ট্রগুলির কার্যকলাপের বৈধতা বা অবৈধতা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী ধারণাগুলিকে পুনরায় আকার দিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারে। এই সিদ্ধান্তগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা প্রয়োগ করা না হলেও সেগুলি প্রায়শই এই বিকেন্দ্রীভূত প্রভাব ফেলে যে, কী ভাবে রাষ্ট্রগুলি বিবাদে জড়িত পক্ষগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছে। উদাহরণস্বরূপ, আইসিজে এই উপদেষ্টা মতামত জারি করে যে, ২০০৪ সালে ইজরায়েল-ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক প্রাচীর নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রাচীর নির্মাণের কাজটি বিশ্বব্যাপী নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে এবং ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আলোচনাকে প্রভাবিত করেছে।
আন্তর্জাতিক আইনে প্রথাগত অর্থে প্রয়োগযোগ্যতার অভাব থাকলেও এবং সেটি ত্রুটিপূর্ণ ও হতাশাজনক হলেও তার প্রভাব দেশের মতামত ও নীতি গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ। আইসিজে-র অপূর্ণতা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক আইন বিশ্ব প্রশাসনের বিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অপূর্ণতা স্বীকার করা আমাদের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে শৃঙ্খলা ও সহযোগিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তার অপরিহার্য ভূমিকাকে খর্ব করে না।
উদয়বীর আহুজা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.