১০ জুলাই কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর পর্যায়ের অষ্টম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পঞ্চম সদস্য হিসাবে যোগদান করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রাধান্য বৃদ্ধির সময় সাম্প্রতিক এই অগ্রগতি সিএসসি-র ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরে। ২০২০ সালে এর পুনরুজ্জীবনের পর থেকে সিএসসি-র সদস্যপদ সম্প্রসারণ ঘটেছে, এবং এই অঞ্চলে নিরাপত্তা স্থাপত্যের প্রচার ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য সিএসসি একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একটি দ্রুত বিকাশশীল নিরাপত্তা পরিবেশে সিএসসি ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলিকে ভূখণ্ডভিত্তিক নিরাপত্তা চিন্তা থেকে আরও এগিয়ে সামুদ্রিক বিপদ ও স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও একত্রে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে৷
সিএসসি-র সূচনা ২০১১-এ, যখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ তাদের প্রথম ত্রিপাক্ষিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) স্তরের আলোচনা শুরু করে, যেখানে সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ-এর বিপদ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করা হয়।
সিএসসি-র সূচনা ২০১১-এ, যখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ তাদের প্রথম ত্রিপাক্ষিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) স্তরের আলোচনা শুরু করে, যেখানে সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ-এর বিপদ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করা হয়। যাই হোক, ২০১৪-২০২০ সালের মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলি ও পার্থক্যের একটি পর্যায় এই আলোচনা থমকে রাখে। ২০২০ সালে সামুদ্রিক সহযোগিতার সুযোগ প্রসারিত করা, এনএসএ-স্তরের আলোচনাকে উন্নত করা এবং কলম্বো নিরাপত্তা কনক্লেভের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে মরিশাস, বাংলাদেশ ও সেশেলসকে গোষ্ঠীতে যুক্ত করা হয়, এবং ২০২১ সালে কলম্বোতে একটি সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে মরিশাস এই সংগঠনের সদস্য হয়। একই বছরে পাঁচটি স্তম্ভের একটি কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, পাচার ও আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, সাইবার নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি সুরক্ষা, এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ।
ক্ষুদ্রপাক্ষিকতা এবং সিএসসি-র সম্প্রসারণের জন্য চাপ
সিএসসি-র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য এই প্রয়াস বিকশিত বিশ্ব ব্যবস্থার একটি ফলাফল। যেহেতু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এখানে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, পাচার, জলদস্যুতা, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার হুমকি এবং সামুদ্রিক বিপর্যয় ও দুর্ঘটনার মতো প্রথাগত ও অপ্রথাগত চ্যালেঞ্জগুলি বেশি প্রকট হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (আইওআর) উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলি একটি শক্তিশালী সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্থাপত্যের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারত মহাসাগরে ক্ষুদ্রতর গোষ্ঠীগুলি প্রসারিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক পরিসর জুড়ে একটি ঘটনা, কারণ পরিসরটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য সহযোগিতা ও সমন্বয়ের নিশ্চয়তা দেয়, বিশেষ করে দ্বীপরাষ্ট্রগুলির জন্য যাদের সমুদ্রকে সুরক্ষিত করা বা আন্তর্জাতিক বিপদ মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই৷
যদিও ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) একমাত্র প্যান-ইন্ডিয়ান মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ফোরাম হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে, এবং প্রায়শই তা যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া এই পরিসরগুলির জটিল প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে একটি বহুপাক্ষিক বিন্যাস তার অংশীদার সমস্ত দেশের স্বার্থের দেখভাল করার জন্য অপ্রতুল বলে মনে হয়। এই লক্ষ্যে সিএসসি-র পরিধি তার সদস্য রাষ্ট্রগুলির তাৎক্ষণিক ভূগোলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ একটি পূর্ণ সদস্য হিসাবে সিএসসি-তে যোগদানের পর থেকেই সিএসসি একটি নতুন নির্মাণের প্রতিনিধিত্ব করছে — 'দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক কল্পনা' — যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগরীয় রাষ্ট্র হিসাবে ঢাকার পুনর্গঠনের উপর জোর দেয়। সিএসসি সদস্যদের জন্য এটি পশ্চিম ভারত মহাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি আন্তঃসংযুক্ত ভূগোল জুড়ে সহযোগিতার সুযোগ দেয়।
যদিও ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) একমাত্র প্যান-ইন্ডিয়ান মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ফোরাম হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে, এবং প্রায়শই তা যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে সিএসসি-র সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশের যোগদান একটি স্বাগত ঘটনা বলে মনে হয়। তার ছোট প্রতিবেশীদের মতো ভারতও তার সামুদ্রিক প্রতিবেশী অঞ্চলে একটি সহযোগিতামূলক ও একত্রে কাজ করার পরিবেশের প্রসারে আগ্রহী, বিশেষ করে তার অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির (সাগর) দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। আইওআর-এ এর প্রভাব ও উপস্থিতি বজায় রাখতে এবং এর নিরাপত্তার প্রসারের জন্য এই সহযোগিতামূলক পদ্ধতিটি গুরুত্বপূর্ণ। সিএসসি এইভাবে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সুযোগ দেয়। এই উন্নয়ন দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ভারত মহাসাগরে চিনের উপস্থিতির মোকাবিলা করা। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে শুরু হওয়া চায়না-ইন্ডিয়ান ওশান ফোরাম একটি প্রতিযোগী আঞ্চলিক ফোরাম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা গঠনে একটি অনুঘটক হিসাবে দিল্লির ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, সিএসসি-তে জড়িত সদস্য রাষ্ট্রগুলি ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চিন দিল্লির প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে, এমন একটি সম্ভাবনার সময় একটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্থাপত্যের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ভারতের প্রচেষ্টাকে তার সন্নিহিত সামুদ্রিক প্রতিবেশকে সুরক্ষিত করতে, প্রতিবেশীদের সাথে আরও ভাল প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রসার ঘটাতে, এবং ভারতের উদ্বেগের প্রতি তাদের সংবেদনশীল করতে সহায়তা করতে পারে।
সিএসসি-র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ
সিএসসি-কে পুনরুজ্জীবিত ও সম্প্রসারিত করায় পারস্পরিক স্বার্থ জড়িত থাকায় তাদের কার্যক্রমে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। সংগঠনটি নিয়মিত এনএসএ এবং ডেপুটি এনএসএ পর্যায়ের বৈঠক করে, যার মধ্যে এনএসএ-রা সংগঠনের জন্য একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করেন এবং ডেপুটি এনএসএ-রা সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের তত্ত্বাবধান করেন। এর সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্তম্ভের অধীনে ২০২২ সালে সিএসসি তার প্রথম সামুদ্রিক ও হাইড্রোগ্রাফিক সম্মেলন এবং উপকূলীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল।
প্রথম সম্মেলনটির পর থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় পুনরাবৃত্তিও হয়েছে এই বছরের জানুয়ারিতে। এতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা পর্যালোচনা এবং আরও সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণ করার জন্য সমুদ্রবিদ্যা ও হাইড্রোগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন। এই সহযোগিতার যে সব ক্ষেত্র অন্বেষণ করা হচ্ছে তার মধ্যে আছে প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ, যৌথ অভিযান, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সামুদ্রিক দুর্ঘটনার পরিবেশগত প্রভাবের মূল্যায়ন, নোনা জল বিশুদ্ধকরণ, উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞানীরা এমনকি অ্যান্টার্কটিক ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে অভিযানে সহযোগিতা শুরু করেছেন। সহযোগিতার প্রসার এবং সমুদ্র সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে ২০২৩ সালে একটি ওশান ইনফরমেশন সার্ভিসেস পোর্টালও চালু করা হয়েছে।
প্রথম সম্মেলনটির পর থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় পুনরাবৃত্তিও হয়েছে এই বছরের জানুয়ারিতে।
অন্যদিকে, উপকূলীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনটি সামুদ্রিক ও উপকূলীয় হুমকি নিয়ে আলোচনা করতে এবং তথ্য আদান-প্রদানের প্রসারের উপায় অন্বেষণ করতে কোস্টগার্ডের প্রধান এবং অন্য অংশীদারদের একত্রিত করে। এই বছরের শেষের দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একইভাবে, সিএসসি-র সদস্যেরা সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাস অর্থায়ন, পাচার, সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ এবং সামুদ্রিক দূষণের ক্ষেত্রেও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সামুদ্রিক আইন বিষয়ক কর্মশালার পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তা, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞ, মাদক ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সিএসসি-র সদস্যরাও এই সব বিষয়ে হয় কাজ করছে বা এই সব বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রস্তাব করছে।
চ্যালেঞ্জ
যদিও সিএসসি-র একত্রীকরণ তার সদস্যপদ সম্প্রসারণের সঙ্গে স্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে, ফোরামের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। প্রথম চ্যালেঞ্জটি চিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। চিনের সঙ্গে সিএসসি সদস্যদের বৈচিত্র্যময় ও জটিল সম্পর্ক রয়েছে। নয়াদিল্লির জন্য, চিনের স্থায়ী অঞ্চল এবং সামুদ্রিক সম্প্রসারণ ও সমুদ্রের অস্ত্রায়ন একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান পদচিহ্ন দীর্ঘকাল ধরে ভারতের কৌশলগত চিন্তাকে তার প্রাথমিক আগ্রহের ক্ষেত্রে সতর্ক রেখেছে। তবে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, মরিশাস ও বাংলাদেশের মতো দেশের চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ ও মরিশাসের মতো দেশের ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থনৈতিক নির্ভরতা এবং চিনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া আইওআর সদস্যদের আরও চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ার উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ভিন্নতর উপলব্ধি এবং চিনের সঙ্গে সদস্যদের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা সিএসসি-র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
একটি দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয় যে সিএসসি-র সকল সদস্য দেশেই গণতন্ত্র রয়েছে এবং তাদের বিদেশনীতি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ। ২০১৪-২০২০ সালে সংস্থার ছয় বছরের বিরতি, এবং পূর্ববর্তী এনএসএ-স্তরের বৈঠকে মলদ্বীপের অনুপস্থিতি এই চ্যালেঞ্জকে আরও জোরদার করে। যদিও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সর্বশেষ ডেপুটি এনএসএ আলোচনায় মলদ্বীপের অংশগ্রহণ এই ইঙ্গিত দেয় যে, দেশগুলি সিএসসি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতার গুরুত্ব বোঝে, এই সংস্থার কার্যকারিতায় দেশীয় রাজনীতির ভূমিকাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সর্বোপরি, এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচার এবং ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার রাজনীতিকরণের উপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে।
যাই হোক, সিএসসি-র জন্য চ্যালেঞ্জগুলি উদ্বেগের কারণ হলেও ফোরামের ভবিষ্যৎ পথ সম্পর্কে কিছু ধারণার প্রশংসা করা গুরুত্বপূর্ণ। সিএসসি-র সঙ্গে জড়িত সামুদ্রিক ভূগোল অপ্রথাগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদিও চিন প্রশ্নটি সিএসসি-এর মধ্যে মতবিরোধ বা ঐকমত্যের অভাব তৈরি করতে পারে, জলবায়ু পরিবর্তন-প্ররোচিত পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, জলদস্যুতা ও সামুদ্রিক সন্ত্রাস, এবং আইইউইউ ফিশিং প্ররোচিত স্থায়ী নিরাপত্তাহীনতা এই ফোরামের সদস্যদের সহযোগিতার দিকে চালিত করবে। উপরন্তু, সিএসসি যেহেতু একটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা-স্তরের ফোরাম, ভারতের জন্য সামুদ্রিক ফোকাস এই দৃষ্টিভঙ্গিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে যে একটি সামুদ্রিক দক্ষিণ এশিয়া তৈরির কাজ চলছে, এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্রমবর্ধমানভাবে ভূখণ্ডগত ধারণার বাইরে গিয়ে মেরিটাইম প্রিজমের মাধ্যমে দেখা হচ্ছে।
সায়ন্তন হালদার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী
আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.