Author : Kabir Taneja

Published on Apr 24, 2025 Updated 0 Hours ago

৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর আইসিস-‌এর পুনরুত্থান আসন্ন বলে উদ্বেগ বাড়ছে।

ইসলামিক স্টেটের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনার পর্যালোচনা

৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের আক্রমণের পর আবারও সন্ত্রাসবাদের বিপদ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হিসাবে উঠে এসেছে, যা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দাবিকে সামনে এনে দেয়। যদিও হামাস আলোচনায় এসেছিল, এবং এমনকি ইজরায়েল বনাম গাজার আখ্যানের বিশ্বব্যাপী বিভক্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও উপকৃত হয়েছিল, অন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান রাজনৈতিক সংঘর্ষকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে।

ইসলামিক স্টেটের (আইসিস বা আরবিতে দায়েশ নামেও পরিচিত) সম্ভাব্য পুনরুজ্জীবন শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং এই অঞ্চলের বেশিরভাগ রাজনৈতিক ও আদর্শগত বিভাজনের প্রশ্নে একটি মূল উদ্বেগ। কীভাবে অ-রাষ্ট্রীয় জঙ্গিরা দশকের পর দশক ধরে আদর্শগত যুদ্ধের গভীরে নিজেদের ডুবিয়ে রাখতে পারে, প্রায়শই তার একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরা হয় আফগানিস্তানে তালিবানের ২০২১ সালের 'বিজয়'-‌এর ঘটনাকে।

আইসিস-বিরোধী লড়াইয়ে ফিরে আসা?

২০১১ সালে পাকিস্তানে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়া জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে আসা আইসিসের অচলায়তন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার মূল কথনের কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে আনে। এই সময়কালে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উভয় শত্রু, তা সে আমেরিকা বা রাশিয়া হোক অথবা ইরান বা সৌদি আরব, তাদের একটি সাধারণ শত্রু ছিল। সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অছিলায়, কারণ যা দায়েশের বৃদ্ধির জন্য আংশিকভাবে অর্থায়ন করত মস্কো সেই তেল চোরাচালানকে লক্ষ্য করে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন ছিল। ইতিমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ২০১৭ সালে আইএসআইএস-‌কে ‘‌
পরাজিত’‌ করার লক্ষ্যে অপারেশন ইনহেরেন্ট রিজলভ শুরু করে।


সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অছিলায়, কারণ যা দায়েশের বৃদ্ধির জন্য আংশিকভাবে অর্থায়ন করত মস্কো সেই তেল চোরাচালানকে লক্ষ্য করে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন ছিল।



বছরের পর বছর ধরে আইসিস দুর্বল ও অবনমিত হয়েছে, এবং ২০১৯ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে এর
প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পর থেকে এই গোষ্ঠীর আমিরদের দক্ষতার সঙ্গে নির্মূল করা হয়েছে। তবে গাজা যুদ্ধের পরে আইসিসের পুনরুত্থানের বিপদ এখনও একটি হুমকি হিসাবে রয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে, আফ্রিকা ও আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের সহযোগী গোষ্ঠীগুলি শুধু তাদের উপস্থিতির প্রমাণই রাখেনি, বরং তাদের ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও আক্রমণ চালানোর জন্য যথেষ্ট শক্তি অর্জনের বিপদও তৈরি করেছে। ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসকেপি) এখনও এমন একটি সত্তা যা আফগান তালিবান ও পাকিস্তানি রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে, এবং মধ্য এশিয়ায় তাদের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফগানিস্তানের তালিবানরা তাদের এই বক্তব্যে অনড় রয়েছে যে আইএসকেপির মূল অংশ পাকিস্তানে রয়েছে এবং আফগানিস্তানে এই গোষ্ঠীর ‘‌কোনও ক্ষমতা নেই’‌। অন্যদিকে ইসলামাবাদ তাদের অঞ্চলগুলির বিরুদ্ধে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-‌এর অভিযানকে সমর্থন করার জন্য তালিবানকে দোষারোপ করে চলেছে।

সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি বিঘ্নিত করার আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ব্রিফিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ই সন্ত্রাসবাদকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি
ধারাবাহিক ও অবিরাম হুমকি হিসাবে তুলে ধরেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ সতর্ক করে দিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী প্রয়াস সত্ত্বেও আইসিস শক্তিশালী থাকবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক ভাঙন, বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতা ও তার পরিণতি জটিলতা আরও বাড়াচ্ছে। তবে এই সুপরিচিত জটিলতার বাইরে গাজার বিরাজমান পরিস্থিতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং সিরিয়ার নতুন বাস্তবতা আজ এই কথোপকথনের পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারে।
 
মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস-‌বিরোধিতা
 
তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের জমানার পতনকে পশ্চিমী শক্তিগুলি সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।
হায়াত তাহরির আল-শামের আহমেদ আল শারা (পূর্বে আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত) দামেস্কে দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তাঁর পূর্বের পরিচয় নিরাপত্তা আলোচনাকে নেড়েঘেঁটে দিচ্ছে। ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইজরায়েল যখন হামাস ও হিজবুল্লা উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে, তখন সংঘাতপূর্ণ এই অঞ্চলে আল শারার শাসনকে স্বাভাবিকীকরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়া ও ইরানের প্রভাব থেকে সে দেশকে বার করে আনা। তার উপর, আল শারার কাছে ইজরায়েলি রাষ্ট্রের আপাত-‌গ্রহণযোগ্যতা ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জিহাদি আখ্যান থেকেও বিযুক্ত।


মতাদর্শগত মিশ্রণের সূক্ষ্ম ও সুগঠিত অনলাইন প্রচারণার প্রভাবের তুলনায় ইসলামিক স্টেটের বর্বরতা ইরাক ও সিরিয়ায় আরও বেশি যোদ্ধাকে আকৃষ্ট করেছে।



আইএসআইএসের পুনরুত্থানের আশঙ্কা ভিত্তিহীন নয়। বছরের পর বছর ধরে গাজায় যুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে মৃত্যুর সংখ্যা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনে নিয়োগের জন্য একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠতে পারে। মতাদর্শগত মিশ্রণের সূক্ষ্ম ও সুগঠিত অনলাইন প্রচারণার প্রভাবের তুলনায় ইসলামিক স্টেটের বর্বরতা ইরাক ও সিরিয়ায় আরও বেশি যোদ্ধাকে আকৃষ্ট করেছে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদারির সময় আফগানিস্তানে এই ধরনের ইসলামপন্থী গতিশীলতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান-সমর্থিত মুজাহিদরা এক দশক ধরে আক্রমণকারী সোভিয়েত বাহিনীকে আমু দরিয়ার ওপারে ঠেলে দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিল। ২০২১ সালের আগস্টে মুজাহিদদের সমর্থনের দীর্ঘমেয়াদি মূল্য চোকাতে হয়েছিল, যখন আফগান প্রজাতন্ত্র এবং তার মার্কিন-প্রশিক্ষিত ও সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীগুলির দ্রুত পতনের পর তালিবান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে কাবুল থেকে তাড়িয়ে দেয়।

সিরিয়া ও ইরাকে আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিয়েছিল, এবং হারানো অঞ্চলগুলির দখল নিতে স্থল আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য দেশগুলিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আইসিস এই অঞ্চলের বেশিরভাগ সরকারের জন্য হুমকি হিসাবে রয়ে গিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আইসিস ও আল-কায়দা উভয়ই আরব বিশ্বের সরকার ও রাজতন্ত্রগুলিকে 'অ-ইসলামি' এবং পশ্চিমী শক্তির ঘনিষ্ঠ বলে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে, যদিও তাদের নিজস্ব পার্থক্য এবং অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত জনপ্রিয় বিদ্রোহকে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি সমর্থন করেছিল, কারণ তারা দীর্ঘদিনের ক্ষমতার কাঠামো ভেঙে ফেলার প্রয়াসের পক্ষপাতী ছিল, যার লক্ষ্য (কিন্তু মূলত ব্যর্থ) এই রাজধানীগুলিতে ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করা।

সিরিয়ার সরকারের পতনের পর আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিভাজন দেখা দিয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান মূলত বিমান শক্তি ব্যবহারভিত্তিক। স্থলভাগে, মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলি আইসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের
অগ্রভাগে রয়েছে। আমিরসহ শীর্ষ ইসলামিক স্টেট শ্রেণিবিন্যাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যকর প্রমাণ  সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কুর্দি মিলিশিয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এইচটিএসের নিয়ন্ত্রণ এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-‌এর মতো কুর্দি-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বর্তমান বিভাজন কিন্তু সমর্থনের উৎসও বিভক্ত করে, যেখানে পূর্ববর্তীটি তুর্কিয়ে থেকে আরও বেশি সমর্থন পাচ্ছে আর এসডিএফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন উপভোগ করছে। এসডিএফ আবার আল হোলের মতো শিবিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও দায়ী, যেখানে মৃত ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের পরিবারের হাজার হাজার সদস্য রয়েছে। এই বিভাজন এবং আইসিসের আবারও পা রাখার সম্ভাবনা কমাতে আঙ্কারা, জর্ডন, ইরাক ও সিরিয়ার নতুন সরকারগুলি, আইসিসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া তৈরির জন্য একটি নতুন সমবায় স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এখানে আইসিসের বিরুদ্ধে চালিকাশক্তি কৌশলগত, কিন্তু ভূ-রাজনীতিতে প্রোথিত;‌ কারণ তুর্কিয়ে পশ্চিমীদের কাছে কুর্দিদের প্রধান আইসিস-বিরোধী অংশীদার হিসাবে অবস্থানকে দুর্বল করতে চায়।


এসডিএফ আবার আল হোলের মতো শিবিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও দায়ী, যেখানে মৃত ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের পরিবারের হাজার হাজার সদস্য রয়েছে।



উপরোক্ত অবস্থাটি সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী অভিযানে আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্যও তৈরি করা হয়েছে, এবং তাও এমন এক সময়ে যখন ট্রাম্প তাঁর সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা ছাতার বিনিময়ে লেনদেনের মাধ্যমে লাভের সন্ধান করছেন। বিভাজন থাকা সত্ত্বেও আইসিসের উপস্থাপিত আদর্শগত হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন বাস্তব রাজনীতি ও আদর্শের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিময় পরিচালনা করা প্রয়োজন। চিরাচরিত রাস্তাটি হয়তো এই অ্যাডহক পদ্ধতিটি বোঝে না, তবে সেগুলি অবশ্যই আদর্শগত আখ্যানের চারপাশে একত্রিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এমনকি হামাসের প্রতিষ্ঠাতা
প্রয়াত শেখ আহমেদ ইয়াসিনও জিহাদি বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে একজন বিভেদ-‌সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সালে, ইসলামিক স্টেটের একটি মুখপত্র ইয়াসিনকে 'তাকফির' বা অবিশ্বাসী হিসাবে ঘোষণা করে, কারণ হামাস গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল এবং ইসলামের আগে রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। এদিকে, বিন লাদেন ইয়াসিনকে ইসলামের একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। এটি শুধু চরম ইসলামপন্থী মতাদর্শের মধ্যে ফাটলকেই তুলে ধরে না, যা সমস্ত আঞ্চলিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে মোকাবিলা করতে হবে, বরং এটিও দেখায় যে গাজা যুদ্ধ এবং বৃহত্তর প্যালেস্তাইন প্রশ্নের মতো একটি ভঙ্গুর বিষয়কে কীভাবে জটিলতাগুলি আচ্ছন্ন করে।

উপসংহার

ইসলামিক স্টেটের মতো একটি সত্তার সম্পূর্ণ ধ্বংস সম্ভব নাও হতে পারে, যা সমস্যার ব্যবস্থাপনা নীতির পুনর্বিন্যাস করে। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি দায়বদ্ধতা প্রয়োজন, যার পৃষ্ঠপোষকতা করা একা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কঠিন হতে পারে। আঞ্চলিক সক্ষমতা দ্বারা সমর্থিত একটি আঞ্চলিক পদ্ধতি, যা এখনও অনুপস্থিত, এই মতাদর্শগুলি মোকাবিলায় একটি ভূখণ্ডগত ও আঞ্চলিক অভিন্নতা তৈরি করতে পারে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ক্ষমতা এখনও আমেরিকার শক্তি প্রক্ষেপণের উপর দৃঢ়ভাবে নির্ভর করে;‌ এই শূন্যস্থান এবং ভূমিকা পূরণ করার জন্য অন্যদের ক্ষমতা প্রায় অস্তিত্বহীন।



কবির তানেজা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন ডেপুটি ডিরেক্টর ও ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.