Author : Sohini Bose

Occasional PapersPublished on Jan 06, 2024
ballistic missiles,Defense,Doctrine,North Korea,Nuclear,PLA,SLBM,Submarines
 Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তন: নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা

  • Sohini Bose

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক’ বা ‘ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি’ অঞ্চলটিতে তার স্বার্থের প্রক্ষেপণ এবং দেশটির রাজনৈতিকভাবে নির্জোট অবস্থান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধতার এক দলিল। আইনের প্রশাসন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর মনোনিবেশ করে এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিবেশী দেশ ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির জন্য বাংলাদেশকে সহায়ক অংশীদার করে তুলেছে। বাংলাদেশ চি, জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধা আদানপ্রদান-সহ একটি বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। যাই হোক, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ঢাকায় ক্ষমতার সম্ভাব্য পরিবর্তন এই অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এর নেপথ্যে প্রধান কারণ হল বাংলাদেশের নীতি ও অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা। এই নিবন্ধটিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দেশটির বর্তমান বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলি মূল্যায়ন করার পাশাপাশি সরকারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের প্রভাব পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়েছে

Attribution:

সোহিনী বোস, ‘কন্টিনিউটি অ্যান্ড চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’স ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক- ডেলিবারেটিং পোস্ট-ইলেকশন সিনারিওজ’, ওআরএফ অকেশনাল পেপার নম্বর ৪২৪, জানুয়ারি ২০২৪, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

ভূমিকা

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য ফলাফল এবং তার ফলে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক  চিত্র বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার উপর তার প্রভাব নিয়ে নানাবিধ মতামত রয়েছে। আওয়ামি লিগ দলের নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতায় রয়েছেন, যিনি ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ধারাবাহিক বিজয়ের ফলে পরপর তিনটি মেয়াদে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।(ক) তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উচ্চারিত সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কার প্রতি বিদ্বেষ নয়(খ) মন্ত্র দ্বারা চালিত হয়ে হাসিনার প্রশাসন দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ ও উন্নয়নমূলক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ ২০২১ সালে বাংলাদেশ স দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নেট অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) অর্থাৎ ৪.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড করেছে।(১)

ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ নানাবিধ কারণে এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ এক লোভনীয় মিত্র দেশ হয়ে উঠেছে। সর্বাগ্রে বঙ্গোপসাগরের উত্তরে এর অবস্থান (দ্রষ্টব্য মানচিত্র ১) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক গঠনকারী ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গমস্থলের কাছাকাছি হওয়ার দরুন বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ চোকপয়েন্ট ও জাহাজ চলাচলের পথগুলির উপর নজরদারি চালাতে পারে, যে পথে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি আমদানি এবং অন্যান্য সম্পদ-সহ জাহাজ মালাক্কা প্রণালীতে প্রবেশের আগে বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে চলাচল করে। সেই অনুযায়ী, উপসাগর এবং বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে আগ্রহী দেশগুলির জন্য বাংলাদেশ কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভৌগোলিক ভাবে, বাংলাদেশ তার স্থলবেষ্টিত পশ্চিমাঞ্চল (ভারতের উত্তর-পূর্ব এবং নেপাল ও ভুটানের মতো হিমালয় অধ্যুষিত দেশগুলি দ্বারা সমন্বিত) এবং চিনের মতো  প্রতিবেশী দেশগুলিকে সমুদ্রে সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার প্রদানের ক্ষেত্রেও দেশটি আদর্শ অঞ্চলে অবস্থিত।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তার ভূ-কৌশলগত সুবিধাগুলিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। একবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক দ্বারা ‘বাস্কেট কেস’ রূপে অভিহিত(গ)(২) দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে তার স্বল্পোন্নত দেশের তকমা(ঘ)(৩) ঘুচিয়ে ফেলতে প্রস্তুত।(৪) প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাঙ্ক বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য যাত্রাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।(৫) একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান যুব প্রজন্ম এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে প্রত্যাশী প্রধান শক্তিগুলির জন্য একটি লাভজনক বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত করেছে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্থলসেতু হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান তার বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। কারণ দেশটি উভয় ব্লকের বাজারগুলির জন্যই একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম।

 

মানচিত্র ১: বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অবস্থান

 Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

সূত্র: জয়া ঠাকুর, ভারতভিত্তিক স্বাধীন গবেষক দ্বারা নির্মিত

 

বাণিজ্যিক ভাবে কার্যকর কৌশলগত অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং তার প্রতিবেশী ভারতের মতো বৃহৎ শক্তির তরফে উন্নয়নমূলক সহায়তার প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাব পেয়েছে। এই ধরনের প্রস্তাবগুলি বাংলাদেশের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক এবং বেশির ভাগই সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য লাভজনক হলেও এগুলি সর্বদা শর্তনিরপেক্ষ নয়। কিছু ক্ষেত্রে, এই ধরনের সহায়তা দেশের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাভারসাম্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট কূটনৈতিক দক্ষতার পাশাপাশি একটি শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারেরও প্রয়োজন রয়েছে২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত ‘দি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক হেন নিপুণ কূটনীতির এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।(৬) একটি অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ অথচ দিকনির্দেশকারী নথি, ‘দি আউটলুক’-এ বাংলাদেশের স্বার্থ অগ্রাধিকারগুলি বর্ণনা করা হয়েছে, যা আগামী বছরগুলিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের মিথস্ক্রিয়াকে চালিত করবে। তবে আগামী ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন এই পরিস্থিতির সম্ভাব্য পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তাল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এবং জামাত-ই-ইসলামিমতো বিরোধী দলের বিক্ষোভ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যাদের প্রধান দাবি হল হাসিনার পদত্যাগ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা। যদিও ক্ষমতাসীন দল এগুলিকে ‘অবৈধ দাবি বলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের মনোভাবের প্রতি নড় থেকেছে।(৭) নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পর বিরোধী দল কর্তৃক আরোপিত ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের সময়(ঙ) চাঁদপুর, গাজিপুর, সিলেট, নোয়াখালি এবং বগুড়ার মতো জেলায় তাণ্ডব তীব্র আকার ধারণ করে। যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয় ও টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।(৮) ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের একটি প্রতিবেদনে অফিস অব দি ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস সংশ্লিষ্ট হিংসা এবং জীবনহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।(৯) উল্লেখ্য হল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না-মানা হলে বিরোধী দলগুলি নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়েছে।

বিরোধী দলের ক্রমবর্ধমান শক্তি (জামাত এক দশক ধরে নিষিদ্ধ থাকার পর নির্বাচনী রাজনীতিতে ফিরে এসেছে) এবং গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতেবহিরাগতের হস্তক্ষেপ(চ)(১০) বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে অপ্রত্যাশিত করে তুলেছে। সরকারের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক সংক্রান্ত নীতিগুলি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে এবং এর ফলে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার উপরেও প্রভাব ফেলবে। এ ভাবে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা এবং ঢাকার রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের ফলে কী ভাবে তা প্রভাবিত হতে পারে, সেই বিষয়টি পরিমাপ করা দরকার।

এই নিবন্ধটিতে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি দেশটির অগ্রাধিকারগুলি নাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সরকারের পরিবর্তন হলে এই প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে ঢাকার সম্পৃক্ততার সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলিকেও তুলে ধরা হয়েছে। এই নিবন্ধটিতে ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলি, বিশেষ করে চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ এই দেশগুলি তার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। উপরন্তু, এই চারটি দেশ ২০২৪ সালে জিডিপি-র পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।(১১) এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে নিবন্ধটিতে বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্রমবর্ধমান শক্তি অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়েও সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে

বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-এর অন্তর্নিহিত অর্থ

একটি উপসাগরীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার ভিশন ২০৪১ পরিকল্পনার অধীনে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, প্রজ্ঞাচালিত উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিকের স্থিতিশীলতা সমৃদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।(১২) বাংলাদেশের জন্য এই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা'র অর্থ হল প্রাথমিক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মতো দেশের আপাত-প্রতিদ্বন্দ্বী অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে সুস্থ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাসাম্প্রতিক বছরগুলিতে ঢাকার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের দরুন ভেঙে পড়ার আশঙ্কার সম্মুখীন হওয়ায় এই সম্পর্কগুলিকে টিকিয়ে রাখা ও সশক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে, ত্রুটিপূর্ণ নীতি, অতিমারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উচ্চ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, নিম্ন মুদ্রাস্ফীতি এবং ভাল বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডারের অধিকারী বাংলাদেশের ‘কিছুটা স্বস্তিদায়ক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ বর্তমানে অন্তর্হিত।(১৩) এটি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার ও নিম্ন অর্থপ্রবাহের সূচনা করেছে।(১৪) বৈদেশিক রাজস্বের উপর ঢাকার নির্ভরতা সুস্পষ্ট এবং একই সঙ্গে প্রয়োজন পড়লে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে পারে, এমন অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে

উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা উদ্যোগের মাধ্যমে চিনেসঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা এবং চিনের নেতৃত্বাধীন রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ(১৫) বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম(১৬)-এ যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তহীনতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে(১৭) বেজিংয়ের আধিপত্য নিয়ে শঙ্কিত ওয়াশিংটন ডিসি মানবাধিকারের সমালোচনা, নির্বাচনী অনিয়ম এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন সুনিশ্চিত করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঢাকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দৃশ্যপটে অনুপ্রবেশ করেছে এবং এই সব কিছুরই লক্ষ্য হল বাংলাদেশ সরকারকে প্রভাবিত করা(১৮) যাই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে গৃহীত যে কোন প্রকাশ্য উদ্যোগ বাংলাদেশকে চিন থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। একটি মধ্যম পন্থা গ্রহণ করার মাধ্যমেই একমাত্র বাংলাদেশ উভয় দেশকে আশ্বস্ত করতে পারে এবং সুনিশ্চিত করতে পারে যে, তার বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গি একপাক্ষিক হবে না। বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-এ এমনটাই বলা হয়েছে।

দীর্ঘ দিন যাবৎ ‘অপেক্ষা করা এবং চোখকান খোলা রাখা’… এ হেন মনোভাবসম্পন্ন ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণাকে অবলম্বন করার দরুন(ছ) দি আউটলুক-এ বাংলাদেশের ইন্দো- প্যাসিফিক অঞ্চলে যোগদান সংক্রান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশাকে আশ্বাস জোগানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করেছে যে, আউটলুক এবং তার নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অভিন্ন সাধারণ পরিসর’ রয়েছে, যার মধ্যে ‘সমুদ্রে নৌচলাচল এবং বিমান চলাচলের স্বাধীনতা; অবাধ, স্বচ্ছ নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা’র মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত(১৯) বাংলাদেশ কী ভাবে একটি ‘সকলের অভিন্ন সাধারণ সমৃদ্ধির জন্য অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর কথা বলে, সেই সংক্রান্ত আউটলুকের প্রতিবেদনের পরিভাষাটি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা ২০২২ সালে তাদের দ্বিতীয় উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক পরামর্শের পর জারি করা যৌথ বিবৃতিতে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছের অনুরূপ।(২০) কোয়াডের(জ) নাম না করে আউটলুক-এ গোষ্ঠীটির একাধিক অগ্রাধিকারকেও তুলে ধরা হয়েছে।(২১) যেমন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আউটলুক(২২) প্রকাশের এক দিন পর করা হাসিনার জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনে ত্রিদেশীয় সফর(ঝ) আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকেই দর্শায়। অবশ্য হাসিনা এই সফরে কোনও মার্কিন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেননি।(ঞ)(২৩)

উল্লেখযোগ্য ভাবে, আউটলুক-এ চারটি নির্দেশক নীতি এবং ১৫টি উদ্দেশ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার প্রয়াস হল কৌশলে চিনকে উত্তেজিত না করে ইন্দো-প্যাসিফিককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রককৌশল হিসাবে বিবেচনা করা(২৪) বাংলাদেশ দাবি করেছে, ‘আমরা কাউকে অনুসরণ করছি না। আমাদের আইপিও (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক) স্বাধীন।(২৫) আউটলুক হল ঢাকার আঞ্চলিক অবস্থানের এক আকর(২৬),যা ইন্দো-প্যাসিফিকে দেশটির স্বার্থ, অগ্রাধিকার ও কূটনৈতিক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয় এবং প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির সঙ্গে তার আঞ্চলিক সম্পৃক্ততাকে প্রভাবিত করে। আউটলুক-এ পাঁচটি সুস্পষ্ট ভাবনার কথা বলা হয়েছে, যা আরও স্পষ্ট করে দেয় যে কী ভাবে ঢাকা তার ভারসাম্যের কূটনীতির মাধ্যমে প্রধান ক্ষমতার রাজনীতিকে চালনা করার চেষ্টা করছে এবং নিজেউচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলিকে সুরক্ষিত করতে চাইছে।

 

অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশের জনগণ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং গত এক দশকে দেশের জিডিপি তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি ২০২১ সালে ১৩৩.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৪৬০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।(২৭) একই সময়ে, মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থাৎ ১০৭০.৬ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১৭৮৪.৭ মার্কিন ডলার হয়েছে।(২৮) এই অর্থনৈতিক উত্থান দারিদ্র্যের হার হ্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেছে (২০১০ সালে ১১.৮ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে তা শতাংশে পরিণত হয়েছে)(ট)(২৯)  এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০২১-২০২২ সালের মানব উন্নয়ন সূচকে দেশটির অগ্রগতি(ঠ)(৩০) বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তুলেছে।(৩১) এ ভাবে বাংলাদেশের জনগণ উন্নত বাণিজ্য, সংযোগ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কামনা করে। সেই অনুসারে, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের একটি পাঠ ইঙ্গিত করে যে, বাংলাদেশের মূল অগ্রাধিকারগুলির অন্যতম হল দেশটির অব্যাহত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। দেশটি এ ভাবে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য একাধিক পদ্ধতিতে সংযোগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এর পাশাপাশি অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশটি ভবিষ্য সঙ্কট এবং বাধাগুলিকে আরও ভাল ভাবে মোকাবিলা করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন অবাধ বাণিজ্য প্রবাহকে উন্নীত করার উদ্দেশ্যে স্থিতিস্থাপক আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক মূল্যশৃঙ্খল তৈরি করতে আগ্রহী।’(৩২)

 

রাজনৈতিক ভাবে নির্জোট অবস্থান: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উপর বাংলাদেশের বর্তমান জোর বিদেশি বিনিয়োগের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভর করে। তাই দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে, যারা ইতিমধ্যেই দেশটির অবকাঠামোগত বৃদ্ধিতে ব্যাপক পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে(৩৩) এর ফলস্বরূপ, আউটলুক-এচিনপন্থী বা মার্কিনপন্থী কোনও ঝোঁক নেই, বরং সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয় মন্ত্রটি তার চারটি পথপ্রদর্শক নীতির প্রথমটিকেই দর্শায়।(৩৪) এ ছাড়া, দেশটি আউটলুক-এ একটি অভিন্ন সাধারণ ইন্দো-প্যাসিফিক ভবিষ্যতের আখ্যানে অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দটি ব্যবহার করে এসেছে। এটি কোয়াড-এর পছন্দের শব্দবন্ধ নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার’ পরিবর্তে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও স্থিতিশীল উন্নয়ন সক্ষম করার জন্য একটি ‘নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা প্রচারেরও সমর্থন করে(৩৫)

 

শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি আগ্রহ: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত। যাই হোক, এই লক্ষ্যটি অর্জন করার জন্য নথিটিতে কোনও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বা সামরিক চুক্তির উল্লেখ করা হয়নি। তবে এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রবিধান - বিশেষ করে যেগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদে উল্লেখ করা হয়েছে - সমর্থন করেছে। এমনটা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও কোন রাজনৈতিক পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে এবং তার পরিবর্তে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন ভাবে স্বীকৃত নিয়মের উপর মনোযোগ দিয়েছে, যেটি লঙ্ঘন করলে কোনও দেশ আন্তর্জাতিক রোষের শিকার হবে। এর পাশাপাশি অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান জোরদার করা, বিরোধ নিষ্পত্তি এবং অঞ্চলে শান্তি সুনিশ্চিত করার জন্য এটিতে ট্র্যাক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে এটিতে একটি শান্তির সংস্কৃতি’মূলক ধারণার – এমন একটি ইউএন ডিক্লেয়ারেশন, ১৯৯৭ সালে যেটির খসড়া নির্মাণের সময়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল - উপর জোর দেওয়া হয়েছে।(৩৭)

 

মানব নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া: তার নির্জোট নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে রাষ্ট্রকেন্দ্রিক নিরাপত্তা হুমকিগুলি চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে গিয়েছে। আউটলুক একটি মৌলিক নীতি হিসাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা’র উপর জোর দেয়, যা চিরাচরিত নিরাপত্তা পরিসরে বাহ্যিক ভাবে সম্পৃক্ত হতে বাংলাদেশের অনীহাকেই দর্শায়এর পরিবর্তে, বাংলাদেশ মানব নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী  সুস্থতার বিস্তৃত ধারণার উপর মনোনিবেশ করেছে। ঢাকা জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, সামুদ্রিক দূষণ, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, শক্তি স্থিতিশীলতা এবং জল সহযোগিতার মতো যৌথ পদক্ষেপের মতো প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত বিষয়গুলিকে তুলে ধরেছেএর  পাশাপাশি নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক অস্ত্র উৎপাদন হ্রাস, শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চ্যালেঞ্জের এ হেন বিন্যাসটি ঢাকার দুর্বলতা এবং এর উল্লেখযোগ্য অবদান উভয়কেই তুলে ধরে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বড় অবদানকারী।(৩৮) ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির সঙ্গে এই বিশেষ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা আখেরে ঢাকাকে ত্রিমুখী সুবিধা প্রদান করে- উন্নততর সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপকে সহজতর করে তোলা, অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি উদ্যোগগুলিকে তুলে ধরার পাশাপাশি মানব নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা প্রদর্শন করা।

 

সামুদ্রিক পরিসরের প্রভাব: ৫৮০ কিমি দীর্ঘ উপকূলরেখা-সহ বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরকে ভারত এবং মায়ানমারের পর তৃতীয় প্রতিবেশী বলে বিবেচনা করে। উপসাগরে বাংলাদেশের যথেষ্ট পরিমাণে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুদ রয়েছে এবং দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি সমুদ্রপথে পরিচালিত হয়। সুতরাং, সামুদ্রিক নিরাপত্তা তার বাণিজ্যিক স্বার্থ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য দেশটির বৈদেশিক নীতি কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনটা আউটলুক-এও প্রতিফলিত হয়েছে, যার একটি নির্দেশিকা নীতি হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামুদ্রিক আইন (আনক্লজ) ১৯৮২-র কথা বলা হয়েছে। এটির লক্ষ্য হল ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিদ্যমান ব্যবস্থা’কে শক্ত করা এবং আনক্লজ-সহ আন্তর্জাতিক আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী ‘সমুদ্রে নৌচলাচল এবং বিমান উড়ানের স্বাধীনতার অনুশীলন বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান(৩৯) সমুদ্রে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদার দেশগুলির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেসামুদ্রিক পরিসরের গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে আউটলুক-এ ইন্দো-প্যাসিফিক (স্থিতিশীল উন্নয়নমূলক লক্ষ্যমাত্রা ১৪ অনুসরণে) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক ভাবে সম্মত উন্নয়নমূলক প্রতিশ্রুতি সংরক্ষণ, স্থিতিশীল ব্যবহার এবং মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।(৪০) সামুদ্রিক পরিসরের অংশীদারিত্ব তাই ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে ঢাকার মিথস্ক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষিত।

 

রাজনৈতিক ভাবে নির্জোট অবস্থানের উপর বাংলাদেশের জোর চিন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তিকে তুলে ধরা না, বরং ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার অবস্থান সম্পর্কে দেশটির আত্মসচেতনতাকে প্রতিফলিত করে(৪১) এবং দুই প্রধান শক্তির সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা তার ভারসাম্যের কূটনীতির প্রয়োজনীয়তাকে দর্শায়। এই প্রেক্ষাপটে, টি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, আউটলুক তার উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের জন্য কোন পথের সন্ধান করেনি। কেউ কেউ আউটলুকশব্দটির ব্যবহারকে বাংলাদেশের একটি অন্তর্নিহিত পরিকল্পনার অভাবের প্রতিফলন বলে সমালোচনা করেছেন(৪২)। বাকিরা মনে করেন যে, এটিকে আউটলুকবলা আসলে পুরো বিষয়টিকে নমনীয় আঙ্গিক প্রদান করেছে(৪৩) এবং এটিকে একটি পরিকল্পনা বা কৌশলের তুলনায় আরও নমনীয়তার সুবিধা প্রদান করেছে। এটিকে অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অস্পষ্টতা বজায় রাখার জন্য ঢাকার পদক্ষেপ হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। বিদেশনীতি বরাবর হাসিনা প্রশাসনের অন্যতম শক্তিশালী দিক থেকেছে এবং তাঁর সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, যা পারস্পরিক সুবিধার একটি বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী দেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চিন এবং ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কারণ এই দেশগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চিন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারএর পরই রয়েছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।(৪৫) (দ্রষ্টব্য চিত্র )।

 

চিত্র ১: চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য (২০১৯-২০২০, মিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

  Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

সূত্র: লেখকের নিজস্ব, বাংলাদেশ ট্রেড পোর্টালের তথ্যের ভিত্তিতে(৪৬)

 

দ্বিপাক্ষিক রফতানি ও আমদানির পাশাপাশি বাংলাদেশ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) থেকেও উল্লেখযোগ্য ভাবে লাভবান হয়। এই চারটি দেশ বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি এফডিআই উৎসের মধ্যে রয়েছে (দ্রষ্টব্য চিত্র )শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার মোট এফডিআই-এর ৮.৮ শতাংশ অবদান রেখেছে।(৪৭) একটি পুঁজি-দরিদ্র দেশে এফডিআই দারিদ্র্য হ্রাসের মতো আর্থ-সামাজিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এটি ভৌত পুঁজি তৈরি করতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, উত্পাদনশীল ক্ষমতার বিকাশে, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনাগত জ্ঞানের বিনিময়ের মাধ্যমে স্থানীয় শ্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং দেশীয় অর্থনীতিকে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ করতে সহায়তা করতে পারে।(৪৮)

 

চিত্র ২: চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান থেকে বাংলাদেশের এফডিআই নেট প্রবাহ (২২-২৩ অর্থবর্ষ, মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শতাংশে)

 Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

সূত্র: লেখকের নিজস্ব, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্যের ভিত্তিতে(৪৯)

 

বাংলাদেশ যে তৃতীয় ধরনের বৈদেশিক রাজস্ব পায়, তা হল অনুদান বা ঋণের আকারে তার উন্নয়নমূলক সহযোগী দেশগুলি থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্য এবং সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ)। জাপান সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ ওডিএ প্রদানকারী (দ্রষ্টব্য চিত্র )।(৫০)

 

চিত্র ৩: চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান থেকে বাংলাদেশে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্য (২০২০-২১, মিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

 Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

সূত্র: লেখকের নিজস্ব, বাংলাদেশ সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে(৫১)

 

বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যকে তিন প্রকারে ভাগ করা হয়েছে: খাদ্য সহায়তা, পণ্য সহায়তা এবং প্রকল্প সহায়তা। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে সংযোগমূলক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য এই দেশগুলির মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রকল্পমূলক ত্রাণ ঢাকার উন্নয়নমূলক সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সহায়তা।(৫২) জাপান সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রকল্পমূলক সাহায্যের অগ্রণী প্রদানকারী (দ্রষ্টব্য চিত্র )।(৫৩)

 

চিত্র ৪: চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের দ্বারা বাংলাদেশের জন্য মোট উপলব্ধ ত্রাণ ও প্রকল্প সাহায্য বণ্টন (২০২০-২১, মিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

 Continuity And Change In Bangladesh S Indo Pacific Outlook Deliberating Post Election Scenarios

সূত্র: লেখকের নিজস্ব, বাংলাদেশ সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে(৫৪)

 

তথ্য দর্শিয়েছে যে, বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের সঙ্গে সমৃদ্ধ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক

চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ছাড়া অস্ট্রেলিয়াও ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি প্রধান শক্তি। অস্ট্রেলিয়া কোয়াড গোষ্ঠীর অংশ এবং সক্রিয় ভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আগ্রহী, যাতে একটি উন্মুক্ত শান্তিপূর্ণ ভারত মহাসাগর তার জাতীয় স্বার্থকে ত্বরান্বিত করতে পারে।(৫৫) উল্লেখযোগ্য ভাবে, ক্যানবেরা ঢাকার প্রতি আগ্রহী এবং ক্রমবর্ধমান ভাবে ঢাকাকে প্রকল্প সহায়তা প্রদান করে।(৫৬) চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত বিষয়গুলি হল:

 

জ্বালানি: জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যেবিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলি নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ জ্বালানির ভাণ্ডারের প্রবেশের পথ অনুসন্ধান করছে। বাংলাদেশের অব্যবহৃত হাইড্রোকার্বন ব্লকের জন্য এবং জ্বালানি বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌচলাচল পথগুলির উপর নজর রাখার ক্ষমতার দরুন বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চিন এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে(৫৭) ঢাকা নোঙর করার অনুমতি বেজিংকে উপসাগরে একটি বৃহত্তর উপস্থিতি প্রদান করে, যাতে নিকটবর্তী মালাক্কা প্রণালীতে নিবিড় ভাবে নজরদারি চালানো যায় এবং মালাক্কা ডিলেমা’ বা ‘মালাক্কা দ্বন্দ্ব’র সমাধান করা যায় (অর্থাৎ এই সংকীর্ণ চোকপয়েন্টে একটি বাধাগ্রস্ত জ্বালানি সরবরাহ সম্পর্কে বেজিংয়ের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে; দেশটির মোট তেল আমদানির ৮০ শতাংশই এই অঞ্চল দিয়ে চলাচল করে)(৫৮)। বাংলাদেশ তার জ্বালানি ভাণ্ডার এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বৃহৎ শক্তির কাছে আকর্ষণীয় হলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত শূন্যতা পূরণ করতে এই দেশগুলির প্রয়োজন রয়েছে

এর ফলস্বরূপ, জ্বালানি সহযোগিতা বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করেছে। ২০২২ সালে ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি স্মার্ট গ্রিড অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিডকে উন্নত করার জন্য প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রযুক্তিগত সহায়তা অনুদান প্রদান করে।(৫৯) বাংলাদেশ তার বিদ্যুৎ ও শক্তি সঞ্চালন এবং বণ্টনমূলক অবকাঠামো সংস্কারে বিনিয়োগের জন্য জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। পরবর্তী কালে, জাপান বেশ কয়েকটি সৌর, তাপ ও গ্যাসভিত্তিক শক্তি প্রকল্প বাংলাদেশে গ্রহণ করে, যার মধ্যে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় সমাপ্তির পথে।(৬০) ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, চিনের জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এফডিআই-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মজুদ রাখা রয়েছে।(৬১) উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যু পরিচ্ছন্ন শক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ৪০ শতাংশ উৎপাদন করার প্রতিশ্রুতির দরুন চিদেশটির পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।(৬২) ক্যানবেরা অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ শৃঙ্খলব্যাপী সম্পর্কটিকে সশক্ত করার জন্য মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।(৬৩)

ভারতও বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশের সমপরিমাণ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছিল। ইন্দো-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ২০২৩ সালের মার্চ মাসে উদ্বোধন করা হয়, যা এই অংশীদারিত্বের সাম্প্রতিকতম ফলাফল।(৬৪) এই প্রকল্পগুলি এমন এক সময়ে চালু করা হয়েছিল, যখন বাংলাদেশ ২০২৩ সালের প্রথম দিকে এক ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল এবং যার জন্য সরকার বিরোধী পক্ষের তরফে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। প্রকল্পগুলি হাসিনা সরকারকে কিছুটা ছাড় প্রদান করেছে এবং ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘সোনালি অধ্যায়’কে (গোল্ডেন চ্যাপ্টার) এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।(৬৫)

ভূ-রাজনীতি: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান তার কৌশলগত প্রেক্ষিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ চিনের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুচ্ছ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মাধ্যমে বেজিং পূর্ব এশিয়ার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে আরও আন্তর্জাতিক শক্তি হয়ে ওঠা’র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।(৬৬) এটি বিআরআই-এর সামুদ্রিক শাখা মেরিটাইম সিল্ক রোড ইনিশিয়েটিভ-এর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যেটির মাধ্যমে চিন ভারত মহাসাগরের বৃহৎ বাণিজ্যিক পথ বরাবর অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলিতে উচ্চ-দৃশ্যমান অবকাঠামো প্রকল্প বিকাশে আগ্রহী।(৬৭) এই আলোকে ই কথাও উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঢাকা সম্প্রতি কক্সবাজার উপকূলে চিনের সহায়তায় নির্মিত প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি বিএনএস শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছে।(৬৮) চিন ও ভারতের মধ্যে আস্থা হ্রাস পাওয়ায়, শ্রীলঙ্কা নিজের ঋণের ফাঁদে জর্জরিত হয়ে থাকায় এবং মায়ানমার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হওয়ায় উপসাগরে নিজের উপস্থিতি প্রসারে চিনের সবচেয়ে নিরাপদ বাজি হল বাংলাদেশ

 

দক্ষিণ এশিয়াইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণার উত্থান এবং ২০১৮ সালে কোয়াডের পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।(৬৯) এই অঞ্চলে চিনেআগ্রাসী উত্থান এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক মন্থনের মধ্যে ভারত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ কৌশলগত ভাবে সাযুজ্য বজায় রেখেছে। 'বাংলাদেশ: পলিটিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইউএস ইন্টারেস্টস’ শীর্ষক ২০১০ সালের কংগ্রেনাল রিসার্চ সার্ভিসের প্রতিবেদন এবং ২০১২ সালের 'ফ্যাক্ট শিট অফ ইউএস রিলেশনস উইথ বাংলাদেশ'—এর মতো বেশ কিছু নীতি সংক্রান্ত মার্কিন নথি বাংলাদেশের গুরুত্বকেই পুনর্ব্যক্ত করে।(৭০)

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বাজারের অনুসন্ধান জাপানকে বাংলাদেশের দিকে চালিত করেছে।(৭১) দুটি ভূ-রাজনৈতিক ব্লকের মাঝখানে অবস্থিত বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারত, মায়ানমার, নেপাল, ভুটানকে বঙ্গোপসাগরে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে। তাই এই অঞ্চলে তার উপস্থিতি বাড়ানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে লালন করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ টোকিয়োর জন্য আদর্শ স্থানে অবস্থিত। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দেশ এবং একটি অস্থিতিশীল প্রতিবেশে আপেক্ষিক শৃঙ্খলার দেশ হিসাবে মনে করে। এ ভাবে একটি স্থিতিশীল উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরের জন্য বাংলাদেশ এক অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে, যা ক্যানবেরার ২০২৩ সালের ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ বা প্রতিরক্ষা কৌশলগত পর্যালোচনা সামরিক স্বার্থের একটি প্রাথমিক ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে(৭২)

বৃহৎ শক্তিগুলি বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত মিত্র হিসাবে মনে করলেও ভারত বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক অংশীদার হিসাবে মনে করে। ১৯৪৭ সালে পূর্ব ভারত থেকে উৎপন্ন হওয়া বাংলাদেশ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সম, ত্রিপুরা, মিজোরাম মেঘালয় ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের উপকূল এবং মায়ানমারের সঙ্গে একটি ছোট সীমান্ত দ্বারা বিভক্ত। এর ফলে বাংলাদেশকে প্রায়ই ‘ইন্ডিয়া লকড’ বা ‘ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত’ বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান আখেরে ভারতের ভূমিবেষ্টিত উত্তর-পূর্ব প্রান্তকে সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে পারে। হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহণ এবং অসম ও ত্রিপুরার উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন।(৭৩) এর পাশাপাশি ভারতের নিকটতম পূর্ব প্রতিবেশী এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্থলসেতু হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট এবং নেবারহুড ফার্স্ট নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

বাণিজ্য: চি, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চিনের অভ্যন্তরীণ অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত বাজারও বটেবিপুল পরিমাণে বিকল্পের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক হারে উপলব্ধ চিনা পণ্যগুলি দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে জনপ্রিয়। অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কম হারের কারণে বাংলাদেশ এখন চিনের কাছ থেকে বেশির ভাগ অস্ত্র কেনে।(৭৪) যাই হোক, হাসিনা বরাবরই বলে এসেছেন যে, বেজিংয়ের প্রতি ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মাঝেও তাঁর সরকার চিনেসঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিষয়ে ‘অত্যন্ত সতর্ক’।(৭৫) যদিও কেউ কেউ মনে করেন যে, ঢাকার জন্য ঋণের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা কম, যেহেতু তহবিলের মূল্যের চেয়ে বিনিয়োগের উপর লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।(৭৬)

 

বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বিকশিত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২২ সালে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে ছিল ৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রাথমিক রফতানি পণ্য অর্থাৎ রেডিমেড পোশাকের বৃহত্তম বাজার।(৭৭)(৭৮) উপরন্তু, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ প্রাপকদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম(৭৯) তবে বাংলাদেশের বৈদেশিক সাহায্যের সবচেয়ে বড় উৎস হল জাপান। উভয় দেশ তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী, যার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল এপ্রিল মাসে হাসিনার টোকিয়ো সফরের সময় তিনটি সমঝোতাপত্রের (এমওইউ) মাধ্যমে।(৮০) একটি যৌথ স্টাডি গ্রুপ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করছে, (৮১) যা ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যায়(৮২) অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, যার জন্য ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছিল।(৮৩)

 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশ কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত, যাতে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রচার চালানো হয়। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক আস্থার উপর নির্মিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপির বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে কারণ এটিকে আর তার বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের উপর নির্ভর করতে হবে না, যা ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এটি ভারতকেও উপকৃত করবে কারণ বাংলাদেশে এ ফতানির মূল্য দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।(৮৪)

 

সংযোগ: বাংলাদেশে বৃহৎ শক্তির সম্পৃক্ততার একটি প্রধান দিক হ দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংযোগমূলক পরিকাঠামো নির্মাণ। বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণে আগ্রহী বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিনের প্রকল্প সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলি লোভনীয়। কারণ তারা নিয়ন্ত্রক সম্মতির প্রতি কম অনুগত এবং পশ্চিমী প্রকল্পগুলির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী।(৮৫) যেহেতু ভারত নতুন প্রকল্পের সুযোগ গ্রহণে ধীর গতি প্রদর্শন করেছে এবং বিদ্যমান প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করেনি, তাই পদ্মা সেতুর মতো সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে চিনের সহায়তা বাংলাদেশের বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে।(৮৬) ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত চিন বাংলাদেশে ২১টি সেতু ২৭টি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে এবং প্রায় ৬৭০টি চিনা সংস্থা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে।(৮৭)

বেজিংয়ের প্রস্তাবের বিপরীতে ঢাকাকে কিছুটা দরকষাকষি করার ক্ষমতা দিয়ে জাপান বাংলাদেশের সংযোগমূলক পরিকাঠামোর উন্নয়নে ক্রমবর্ধমান ভাবে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে জাপানের প্রাথমিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল বে অফ বেঙ্গল করিডোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট, যা ঢাকাকে আঞ্চলিক অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তরিত করবে এবং টোকিয়োকে প্রতিবেশী দেশের বাজারে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করবে।(৮৮) এই প্রকল্পের অধীনে জাপান তার কাশিমা ও নিগাতা বন্দরের আদলে মাতারবাড়ি গভীর-সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে।(৮৯) বাংলাদেশের প্রথম গভীর-সমুদ্র বন্দর হিসাবে, মাতারবাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বেশ কিছুটা চাপ সরিয়ে নিতে পারবে(৯০) এবং নেপাল ও ভুটানকে আরও পরিবহণমূলক বাণিজ্যিক সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশ প্রাথমিক ভাবে চিনের সহায়তায় সোনাদিয়ায় গভীর-সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল।(৯১) যাই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়ার পর পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়। এটি চিন এবং জাপান, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান আস্থার ঘাটতিকেই তুলে ধরে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা আসলে নিজের ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপন ইন্দো-প্যাসিফিক' নীতি অনুসারে জাপানের জন্য একটি অগ্রাধিকারনীতিটি একটি বৃহত্তর বঙ্গোপসাগর সম্প্রদায়ের অংশ হিসাবে উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নকে সমন্বিত করার উপর জোর দেয়।(৯২) ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অবকাঠামো সংযোগ উদ্যোগের আওতায় ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ অবকাঠামোমূলক অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা’ও গতি পেয়েছে।(৯৩)

 

বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে একটি ৪,০৯৬ কিমি দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম।(৯৪) এর ফলস্বরূপ, সংযোগই হল দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের স্বাভাবিক চালিকা। দুই দেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস (কলকাতা-ঢাকা) মিতাল এক্সপ্রেস-এর (শিলিগুড়ি-ঢাকা) মতো রেল প্রকল্প থেকে শুরু করে ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটগুলির সংস্কার করা এবং বাংলাদেশের  মংলা বন্দরকে ভারতের কলকাতা বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি বহুমুখী সংযোগমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।(৯৫) নেপাল ও ভুটানকে সামুদ্রিক বাণিজ্যিক সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভারত বাংলাদেশকে নিজের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে পরিবহণের সুযোগ প্রদান করেছে।(৯৬)

 

কূটনৈতিক: বাংলাদেশের কৌশলগত তাৎপর্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শক্তিগুলি ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশকে নিজের পক্ষে আনার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টতই বলেছে যে, সে তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের(৯৭) জন্য বাংলাদেশের সমর্থন চায় এবং বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম কোয়াড-এ যোগ দিতে রাজি করেছে।(৯৮) ২০২১ থেকে ২০২২ সালের শেষের মধ্যে ১৮টি মধ্য ও উচ্চ-স্তরের সফর হওয়া এ কথাই দর্শায় যে, উভয় পক্ষের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সফর উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।(৯৯) সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই দেশের নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায় এমন কোন বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদানের পর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।(১০০) হাসিনা প্রাথমিক ভাবে এই প্রেক্ষিতে ভাল ভাবে সাড়া দিলেও ক্রমাগত বিধিনিষেধের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে(১০১) বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রত্যাশী এবং এর সমালোচনা বিরোধী দলগুলোকে উৎসাহ জোগাবে(১০২)

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ বাংলাদেশকে প্রভাবিত করতে পারে হেন আশঙ্কা করে চিনও বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের জমি খোঁজার চেষ্টা করছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক জোট স্থাপনের প্রেক্ষিতে বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।(১০৩) এক মাস পরে বেজিং ঢাকায় আপৎকালীন টিকা সরবরাহ করার পর পরই বাংলাদেশকে চিনা রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন যে, তারা কোয়াডে যোগ দিলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(১০৪) এই সময়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিলকারণ ভারত থেকে কেনা টিকা না এসে পৌঁছনোয় বাংলাদেশ কোভিড-১৯ অতিমারির দ্বিতীয় প্রবাহের মধ্যে সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল(১০৫) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত ছিল(১০৬)। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্বকে দৃঢ় ভাবে জাহির করার পাশাপাশি চিনের সাহায্যের স্বীকৃতি দিয়ে কূটনৈতিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।(১০৭) পরবর্তী কালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কূটনৈতিক সম্মেলন থেকে বাদ দিয়েছিল, চিন বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় চিনের সমর্থনের বিষয়ে হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলে। এর ফলে চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।(১০৮) অন্যান্য বৃহৎ শক্তিও অতিমারি চলাকালীন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সশক্ত করেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নমূলক সহায়তা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অতিমারি হামারী থেকে পুনরুদ্ধারকে জোরদার করেছে।(১০৯) অস্ট্রেলিয়া একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশের পক্ষে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেও প্রাক-নির্বাচনী হিংসার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।(১১০)

 

জাপান মনে করে যে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন তার অভ্যন্তরীণ বিষয়(১১১) ভারত বাংলাদেশের সমর্থনে সরব হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জনের আগেও আওয়ামি লিগেসঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে বন্ধুত্বই তার এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। নিজেবাবার পদে আসীন হয়ে হাসিনা দুই দেশের মধ্যে সফল সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে যথেষ্ট নিশ্চিত, যা তাঁবিদেশনীতিতেও প্রতিফলিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, ভারত হাসিনার প্রশাসন অব্যাহত রাখতে আগ্রহী এবং মনে করে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং, একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন’-এর জন্য বাংলাদেশের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে কারণ তা না হলে মৌলবাদী শক্তি উত্সাহিত হবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।(১১২)

 

নিরাপত্তা: সন্ত্রাস দমনের কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যখন অনেক মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস পরিস্থিতি পরিচালনার সমালোচনা করেছিল, তখন বাংলাদেশ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই সমর্থন করেছিল। নিরাপত্তা সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে বিকশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি আলাপ-আলোচনা এবং যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে, যা ২০২১ ও ২০২২ সালের শেষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।(১১৩) ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সামরিক তথ্য চুক্তির একটি সাধারণ নিরাপত্তামূলক খসড়া গ্রহণ করে, যা তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয়ের ব্যাপারে সাহায্য করবে(১১৪)। কিন্তু তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে হাসিনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে একটি নিরাপত্তামূলক অংশীদারিত্ব স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা বাহিনীর শুভেচ্ছা সফর অব্যাহত রাখা এবং তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে একটি প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা শাখা প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশও জাপান থেকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে আগ্রহী ছিল।(১১৫) অস্ট্রেলিয়াও সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে।(১১৬)

২০০২ সালে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা হল বাংলাদেশ-চিন সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ। বাংলাদেশ চিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা গ্রাহক(১১৭) কিন্তু অস্ত্রের গুণমান সম্পর্কে অসন্তোষ বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে(১১৮) ভারতও প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী(১১৯) এবং দুই পক্ষই ২০২৩ সালে তাদের পঞ্চম বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ আয়োজন করে।(১২০)

ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামূলক অংশীদারিত্ব থাকলেও সে বিষয়টি আউটলুক-এ উল্লেখ করা হয়নি। এর পরিবর্তে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অপ্রচলিত মানব নিরাপত্তা ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমুদ্র নিরাপত্তা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে, যেখানে শান্তিরক্ষা সক্ষমতায় অবদান রেখেছে।(১২১) ন্তর্দেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া অনিয়মিত অভিবাসন রোধ এবং হিংসামূলক চরমপন্থা মোকাবিলায় সহযোগিতা করেছে।(১২২) এটি বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবের প্রতি স্থিতিস্থাপকতা বিকাশে সহায়তা করছে।(১২৩) চিন বাংলাদেশের জ্বালানি রূপান্তরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি হলেও কিন্তু মানব নিরাপত্তার অন্যান্য ক্ষেত্রে এখন নিজের অবদান রাখতে পারেনি। জাপান বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করেছে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা সম্প্রতি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করতে অভিযোজনের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতিতে নিযুক্ত হয়েছে।(১২৪) প্রাকৃতিক ভাবে উত্তাল উপসাগরের উপকূলীয় ক্ষেত্রে নিজেদের অভিন্ন সাধারণ উদ্বেগের ভিত্তিতে ভারত ২০২১ সালে বাংলাদেশের সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।(১২৫) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (সার্ক), বে অফ বেঙ্গল মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমস্টেক) এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইওআরএ) মতো আঞ্চলিক ফোরামে ভারতের সঙ্গে মানব নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।

নির্বাচন পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি

বাংলাদেশের চারটি অত্যাবশ্যক ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের মধ্যে ভারত, জাপান এবং চিন বর্তমান সরকারকে সমর্থন করে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে এই দেশগুলি বিভিন্ন উপায় ও প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে নীরবতা বজায় রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেছে। হাসিনা সরকারকে পছন্দ করার বিষয়ে এই দেশগুলির প্রধান কারণ হল বহুমাত্রিক স্থিতিশীলতা, যেটি বাংলাদেশকে হাসিনা তাঁর নীতি ও প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান করেছেন।

বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে আওয়ামি লিগ সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। দেশটি গঠনের সময় বাংলাদেশের কোষাগার ছিল শূন্য এবং দেশটি প্রায় এক-চতুর্থাংশ শতাব্দী ব্যাপী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ তার আগে ২০০ বছর ধরে ব্রিটিশ উপনিবেশ হওয়ার ধাক্কা বহন করে এসেছে১৯৭১ সালে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্তদরিদ্র অর্থনীতি থেকে বাণিজ্য, এফডিআই এবং ওডিএ-র মাধ্যমে বিদেশি তহবিল আকৃষ্ট করার বিষয়ে ক্ষমতার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।(১২৬) যাই হোক, বিগত বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ঋণের আবেদনের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রশ্নের মুখে পড়েছেএকাংশের অভিমত হল এই যে, অভূতপূর্ব দুর্নীতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আর্থিক আচরণের ফলে এমনটা ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে দুর্বল ব্যাঙ্কিং নীতি যার ফলে বাংলাদেশের বৃদ্ধির অলৌকিকতা নিজের ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে(১২৭) । আর একাংশের মতে, এটি ছিল একটি সতর্কতামূলক ঋণ এবং এটি কোনও অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরিচায়ক নয়।(১২৮)

 

আওয়ামি লিগ সরকার অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড থেকে দেশকে নিরাপদ রাখতেও সফল হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স পলিসি’ এবং শক্তিশালী সন্ত্রাস দমন ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সমাজ থেকে সাম্প্রদায়িকতা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে চেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশ সাহসী সন্ত্রাসদমন আইন প্রণয়ন করেছে, যেমন অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট এবং মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন অ্যাক্ট(১২৯)। এর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠন করেছে, যা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান সংস্থা।(১৩০) বাংলাদেশ এমনটা করার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে অনেক বিদ্রোহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে এবং বৃহত্তর বঙ্গোপসাগর অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।১৩১৫) বাংলাদেশ এ ভাবে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে বাণিজ্যের উন্নতি ঘটা সম্ভব। এর ফলস্বরূপ, বিদেশি অংশীদাররা বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক ও ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করছে

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শেখ হাসিনা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক হত্যা, অভ্যুত্থান বা প্রকাশ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই সফল ভাবে মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছে। ২০০৬-২০০৮ সাল ব্যতীত বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।(ড) ২০০৮ সালে হাসিনার নির্বাচনী জয় বিতর্কহীন থাকলেও ২০১৪ সালে তাঁর ব্যাপক জয়কে অনেক পশ্চিমী দেশই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেনি। কারণ বিএনপি এবং অন্য ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করে, যার ফলে সংসদে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাসিনা ধরে রাখতে সক্ষম হন।(১৩২) ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বিরোধীরা প্রহসনমূলক বলে মনে করেছিল।(ঢ)(১৩৩) হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি প্রধান অভিযোগ হল প্রতিপক্ষকে তাঁর নিয়ন্ত্রণ করার পন্থা। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি প্রধান সমালোচনা হচ্ছে তারা বিরোধী শক্তিকে দমন করেছে,(১৩৪) আওয়ামি লিগেবক্তব্যের বিরোধী গণমাধ্যমের কণ্ঠকে দমন করেছে(১৩৫) এবং বিচারবিভাগ রাষ্ট্রের অন্যান্য শাখাকে প্রভাবিত করছে।(১৩৬)

জানুয়ারির নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে প্রথমটি হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

 

পরিস্থিতি ১: আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় থাকছে

বিরোধী দলগুলির দ্বারা সম্ভাব্য বয়কটের মধ্যে এবং একটি বিশিষ্ট বিরোধী দল বা এমনকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোনও সুপরিচিত বিরোধী নেতার অভাবের ফলে(ণ)(১৩৭) ক্ষমতায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন হবে, এমন সম্ভাবনা বাংলাদেশে নিতান্তই কম। আওয়ামি লিগ সম্ভবত ক্ষমতায় ফিরে আসবে এবং হাসিনার নেতৃত্ব অব্যাহত থাকবে। এর অর্থ বাংলাদেশের বিদেশনীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত পথেই বিকশিত হয়ে থাকবে এবং বাংলাদেশে সম্ভবত বাণিজ্য, এফডিআই এবং ওডিএ-র প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

নয়াদিল্লি এবং ঢাকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘সুবর্ণ অধ্যায়’কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি (যেমন পারমাণবিক শক্তি, ডিজিটাল সংযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা) আরও জোরদার করবে। আরও অবকাঠামোগত প্রকল্পের দরুন চিন ও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সমৃদ্ধতর হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য ভাবে গড়ে উঠবে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সম্পৃক্ততা আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠবে। উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক স্বার্থ থাকার দরুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়। যাই হোক, ওয়াশিংটন ডিসিকে কিছু পুনর্মিলনমূলক প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যাতে গণতন্ত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াস ঢাকাকে বেজিংয়ের খুব কাছে ঠেলে না দেয়। এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বহাল থাকবে।

তবে উল্টো দিকে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির সামনে নিজের জয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়বে। দীর্ঘমেয়াদে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিতর্কের একটি প্রসঙ্গ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি বাংলাদেশ তার থেকে সরে গিয়ে চিনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে। প্রতিবেশ অঞ্চলে চিনেক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্যও অস্বস্তির কারণ হবে।

 

পরিস্থিতি ২: আওয়ামি লিগ এবং বিরোধী দলগুলির একটি জোট ক্ষমতায় আসবে

বিরোধী দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, ভোটের ব্যবধান পাবে এবং আওয়ামি লিগ তাদের অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে একটি জোট গঠন করবে… এ হেন পরিস্থিতি প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় আওয়ামি লিগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এবং হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলেও সরকার তার কিছু নির্ণায়ক ক্ষমতা হারাবে। এর ফলে কিছু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা যেতে পারে(১৩৮), যা ঢাকার বৈদেশিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও অংশীদারিত্বের গতি হ্রাস পাবে এবং নতুন উদ্যোগের আগে দীর্ঘায়িত প্রক্রিয়া বিদ্যমান প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করতে বিলম্ব হবে। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাড়তে পারে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তা বিঘ্নিত করতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে সমস্যার মুখে ফেলতে পারে। জাপানের সঙ্গে প্রকল্পগুলি, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বের প্রকল্পগুলিও বিলম্বিত হতে পারে। যাই হোক, জোটের মধ্যে আরও মার্কিনপন্থী দলগুলির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ বিরোধীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগের বৈধতাকে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাবে। এটি কোনও বড় সমস্যা না হয়ে দাঁড়ালেও, তা বাংলাদেশ-চিন সম্পর্কের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে।

 

পরিস্থিতি ৩: আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসবে, কিন্তু বিক্ষোভ তীব্রতর হবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে (যার সম্ভাবনা দূরবর্তী) যদি হাসিনা সরকার বিরোধী দলগুলিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজি করাতে না পারে, অথবা যদি ২০১৮ সালের নির্বাচনী পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হয় - যেটিকে প্রহসনমূলক’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল(১৩৯), তা হলে তাঁর জয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা বিরোধী এমনকি বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। এটি জনগণকে আরও আগ্রাসন এবং বিক্ষোভের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এর ফলে সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করবে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এটি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলবে, যারা ইতিমধ্যেই দেশে নির্বাচন-পূর্ববর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সরকার যদি পরিস্থিতিকে আরও ভুল ভাবে পরিচালনা করে, তা হলে এই ঝুঁকি রয়েছে যে মৌলবাদী চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ক্ষমতায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত দেশকে হিংসা ও বিশৃঙ্খলার দিকে চালিত করবে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করবে। ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান অংশীদার শক্তিগুলি – যাদের মধ্যে একটি বাদে সব ক’টিই গণতান্ত্রিক - পরিস্থিতির প্রতি কী প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে সে সম্পর্কেও প্রশ্ন উত্থাপন করবে।

উপসংহার

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর অর্থ হ বাংলাদেশের বিদেশনীতিতে ধারাবাহিকতা, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান শক্তি অংশীদারদের সঙ্গে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিদেশনীতির দৃষ্টিভঙ্গি খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি। মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনামলের প্রথম বছরগুলিতেও চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন, যেমনটা অন্য সব নেতা করেছিলেন। যাই হোক ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা চিনের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে উঠেছে। কারণ চিন মুজিব সরকারকে ভারতের পুতুল প্রশাসন বলে মনে করত। যাই হোক, ১৯৭৫ সালে মুজিব সরকারের অবসান এবং ১৯৭৭ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অধীনে বিএনপি শাসনের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্পর্কের অবনমন ঘটে এবং চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হতে শুরু করে(১৪০) ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহম্মদ এরশাদের আমলে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই সম্পর্কের পুনরুজ্জীবন ঘটলেও আবার ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিএনপির শাসনামলে তার অবনতি ঘটে। ১৯৯৬ সালে এবং আবার ২০০৮ সাল থেকে হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী হয়। এর ফলস্বরূপ, প্রধান শক্তিগুলির মধ্যে, বিশেষ করে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আওয়ামি লিগের বিজয় সাম্প্রতিক সখ্যের ধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করবে।

টি খুব সম্ভবত হাসিনার প্রতিষ্ঠিত অগ্রাধিকার স্বার্থের (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-এ বিশদ বিবরণে) সত্য যে, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে জোটহীন থাকবে। জাপানের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক বিশেষ ভাবে উন্নতি সাধনের সম্ভাবনা রাখে। সর্বোপরি, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং উভয় দেশ যৌথ ভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের বিবর্তনে নেতৃত্ব দেবে। অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ অবকাঠামো নির্মাণ বাংলাদেশের বাহ্যিক সম্পৃক্ততার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এবং সামুদ্রিক পরিসরে তার উন্নয়নের আখ্যানের অগ্রভাগে জায়গা করে নেবে। এ ছাড়াও মানব নিরাপত্তা সংক্রান্ত, বিশ্ব শান্তির প্রচার এবং একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে জোরদার করার বিষয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে উন্নীত করেছে, সার্ক এবং বিমস্টেক গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আইওআরএ-এর সভাপতিত্ব করেছে। এই গোষ্ঠীগুলি সামুদ্রিক নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে সহযোগিতা করে, যা বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-এ অগ্রাধিকার পেয়েছে। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা এবং তার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির ধারাবাহিকতা এই ক্ষেত্রগুলিতে আঞ্চলিক সহযোগিতাকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

পাদটীকা

ক) নিজের ধারাবাহিক বিজয়ের আগে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১  সাল পর্যন্ত আর কটি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

খ) এই নীতিটি বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫তম অনুচ্ছেদেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গ) ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন স্পেশ্যাল অ্যাকশন গ্রুপের বৈঠক চলাকালীন ১৯৭২ সালে দেশটি দুর্ভিক্ষের শিকার হবে কি না এবং তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের প্রয়োজন হবে কি না তা নিয়ে আলোচনার সময় কেরিয়ার সার্ভিস ফরেন অফিসার এবং আন্ডার সেক্রেটারি ফর স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ইউরাল অ্যালেক্সিস জনসন বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস হয়ে উঠবে। বৈঠকের কার্যবিবরণী ডকুমেন্ট ২৩৫, ইউনাইটেড স্টেটস সিরিজ-এর ফরেন রিলেশনস ১৯৬৯-১৯৭৬-এর একাদশতম খণ্ডে ‘দক্ষিণ এশীয় সঙ্কট, ১৯৭১’ শিরোনামে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

ঘ) স্বল্পোন্নত দেশগুলি (এলডিসি) নিম্ন আয়ের দেশগুলির উন্নয়ন করছে যেগুলি স্থিতিশীল উন্নয়নে গুরুতর কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। নিজের এলডিসি মর্যাদা অতিক্রম করা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয় এবং এটি বর্ধিত বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনুদান হারানো এবং পছন্দের বাজার সুবিধার মতো কিছু অসুবিধাও আছে,

ঙ) নির্বাচনের তারিখ ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঘোষণা করা হয়েছিল। অবরোধ শুরু হয়েছিল ১৯ নভেম্বর।

চ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, যার মধ্যে সাম্প্রতিকতমটি ছিল গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার কাজে জড়িত বলে মনে করা বাংলাদেশিদের জন্য মার্কিন ভিসা প্রদান আটকে দেওয়া।

ছ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের জন্য বাংলাদেশের অগ্রিম সমর্থন চাইলেও ঢাকা কী ভাবে তা দেখছে, সেটা খতিয়ে দেখাও জরুরি। কারণ এই প্রেক্ষিতে চিন-বিরোধী মনোভাবও অন্তর্নিহিত রয়েছে। আজ  অবধি বাংলাদেশ মার্কিন কৌশলে যোগ দেয়নিতবে দেশটি এখন তার নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক তৈরি করেছে।

জ) কোয়াড হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি গোষ্ঠী। চিনের দাবি হল, এই গোষ্ঠীর চিন-বিরোধী মনোভাব রয়েছে।

ঝ) তিনটি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় হিসাবে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ বলে বিবেচিত

ঞ) বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের উদ্‌যাপনে অংশ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সফরের সময় হাসিনা তাঁর কথিত স্বৈরাচারএবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী বিএনপি-র অনুগতদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন।

ট) বাংলাদেশে দারিদ্র্যের মাত্রা ২০১০ সালে ১১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৫.০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ২.১৫ মার্কিন ডলারকেই দর্শায় (২০১৭ সালের ক্রয়ক্ষমতা সমতা হার ব্যবহার করে)।

ঠ) মানব উন্নয়ন সূচকে ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ এবং বর্তমানে দেশটি ০.৬৬১ মান-সহ মাঝারি মধ্যম-উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ০.০৬২ মানের তুলনায় ভাল।

ড) বাংলাদেশ ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিএনপি দ্বারা, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে আওয়ামি লিগ দ্বারা, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি দ্বারা এবং ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সামরিক সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা শাসিত হয়েছিল।

২০১৮ সালের নির্বাচনটি এক দশকের মধ্যে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলেও বিরোধীরা এটিকে প্রহসনমূলক বলে মনে করেছিল কারণ আওয়ামি লিগ এবং তার জোট ২৯৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৮টি ভোট নিয়ে ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে। তবে এ ক্ষেত্রে হিংসা, বিরোধী নেতাদের গণগ্রেফতার এবং অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে ব্যালট গণনা করার মতো অনেক নির্বাচনী অনিয়ম ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

ঢ) অসুস্থ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দি

১) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘নেট অফিশিয়ান ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স রিসিভড (কনস্ট্যান্ট ২০২০ ইউএস ডলার) – বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান, মলদ্বীপ,

https://data.worldbank.org/indicator/DT.ODA.ODAT.KD?locations=BD-LK-PK-IN-BT-NP-AF-MV

২) মহম্মদ রেজাউল বারি, ‘দ্য বাস্কেট কেস’, ফোরাম- দ্য ডেইলি স্টার ৩, নম্বর ৩, (মার্চ ২০০৮), https://archive.thedailystar.net/forum/2008/march/basket.htm.

৩) অনুপম দেবাশিস রায়, ‘ওভারকামিং চ্যালেঞ্জেস অব এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’, দ্য ডেইলি স্টার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, https://www.thedailystar.net/supplements/32nd-anniversary/towards-smart-bangladesh/news/overcoming-challenges-ldc-graduation-3244706

৪) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক ইন বাংলাদেশ’, https://www.worldbank.org/en/country/bangladesh/overview

৫) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক ইন বাংলাদেশ’

৬) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ , ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ, ঢাকা- মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, এপ্রিল ২৪, ২০২৩, https://mofa.gov.bd/site/press_release/d8d7189a-7695-4ff5-9e2b-903fe0070ec9#:~:text=Indo%2DPacific%20Outlook%20of%20Bangladesh,based%20developed%20country%20by%202041.

৭) ‘বিএনপি’স ডিমান্ড ফর কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট আনকনস্টিটিউশনাল, ইললিগ্যাল- ল মিনিস্টার টেলস ইউএন’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নভেম্বর ১৩, ২০২৩,

https://www.tbsnews.net/bangladesh/bnps-demand-caretaker-government-unconstitutional-illegal-law-minister-tells-un-738838

৮) সোহিনী বোস, ‘ইলেকশনস ইন বাংলাদেশ- আ কেলাইডোস্কোপিক ওভারভিউ’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩, https://www.orfonline.org/expert-speak/elections-in-bangladesh-a-kaleidoscopic-overview

৯) ইউনাইটেড নেশনস, ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রোটেস্টস’, ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস অফিস অব দ্য হাই কমিশনার, https://www.ohchr.org/en/press-briefing-notes/2023/10/bangladesh-political-protests

১০) সোহিনী বোস, ‘ইলেকশনস ইন বাংলাদেশ- আ কেলাইডোস্কোপিক ওভারভিউ’

১১) ‘দ্য টপ ১০ লার্জেস্ট ইকোনমিজ ইন দি ওয়ার্ল্ড ইন ২০২৪’, ফোর্বস ইন্ডিয়া, জানুয়ারি ০২, ২০২৪, https://www.forbesindia.com/article/explainers/top-10-largest-economies-in-the-world/86159/1

১২) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, মেকিং ভিশন ২০৪১ আ রিয়্যালিটি, পার্সপেক্টিভ প্ল্যান অব বাংলাদেশ ২০২১-২০৪১, ঢাকা- জেনারেল ইকোনমিজ ডিভিশন, বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশন, মিনিস্ট্রি অব প্ল্যানিং, মার্চ ২০২০,  chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/http://oldweb.lged.gov.bd/UploadedDocument/UnitPublication/1/1049/vision%202021-2041.pdf

১৩) ফাহমিদা খাতুন, ‘অল দ্যাট ওয়েন্ট রং ফর বাংলাদেশ’স ইকোনমি’, দ্য ডেইলি স্টার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, https://www.thedailystar.net/opinion/views/news/all-went-wrong-bangladeshs-economy-3416446

১৪) ফাহমিদা খাতুন, ‘অল দ্যাট ওয়েন্ট রং ফর বাংলাদেশ’স ইকোনমি’

১৫) দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী, ‘বাংলাদেশ এক্সপ্লোরস টু জয়েন আরসিইপি আইয়িং ট্রেড ইন ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিয়ন’, দি ইকোনমিক টাইমস, অগস্ট ০৪, ২০২৩, https://economictimes.indiatimes.com/news/economy/foreign-trade/bangladesh-explores-to-join-rcep-eyeing-trade-in-indo-pacific-region/articleshow/102411302.cms

১৬) ‘বাংলাদেশ স্টাডিয়িং ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক- ফরেন মিনিস্টার ডক্টর মোমেন’, অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো নিউজ, জুন ১২, ২০২২, https://newsonair.gov.in/News?title=Bangladesh-studying-Indo-Pacific-Economic-Framework%3A-Foreign-Minister-Dr.-Momen&id=442584

১৭) সোহিনী বোস, ‘আ হিচ ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস?’ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মে ২৯, ২০২৩, https://www.orfonline.org/expert-speak/a-hitch-in-bangladesh-us-relations

১৮) কমল আহমেদ, ‘হাউ ডিফারেন্ট ইজ ঢাকা’স আউটলুক ফ্রম দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি?’ দ্য ডেইলি স্টার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩, https://www.thedailystar.net/opinion/views/news/how-different-dhakas-outlook-the-us-indo-pacific-strategy-3308056

১৯) গভর্নমেন্ট অব দি ইউএস, ‘রিমার্ক্স বাই অ্যাম্বাস্যাডর হাস অ্যাট বে অব বেঙ্গল কনভার্সেশন প্যানেল ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক’, ইউএস এম্ব্যাসি ইন বাংলাদেশ, অক্টোবর ০৯, ২০২৩, https://bd.usembassy.gov/30509/#:~:text=We%20applaud%20Bangladesh's%20vision%20of,multilateral%20systems%3B%20and%20environmental%20resilience.

২০) কমল আহমেদ, ‘হাউ ডিফারেন্ট ইজ ঢাকা’স আউটলুক ফ্রম দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি?

২১) রুবিয়াৎ সাইমাম, ‘বাংলাদেশ’স স্ট্র্যাটেজিক পিভট টু দি ইন্দো-প্যাসিফিক’, ইস্ট এশিয়া ফোরাম। জুন ০৯, ২০২৩, https://www.eastasiaforum.org/2023/06/09/bangladeshs-strategic-pivot-to-the-indo-pacific/

২২) মুবাশার হাসান, ‘বাংলাদেশি পিএম সুইংস থ্রু জাপান, ইউএস অ্যান্ড ইউকে’, দ্য ডিপ্লোম্যাট, মে ০৯, ২০২৩, https://thediplomat.com/2023/05/bangladeshi-pm-swings-through-japan-us-and-uk/

২৩) আসিফ এন্তাজ রবি, ‘প্রোটেস্টস মার বাংলাদেশ পিএম হাসিনা’জ ওয়াশিংটন ভিজিট’, বেনার নিউজ, মে ০৩, ২০২৩, https://www.benarnews.org/english/news/bengali/protests-mar-hasina-washington-visit-05032023143132.html

২৪) অনন্ত কৃষ্ণ্ন, ‘ইউএস ক্রিয়েটেড ইন্দো-প্যাসিফিক কনসেপ্ট টু ব্রিং ইন ইন্ডিয়া টু কনটেন চায়না, সেজ চাইনিজ অফিশিয়াল’, দ্য হিন্দু, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, https://www.thehindu.com/news/international/us-created-indo-pacific-concept-to-bring-in-india-to-contain-china-says-chinese-official/article66266771.ece

২৫) ‘বাংলাদেশ অ্যানাউন্সেস ১৫ পয়েন্ট ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক’, দ্য ফি্ন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, এপ্রিল ২৪, ২০২৩, https://thefinancialexpress.com.bd/national/bd-announces-15-point-indo-pacific-outlook

২৬) আফ্রিয়া আখন্দ, ‘হোয়াট বাংলাদেশ’স ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক’ মিনস ফর দ্য রিজিয়ন’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট, জুলাই ২০, ২০২৩, https://www.aspistrategist.org.au/what-bangladeshs-indo-pacific-outlook-means-for-the-region/

২৭) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘জিডিপি (কারেন্ট ইউএস ডলার) - বাংলাদেশ’, https://data.worldbank.org/indicator/NY.GDP.MKTP.CD?locations=BD

২৮) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘জিডিপি পার ক্যাপিটা (কনস্ট্যান্ট ২০১৫ ইউএস ডলার) – বাংলাদেশ’, https://data.worldbank.org/indicator/NY.GDP.PCAP.KD?locations=BD

২৯) দি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট- নিউ ফ্রন্টিয়ার্স ইন পভার্টি রিডাকশন’, অক্টোবর ২০২৩, ২৫, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://thedocs.worldbank.org/en/doc/cf07cf58f2c345063c972a47209b8c11-0310012023/original/Bangladesh-Development-Update-October-2023.pdf

৩০) ইউনাইটেড নেশনস, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১-২২ – টেকঅ্যাওয়েজ ফর বাংলাদেশ, বাই স্টেফান লাইলার, বাংলাদেশ- ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, https://www.undp.org/bangladesh/blog/human-development-report-2021-22-takeaways-bangladesh#:~:text=With%20a%20current%20value%20of,the%20regional%20value%20of%200.632

৩১) রাশেদ উজ জামান, ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া- শেপিং দ্য ফিউচার অব দি ইন্দো-প্যাসিফিক’, (আলোচনা, ফ্রাইডে আফটারনুন টক সিরিজ, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, কলকাতা, জুন ৩০,  ২০২৩), https://www.orfonline.org/event/bangladesh-and-india-shaping-the-future-of-the-indo-pacific

৩২) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ

৩৩) শাহাদাত হোসেন, ‘বাংলাদেশ’স জিওপলিটিক্যাল ব্যালান্সিং অ্যাক্ট’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট, অগস্ট ০৭, ২০২৩, https://www.aspistrategist.org.au/bangladeshs-geopolitical-balancing-act/

৩৪) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ

৩৫) রুবিয়াৎ সাইমাম, ‘বাংলাদেশ’স স্ট্র্যাটেজিক পিভট টু দি ইন্দো-প্যাসিফিক’

৩৬) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ

৩৭) রুবিয়াৎ সাইমাম, ‘বাংলাদেশ’স স্ট্র্যা্টেজিক পিভট টু দি ইন্দো-প্যাসিফিক’

৩৮) ‘স্টেটমেন্ট বাই মিস গ্যোয়েন লিউয়িস, ইউএস রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ অন দি ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ ইউএন পিসকিপারস ২০২৩’, (বক্তৃতা, বাংলাদেশ, মে ২৯, ২০২৩), ইউনাইটেড নেশনস, https://bangladesh.un.org/en/234120-statement-ms-gwyn-lewis-un-resident-coordinator-bangladesh-international-day-un-peacekeepers#:~:text=Bangladesh%20is%20one%20of%20the,currently%20serving%20in%2013%20countries.

৩৯) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ

৪০) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ

৪১) রুবিয়াৎ সাইমাম, ‘বাংলাদেশ’স স্ট্র্যাটেজিক পিভট টু দি ইন্দো-প্যাসিফিক’

৪২) ‘বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক এইমস ফর ‘ফ্রেন্ডশিপ টুওয়ার্ডস অল’,’ ইনসাইট সাউথ এশিয়া, মে ০৫, ২০২৩, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.asiapacific.ca/sites/default/files/publication-pdf/Insight_SA_May05_V2.pdf

৪৩) মাইকেল কুগেলমান, ‘বাংলাদেশ টিল্টস টুওয়ার্ডস দি ইউএস ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক’, ফরেন পলিসি, মার্চ ৩০, ২০২৩,  https://foreignpolicy.com/2023/03/30/bangladesh-us-indo-pacific-strategy-china/

৪৪) মুবাশার হাসান, ‘বাংলাদেশি পিএম সুইংস থ্রু জাপান, ইউএস অ্যান্ড ইউকে’

৪৫) [45] Government of Bangladesh, “Country Wise Trade Balance for the period of 2015-2016 To 2019-2020,” Bangladesh Trade Portal, https://www.bangladeshtradeportal.gov.bd/index.php?r=site/display&id=1518

৪৬) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘কান্ট্রি ওয়াইজ ট্রেড ব্যালান্স ফর দ্য পিরিয়ড অব ২০১৫-২০১৬ টু ২০১৯-২০২০’

৪৭) বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ‘ফরেন ডিস্ট্রিক্ট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সটার্নাল ডেট’, স্ট্যা্টিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট, জানুয়ারি-জুন ২০২৩, ১৫, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.bb.org.bd/pub/halfyearly/fdisurvey/foreign%20direct%20investment%20and%20external%20debt.pdf

৪৮) বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ‘ইমপ্যাক্ট অব ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অন বাংলাদেশ’স ব্যালান্স অব পেমেন্টস- সাম পলিসি ইমপ্লিকেশনস’, বাই মুহম্মদ আমির হোসেন, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.bb.org.bd/pub/research/policynote/pn0805.pdf

৪৯) বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সটার্নাল ডেট’, [49] Bangladesh Bank, “Foreign Direct Investment and External Debt.”

৫০) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারওয়াইজ ডিসবার্সমেন্টস অব ফরেন এড ডিয়রিং ২০২০/২১’, ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশন,  https://erd.portal.gov.bd/site/page/7f192f96-1442-48b4-a947-2e09ce30ec54/Flow-of-External-Resources-2020-21

৫১) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারওয়াইজ ডিসবার্সমেন্টস অব ফরেন এড ডিয়রিং ২০২০/২১’

৫২) ডেভিড ব্রিউস্টার, ‘দ্য বে অব বেঙ্গল- দ্য স্ক্র্যাম্বল ফর কানেক্টিভিটি’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৪, https://www.aspistrategist.org.au/the-bay-of-bengal-the-scramble-for-connectivity/

৫৩) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারওয়াইজ ডিসবার্সমেন্টস অব ফরেন এড ডিয়রিং ২০২০/২১’, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://erd.portal.gov.bd/sites/default/files/files/erd.portal.gov.bd/page/8df16f3d_82f4_4137_9157_d25fc517716d/Tbl-2.1-2.3.pdf

৫৪) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারওয়াইজ ডিসবার্সমেন্টস অব ফরেন এড ডিয়রিং ২০২০/২১’

৫৫) ধ্রুব জয়শঙ্কর, ‘অস্ট্রেলিয়া আর্টিকুলেটস ইটস ইন্ডিয়ান ওশান প্রায়োরিটিজ’, দি ইন্টারপ্রেটার, জানুয়ারি ২১, ২০১৯, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/australia-articulates-its-indian-ocean-priorities

৫৬) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারওয়াইজ ডিসবার্সমেন্টস অব ফরেন এড ডিয়রিং ২০২০/২১’

৫৭) অনসূয়া বসু রায়চৌধুরী, প্রত্নশ্রী বসু, শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি এবং সোহিনী বোস, ইন্ডিয়া’স মেরিটাইম কানেক্টিভিটি- ইম্পর্ট্যান্স অব দ্য বে অব বেঙ্গল, কলকাতা, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মার্চ ২০১৮, https://www.orfonline.org/wp-content/uploads/2018/03/ORF_Maritime_Connectivity.pdf

৫৮) নব্য মুদুনুরি, ‘দ্য মালাক্কা ডিলেমা অ্যান্ড চাইনিজ অ্যাম্বিশনস- টু সাইডস অব আ কয়েন’, দ্য ডিপ্লোম্যাটিস্ট, জুলাই ০৭, ২০২২, https://diplomatist.com/2020/07/07/the-malacca-dilemma-and-chinese-ambitions-two-sides-of-a-coin/

৫৯) ‘ইউএস প্রোভাইডস ১.৫ মিলিয়ন ডলার ফর স্মার্ট গ্রিড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, https://www.tbsnews.net/bangladesh/energy/us-provides-15-million-smart-grid-development-bangladesh-369070

৬০) সইদ রাইহান আমির, ‘প্রস্পেক্টস অব বাংলাদেশ-জাপান কোঅপারেশন ইন দি এনার্জি সেক্টর’, মডার্ন ডিপ্লোমেসি, জুন ০৮, ২০২৩, https://moderndiplomacy.eu/2023/06/08/prospects-of-bangladesh-japan-cooperation-in-the-energy-sector/

৬১) খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ‘উইল ইট ইমপ্যাক্ট চায়না ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’স পাওয়ার সেক্টর?’ দ্য ডেইলি স্টার, অক্টোবর ০৩, ২০২১, https://www.thedailystar.net/business/economy/opinion/news/will-it-impact-china-investment-bangladeshs-power-sector-2189471

৬২) শাহনাজ বেগম, ‘চায়না দ্য ‘বিগেস্ট প্লেয়ার’ ইন বাংলাদেশ’স এনার্জি ট্রানজিশন’, দ্য থার্ড পোল, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, https://www.thethirdpole.net/en/energy/china-the-biggest-player-in-bangladeshs-energy-transition/

৬৩) সোহিনী বোস, ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অ্যাট ৫০- ডেলিবারেটিং আ মেরিটাইম ফিউচার’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মে ১১, ২০২২,  https://www.orfonline.org/expert-speak/bangladesh-australia-at-50#:~:text=A%20further%204.3%20million%20dollars,barriers%20to%20trade%20and%20investment.

৬৪) সোহিনী বোস, ‘পাওয়ার্ড বাই ডিজেল- পাইপলাইন স্ট্রেংদেনস ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ এনার্জি কানেক্টিভিটি’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, এপ্রিল ২৫, ২০২৩, http://20.244.136.131/expert-speak/powered-by-diesel

৬৫) ‘বাংলাদেশ পিএম শেখ হাসিনা টু ভিজিট ইন্ডিয়া ডিউরিং সেপ্টেম্বর ৫-৮’, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২, https://www.hindustantimes.com/india-news/bangladesh-pm-sheikh-hasina-to-visit-india-during-september-58-101662055475547.html

৬৬) ব্রহ্ম চেলানে, ‘চায়না’স সিল্কি ইন্ডিয়ান ওশান প্ল্যানস’, চায়না-ইউএস ফোকাস, মে ১১, ২০১৫, https://www.chinausfocus.com/finance-economy/chinas-silky-indian-ocean-plans

৬৭) ব্রহ্ম চেলানে, ‘চায়না’স সিল্কি ইন্ডিয়ান ওশান প্ল্যানস’

৬৮) শেষাদ্রি চারি, ‘চায়না’স আর্মস গেম উইথ বাংলাদেশ গেটিং ডেঞ্জারাস। বিএনএস শেখ হাসিনা ইজ জাস্ট আ স্টার্ট’, দ্য প্রিন্ট, এপ্রিল ০৭, ২০২৩, https://theprint.in/opinion/chinas-arms-game-with-bangladesh-getting-dangerous-bns-sheikh-hasina-is-just-a-start/1504404/

৬৯) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’, অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩, https://www.internationalaffairs.org.au/australianoutlook/current-trends-and-future-prospects-in-bangladesh-us-relations/

৭০) মহম্মদ শরিফুল ইসলাম, ‘হোয়াই ডাজ বাংলাদেশ ম্যাটার টু দি ইউনাইটেড স্টেটস?’ দ্য ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস, জুন ০৭,  ২০২৩, https://thefinancialexpress.com.bd/views/why-does-bangladesh-matter-to-the-united-states

৭১) মহম্মদ হিমেল রহমান, ‘আ বাডিং পার্টনারশিপ- দ্য গ্রোথ অব জাপানিজ-বাংলাদেশি পলিটিকো-স্ট্র্যাটেজিক টাইজ’, দ্য জিওপলিটিকস, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩, https://thegeopolitics.com/a-budding-partnership-the-growth-of-japanese-bangladeshi-politico-strategic-ties/

৭২) ডেভিড ব্রিউস্টার, ‘অস্ট্রেলিয়া’স সাপোর্ট ফর বাংলাদেশ উইল বোলস্টার রিজিওনাল স্টেবিলিটি’, দি ইন্টারপ্রেটার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩,  https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/australia-s-support-bangladesh-will-bolster-regional-stability

৭৩) ‘বাংলাদেশ পিএম শেখ হাসিনা সেজ ইন্ডিয়া ক্যান অ্যাকসেস চিটাগং পোর্ট টু এনহান্স কানেক্টিভিটি’, দি ইকোনমিক টাইমস, অগস্ট ২৯, ২০২২, https://economictimes.indiatimes.com/news/india/bangladesh-pm-sheikh-hasina-says-india-can-access-chittagong-port-to-enhance-connectivity/articleshow/91168933.cms

৭৪) পরিমল পালমা, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি- ইউএস ওয়ান্টস ঢাকা অন ইটস সাইড’, দ্য ডেইলি স্টার, অক্টোবর ১৭, ২০২০, https://www.thedailystar.net/frontpage/news/indo-pacific-strategy-us-wants-dhaka-its-side-1979329

৭৫) ‘বাংলাদেশ কেয়ারফুল অ্যাবাউট চাইনিজ লোনস, সেজ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড, মার্চ ২১, ২০২৩, https://www.ndtv.com/world-news/bangladesh-careful-about-chinese-loans-says-prime-minister-sheikh-hasina-3880585

৭৬) মুবাশার হাসান, ‘হোয়াট ইজ ড্রাইভিং চায়না-বাংলাদেশ বনহোমি?’ দ্য ডিপ্লোম্যাট, অক্টোবর ১৮, ২০২৩, https://thediplomat.com/2023/10/what-is-driving-china-bangladesh-bonhomie/

৭৭) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’

৭৮) গভর্নমেন্ট অব দি ইউএস, ‘বাইল্যাটেরাল ইকোনমিক রিলেশনস’, ইউএস এম্ব্যাসি ইন বাংলাদেশ, https://bd.usembassy.gov/our-relationship/policy-history/bilateral-economic-relations/

৭৯) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’

৮০) রাফায়েত উল্লা মির্ধা, ‘মউজ সাইনড উইথ জাপান ফর বাইল্যাটেরাল ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট’, দ্য ডেইলি স্টার, জুলাই ২৩, ২০২৩,

https://www.thedailystar.net/business/news/mous-signed-japan-bilateral-trade-investment-3376446

৮১) ‘দ্য ফিউচার অব দি ইন্দো-প্যাসিফিক’, জাপান’স নিউ প্ল্যান ফর আ ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’, মার্চ ২০, ২০২৩, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.mofa.go.jp/files/100477791.pdf

৮২) সৌমী সপ্তপর্ণা নাথ এবং মহম্মদ এস্তিয়াক হোসেন, ‘বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ- নিউ হরাইজনস ফর ডেভেলপমেন্ট’, সাউথ এশিয়ান ভয়েসেস, অগস্ট ২৫, ২০২৩, https://southasianvoices.org/bangladesh-japan-economic-partnership/

৮৩) গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ব্রিফ’, ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, https://www.dfat.gov.au/geo/bangladesh/bangladesh-country-brief

৮৪) বিনিতা জেকব, ‘ইন্ডিয়া স্টার্টস রুপি ট্রেড উইথ বাংলাদেশ, আফটার সিমিলার এগ্রিমেন্ট উইথ ইউএই’, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস, জুন ০৬, ২০২৩, https://www.ibtimes.com/india-starts-rupee-transactions-bangladesh-adding-global-trend-countries-sidestepping-us-dollar-3706620

৮৫) মুবাশার হাসান, ‘হোয়াট ইজ ড্রাইভিং চায়না-বাংলাদেশ বনহোমি?’ দ্য ডিপ্লোম্যাট, অক্টোবর ১৮, ২০২৩, https://thediplomat.com/2023/10/what-is-driving-china-bangladesh-bonhomie/

৮৬) সুতীর্থ পত্রনবিশ, ‘বাংলাদেশ’স পদ্মা ব্রিজ ইজ আ চাইনিজ সাকসেস স্টোরি, ক্লেমস মিডিয়া’, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস, জানুয়ারি ২৬, ২০২২, https://www.hindustantimes.com/world-news/bangladeshs-padma-bridge-is-a-chinese-success-story-claims-media-101656242081815.html

৮৭) আব্বাস উদ্দিন নয়ন, ‘হাউ চায়না’স বেল্ট অ্যান্ড রোড চ্যালেঞ্জিং বাংলাদেশ’স ইকোনমি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, অক্টোবর ০১, ২০২৩, https://www.tbsnews.net/economy/how-chinas-belt-and-road-changing-bangladeshs-infrastructures-709826

৮৮) গৌরব দত্ত, ‘জাপান অ্যান্ড দ্য বিগ-বি প্ল্যান ফর বাংলাদেশ- অ্যান অ্যাসেসমেন্ট’, ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশন, অক্টোবর ২১, ২০১৬, https://maritimeindia.org/japan-and-the-big-b-plan-for-bangladesh-an-assessment/

৮৯) ফুমিকো ইয়ামাদা, ‘হোয়াই ইজ জাপান এজিং ক্লোজার টু বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া?’ এলএসই, মে ২২, ২০২৩, https://blogs.lse.ac.uk/southasia/2023/05/22/why-is-japan-edging-closer-to-bangladesh-and-india/

৯০) মহম্মদ হিমেল রহমান, ‘আ বাডিং পার্টনারশিপ- দ্য গ্রোথ অব জাপানিজ-বাংলাদেশি পলিটিকো-স্ট্র্যাটেজিক টাইজ’, দ্য জিওপলিটিক্স, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩, https://thegeopolitics.com/a-budding-partnership-the-growth-of-japanese-bangladeshi-politico-strategic-ties/

৯১) আসিফ মুজতবা হাসান, ‘চায়না’স চার্ম অফেনসিভ ইন বাংলাদেশ’, ইস্ট এশিয়া ফোরাম, অক্টোবর ২১, ২০২১, https://www.eastasiaforum.org/2021/10/21/chinas-charm-offensive-in-bangladesh/

৯২) ফুমিকো ইয়ামাদা, ‘হোয়াই ইজ জাপান এজিং ক্লোজার টু বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া?’

৯৩) এসএআরআইসি, ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেটওয়ার্কস’, জুন ১৮, ২০২৩, https://www.sarictns.org/networking/enhancing-australia-bangladesh-infrastructure/

৯৪) ‘ম্যানেজমেন্ট অফ ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার’, সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম পোর্টাল, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.satp.org/satporgtp/countries/India/document/papers/BM_MAN-IN-BANG-270813.pdf

৯৫) ‘বাংলাদেশ পিএম শেখ হাসিনা সেজ ইন্ডিয়া ক্যান অ্যাকসেস চিটাগং পোর্ট টু এনহান্স কানেক্টিভিটি’, দি ইকোনমিক টাইমস, অগস্ট ২৯, ২০২২, https://economictimes.indiatimes.com/news/india/bangladesh-pm-sheikh-hasina-says-india-can-access-chittagong-port-to-enhance-connectivity/articleshow/91168933.cms

৯৬) সোহিনী বোস, ‘বাংলাদেশ’স সি পোর্টস- সিকিউরিং ডোমেস্টিক অ্যান্ড রিজিওনাল ইকোনমিক ইন্টারেস্টস’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন,  অকেশনাল পেপার নম্বর ৩৮৭, জানুয়ারি ২০২৩, ২২-২৩, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://images.hindustantimes.com/images/app-images/2023/1/ORF_OP_387_Bangladeshs_Seaports_ForUpload.pdf

৯৭) গভর্নমেন্ট অফ আমেরিকা, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি অব দি ইউনাইটেড স্টেটস’, দ্য হোয়াইট হাউস, ফেব্রুয়ারি ২০২২, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.whitehouse.gov/wp-content/uploads/2022/02/U.S.-Indo-Pacific-Strategy.pdf

৯৮) শেখ শারিয়ার জামান, ‘ইউএস ওয়ান্টস বাংলাদেশ টু জয়েন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’, দ্য ঢাকা ট্রিবিউন, জানুয়ারি ১১, ২০২৩, https://www.dhakatribune.com/bangladesh/foreign-affairs/302543/us-wants-bangladesh-to-join-indo-pacific-strategy

৯৯) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’

১০০) সোহিনী বোস, ‘ইলেকশনস ইন বাংলাদেশ- আ কেলাইডোস্কোপিক ওভারভিউ’

১০১) ‘পিএম হাসিনা- ইউএস ক্যান ওভারটার্ন পাওয়ার অফ এনি নেশন ইফ ইট ওয়ান্টস’, ঢাকা ট্রিবিউন, এপ্রিল ১০, ২০২৩, https://www.dhakatribune.com/bangladesh/308718/pm-hasina-us-can-overturn-power-of-any-nation-if

১০২) শাহাদাত হোসেন, ‘বাংলাদেশ’স জিওপলিটিক্যাল ব্যালান্সিং অ্যাক্ট’

১০৩) ‘চায়না, বাংলাদেশ শুড অপোজ পাওয়ারস ফ্রম আউটসাইড দ্য রিজিয়ন ফর্মিং ‘মিলিটারি অ্যালায়েন্স’ ইন সাউথ এশিয়া- চাইনিজ ডিফেন্স মিনিস্টার’, দি ইকোনমিক টাইমস, এপ্রিল ২৯, ২০২১, https://economictimes.indiatimes.com/news/defence/china-bangladesh-should-oppose-powers-from-outside-the-region-forming-military-alliance-in-south-asia-chinese-defence-minister/articleshow/82289339.cms

১০৪) ‘চায়না ওয়ার্নস অব ‘সাবস্ট্যানশিয়াল ড্যামেজ’ টু টাইজ ইফ বাংলাদেশ জয়েনস ইউ-লেড কোয়াড অ্যালায়েন্স; ঢাকা কলস ইট ‘অ্যাগ্রেসিভ’,’ দি ইকোনমিক টাইমস, মে ১১, ২০২১, https://economictimes.indiatimes.com/news/defence/china-threatens-bangladesh-says-ties-will-be-hit-if-it-joins-quad/articleshow/82544639.cms

১০৫) জুলিয়া হলিংসওয়র্থ, ‘দি ওয়ার্ল্ড’স বিগেস্ট ভ্যাকসিন মেকার ইজ স্টলিং অন এক্সপোর্টস। দ্যাট’স আ প্রবলেম ফর দ্য প্ল্যানেট’স মোস্ট ভালনারেবল’, সিএনএন, মে ২৫, ২০২১, https://edition.cnn.com/2021/05/25/asia/covax-india-serum-institute-intl-hnk-dst/index.html

১০৬) ইউনাইটেড নেশনস, ‘ফার্স্ট ইউএস ডোনেশনস অব কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস অ্যারাইভ ইন সাউথ এশিয়া ভায়া কোভ্যাক্স’, ইউনিসেফ জুলাই ০২, ২০২১, https://www.unicef.org/rosa/press-releases/first-us-donations-covid-19-vaccines-arrive-south-asia-covax#:~:text=DHAKA%20%2F%20ISLAMABAD%20%2F%20KATHMANDU%20%2F%20NEW,billion%20people%20still%20remain%20unvaccinated.

১০৭) ‘উই ডিসাইড আওয়ার ফরেন পলিসি’- বাংলাদেশ রিয়্যাক্টস টু চাইনিজ ওয়ার্নিং ওভার জয়েনিং কোয়াড, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, মে ১১, ২০২১, https://timesofindia.indiatimes.com/world/south-asia/we-decide-our-foreign-policy-bangladesh-reacts-to-chinese-warning-over-joining-quad/articleshow/82548632.cms

১০৮) মুবাশার হাসান, ‘হোয়াট ইজ ড্রাইভিং চায়না-বাংলাদেশ বনহোমি?’

১০৯) গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, ‘অস্ট্রেলিয়া’জ ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ উইথ বাংলাদেশ’, ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, https://www.dfat.gov.au/geo/bangladesh/development- assistance/development-assistance-in-bangladesh

১১০) ‘অস্ট্রেলিয়া ওয়ান্টস ফেয়ার, পার্টিসিপেটরি ন্যাশনাল পোলস ইন বাংলাদেশ- অ্যাম্বাস্যাডর’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নভেম্বর ২০, ২০২৩, https://www.tbsnews.net/bangladesh/australia-wants-fair-participatory-national-polls-bangladesh-ambassador-742866

১১১) ‘জাপান এনভয় ওন্ট কমেন্ট অন বাংলাদেশ ইলেকশন বিয়িং ‘অ্যান ইন্টারনাল ম্যাটার’, বিডি নিউজ ২৪, মে ০৩, ২০২৩, https://bdnews24.com/bangladesh/v165prlqnr

১১২) রেজাউল এইচ লস্কর, ‘টু মাচ প্রেশার মে ড্রাইভ বাংলাদেশ ক্লোজার টু চায়না, ইন্ডিয়া কশানড ইউএস’, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস, অগস্ট ২৮, ২০২৩, https://www.hindustantimes.com/india-news/india-warns-us-against-pressuring-bangladesh-on-elections-citing-extremist-threat-china-s-influence-101693229659884.html

১১৩) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’

১১৪) শফিকুল এলাহি, ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অ্যান্ড ফিউচার প্রস্পেক্টস ইন বাংলাদেশ-ইউএস রিলেশনস’

১১৫) মুবাশার হাসান, ‘বাংলাদেশি পিএম সুইংস থ্রু জাপান, ইউএস অ্যান্ড ইউকে’

১১৬) ‘অস্ট্রেলিয়া আইজ স্ট্রেনদেনিং ডিফেন্স কোঅপারেশন উইথ বাংলাদেশ টু প্রোমোট ‘ইনক্লুসিভ’ ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিয়ন’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, https://www.tbsnews.net/bangladesh/australia-eyes-strengthening-defence-cooperation-bangladesh-promote-inclusive-indo

১১৭) শেষাদ্রি চারি, ‘চায়না’স আর্মস গেম উইথ বাংলাদেশ গেটিং ডেঞ্জারাস। বিএনএস শেখ হাসিনা ইজ জাস্ট আ স্টার্ট’

১১৮) দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী, ‘ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ সাইন ফার্স্ট ডিফেন্স ডিল আন্ডার ৫০০ ডলার এলসি’, দি ইকোনমিক টাইমস, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২, https://economictimes.indiatimes.com/news/defence/india-bdesh-sign-first-defence-deal-under-500m-lc/articleshow/94059712.cms

১১৯) ‘ইন্ডিয়া রেডি টু হেল্প বাংলাদেশ উইথ ইটস ডিফেন্স মডার্নাইজেশন এফর্টস- এনভয়’, দি ইকোনমিক টাইমস, মার্চ ০৬, ২০২৩, https://economictimes.indiatimes.com/news/defence/india-ready-to-help-bangladesh-with-its-defence-modernisation-efforts-envoy/articleshow/98451035.cms

১২০) ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ রিঅ্যাফার্মড দেয়ার কমিটমেন্ট টু বোলস্টারিং ডিফেন্স কোঅপারেশন অ্যাট দ্য ফিফথ অ্যানুয়াল ডিফেন্স ডায়লগ’, লাইভ মিন্ট, অগস্ট ২৮, ২০২৩, https://www.livemint.com/news/india/india-and-bangladesh-boost-defence-ties-at-fifth-annual-dialogue-in-dhaka-11693223221750.html

১২১) গভর্নমেন্ট অব দি ইউএস, ‘ইউএস সিকিউরিটি কোঅপারেশন উইথ বাংলাদেশ’, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩, https://www.state.gov/u-s-security-cooperation-with-bangladesh/

১২২) গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ব্রিফ’

১২৩) গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, ‘অস্ট্রেলিয়া হেল্পিং রিডিউস দি ইমপ্যাক্টস অব ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ইন বাংলাদেশ, https://bangladesh.embassy.gov.au/daca/climate.html

১২৪) ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড, ডিসেন্বর ০৩, ২০২৩, https://www.imf.org/en/News/Articles/2023/12/03/bangladesh-launch-climate-development-platform-to-leverage-adaptation-and-mitigation-investments

১২৫) ‘দিল্লি, ঢাকা সাইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট মউ’, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, অগস্ট ১৯, ২০২১, https://indianexpress.com/article/india/delhi-dhaka-sign-disaster-management-mou-7460557/

১২৬) ‘হোয়াট মাইলস্টোনস হ্যাভ বাংলাদেশ ক্রসড ইন ফিফটি ইয়ার্স’, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন, মার্চ ২৬, ২০২১, https://cri.org.bd/2021/03/26/what-milestones-have-bangladesh-crossed-in-50-years/

১২৭) শ্রীরাধা দত্ত, ‘ঢাকাক্র্যাসি’, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন, জুন ০৪, ২০২৩, https://cgs-bd.com/article/15284/Dhakacracy

১২৮) আশরাফুল আলম চৌধুরী, ‘হোয়াট ডাজ আ নিউ আইএমএফ লোন মিন ফর বাংলাদেশ?’ দ্য ডিপ্লোম্যাট, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩, https://thediplomat.com/2023/02/what-does-a-new-imf-loan-mean-for-bangladesh/#:~:text=The%20nation%20is%20borrowing%20from,must%20implement%20the%20IMF's%20recommendations.

১২৯) এইচ ই ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন, ‘মেজারস টু এলিমিনেট ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম’, (স্টেটমেন্ট, প্লেনারি অব দ্য সিক্সথ কমিটি অব দ্য সেভেন্টিয়েথ ইউএনজিএ অন, নিউ ইয়র্ক, অক্টোবর ১২, ২০১৫), chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://www.un.org/en/ga/sixth/70/pdfs/statements/int_terrorism/bangladesh.pdf

১৩০) গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ, ‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট’, বাংলাদেশ পুলিশ, https://atu.police.gov.bd/message-from-igp/

১৩১) গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, অক্টোবর ০৫, ২০১৯, https://pib.gov.in/Pressreleaseshare.aspx?PRID=1587295

১৩২) সইদ তাশফিন চৌধুরি, ‘ভায়োলেন্ট বাংলাদেশ পোল ‘নট ক্রেডিবল’,’ আলজাজিরা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪, https://www.aljazeera.com/features/2014/1/7/violent-bangladesh-poll-not-credible

১৩৩) মাইকেল সাফি, অলিভার হোমস এবং রিদোয়ান আহমেদ, ‘বাংলাদেশ পিএম হাসিনা উইনস থাম্পিং ভিক্টরি ইন ইলেকশনস অপোজিশন রিজেক্ট অ্যাজ ‘ফার্সিক্যাল’,’ দ্য গার্ডিয়ান, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮, https://www.theguardian.com/world/2018/dec/30/bangladesh-election-polls-open-after-campaign-marred-by-violence.

১৩৪) ‘ফাইভ বাংলাদেশ অপোজিশন ফিগারস ডাই ইন প্রিজন- বিএনপি’, দি ইকোনমিক টাইমস, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, https://economictimes.indiatimes.com/news/international/world-news/five-bangladesh-opposition-figures-die-in-prison-bnp/articleshow/105880259.cms

১৩৫) জরিফ ফয়াজ, ‘ইন বাংলাদেশ, দ্য ওয়ার অন দ্য প্রেস রেজেস অন’, দ্য ডিপ্লোম্যাট, এপ্রিল ১৮, ২০২৩, https://thediplomat.com/2023/04/in-bangladesh-the-war-on-the-press-rages-on/

১৩৬) কমল আহমেদ, ‘ক্যান দ্য জুডিশিয়ারি বি ফ্রি ফ্রম পলিটিসাইজেশন?’, দ্য ডেইলি স্টার, অক্টোবর ১৩, ২০২৩, https://www.thedailystar.net/opinion/views/news/can-the-judiciary-be-free-politicisation-3442131

১৩৭) ‘বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট রিফিউজেস টু অ্যালাউ জেইলড অপোজিশন লিডার খালেদা জিয়া টু ট্রাভেল ফর মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট’, দি ওয়্যার, অক্টোবর ০৯, ২০২৩, https://thewire.in/south-asia/bangladesh-govt-refuses-to-allow-jailed-opposition-leader-khaleda-zia-to-travel-for-medical-treatment

১৩৮) প্রণয় শর্মা, ‘ইফ শেখ হাসিনা লুজেস জানুয়ারি ইলেকশন, বাংলাদেশ কুড ফেস প্রোলংড পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক ইনস্টেবিলিটি’, দ্য হিন্দু, অগস্ট ২০, ২০২৩, https://frontline.thehindu.com/world-affairs/sheikh-hasina-awami-league-us-china-january-election-bangladesh-terrorism-economic-south-asia/article67175717.ece

১৩৯) মাইকেল সাফি, অলিভার হোমস এবং রিদোয়ান আহমেদ, ‘বাংলাদেশ পিএম হাসিনা উইনস থাম্পিং ভিক্টরি ইন ইলেকশনস অপোজিশন রিজেক্ট অ্যাজ ফার্সিকাল’

১৪০) জাগলুল হায়দার, ‘দি চেঞ্জিং প্যাটার্নস অব বাংলাদেশ ফরেন পলিসি- আ কমপ্যারেটিভ স্টাডি অব দ্য মুজিব অ্যান্ড জিয়া রেজিমস (১৯৭১-১৯৮১)’, (পিএইচ ডি ডিসার্টেশন, থিসিস, ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটি, জুলাই ১৯৯৫), https://radar.auctr.edu/islandora/object/cau.td%3A1995_haider_zaglul.pdf

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.