এই প্রতিবেদনটি ‘রিইগনাইটেড অ্যাজেন্ডাস: ট্রাম্প’স রিটার্ন অ্যান্ড ইটস গ্লোবাল রিপারকেশন’ সিরিজের অংশ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা মার্কিন ইতিহাসের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে একটি বিরল ঘটনা। এর ফলে সঙ্কটের এক অনুভূতি চিনের কৌশলগত বৃত্তে জাঁকিয়ে বসেছে। চিনের সরকারি গণমাধ্যম মনোবল বাড়ানোর লক্ষ্যে ঘটনাপ্রবাহের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছে এবং শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছে। যাই হোক, ট্রাম্প ২.০ সম্পর্কে চিনে জনসাধারণের মনোভাব যেন অনেকটা এ রকম…‘ঝড় অবশ্যম্ভাবী... মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ট্রাম্প কি চিনের ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশের ব্যবহার’ নাকচ করা সংক্রান্ত তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন এবং চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্নকরণের প্রক্রিয়া তীব্র করতে চিনা পণ্যের উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন? বাণিজ্যমনস্ক ট্রাম্প কী ভাবে তাইওয়ান সমস্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন? কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ‘নিক্সন ২.০’(১) হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া কি পুনরায় সমঝোতা করবে এবং চিনের নিরাপত্তা বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক অবক্ষয় ঘটাবে? ট্রাম্পের নির্বাচনী সাফল্য কি সমগ্র ইউরোপে পুনরায় দক্ষিণপন্থীদের অভ্যুত্থান ঘটাবে? ঠান্ডা লড়াই যুগের ‘রিগান থ্যাচার রাজনৈতিক সমন্বয়’(২)-এর কি পুনরাবৃত্তি ঘটবে? এই সব প্রশ্নই চিনা রাজনৈতিক বৃত্তে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
চিন তার শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করবে, লড়াই থেকে পিছু হঠবে না এবং চিনকে আক্রমণকারী ট্রাম্পের নীতির কার্যকর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ট্রাম্প ২.০-র সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চিনা কৌশল – যেমনটা লিউ হং (সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং যিনি ‘নিউ তানকিন’ ছদ্মনামে লেখালিখি করেন) দর্শিয়েছেন - সম্ভবত ত্রিমুখী হতে চলেছে। প্রথমত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যথাযথ সৌজন্য ও সম্মানের সঙ্গে আচরণ করা। তাঁর জয়ের পর তাঁকে অভিনন্দন জানানো, বারংবার ফোন করা, তাঁর প্রশংসা করা, প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাঁকে সামগ্রিক ভাবে খুশি রাখার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তাই এ কথা আশ্চর্যের নয় যে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর চিনই তাঁকে প্রথম অভিনন্দন জানায় এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মার্কিন জনগণের পছন্দের প্রতি সম্মান জানান। দ্বিতীয়ত, চিন তার শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করবে, লড়াই থেকে পিছু হঠবে না এবং চিনকে আক্রমণকারী ট্রাম্পের নীতির কার্যকর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তৃতীয়ত, বেজিং সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালাবে এবং সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের জন্যও প্রস্তুত থাকবে। অর্থাৎ চিন এই চাপকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করবে-- অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও তার অর্থনীতিকে উদ্ভাবন-চালিত অর্থনীতিতে রূপান্তর করার প্রচেষ্টা চালাবে।
ইতিমধ্যে, হুয়াং জিং (সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক) বলেছেন, চিন তার নিজস্ব কৌশলগত বলয়কে আগামিদিনে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য মার্কিন রাজনীতির নিম্নলিখিত পাঁচটি বিষয়ের উপর গভীর মনোযোগ দেবে।
প্রথমত, চিন বিভিন্ন কারণে ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন দল, বিশেষ করে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জে ডি ভ্যান্সের উপর নিবিড় নজর রাখবে:
ক. ভ্যান্স বেশ অল্পবয়সী, ট্রাম্পের দুই ছেলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং এমনকি ২০২৮ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও হতে পারেন। কিছু চিনা পর্যবেক্ষক এমনকি বিশ্বাস করেন যে, এই উচ্চ মর্যাদার ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ২০২৫ সাল-পরবর্তী সময়ে হোয়াইট হাউসে আধিপত্য বিস্তার করবেন।
খ. চিনের উপর শুল্ক বৃদ্ধি সংক্রান্ত ট্রাম্পের নীতি, তাইওয়ান প্রণালীতে সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সহায়তা করার বিষয়ে তাঁর মতামত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দ্রুত যুদ্ধবিরতি অর্জনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের প্রতি ভ্যান্সের প্রকাশ্য সমর্থন চিনা পক্ষকে শঙ্কিত করেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, ভ্যান্স তাঁর উপন্যাস ‘হিলবিলি এলিজি’র সুর বজায় রেখে ‘সমস্যা জর্জরিত চিনা উদ্যোগ’কে আরও সমস্যার মুখে ফেলবেন এবং ট্রাম্প ১.০-র তুলনায় চিনের বিরুদ্ধে আরও বেশি আক্রমণাত্মক প্রচারের নেতৃত্ব দিতে পারেন।
গ. এ দিকে বেশ কিছু চিনা পর্যবেক্ষক মনে করেন যে, ট্রাম্প এবং ভ্যান্সের মধ্যে বয়সের ফারাক এবং শাসনের শৈলীর পার্থক্য এমন এক জটিল যুগলবন্দি তৈরি করেছে, যা মার্কিন ইতিহাসে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। তাঁরা উভয়ই কী ভাবে স্পষ্ট ভাবে এবং বৈপরীত্য বজায় রেখে ভবিষ্যতে একে অপরের সঙ্গে কাজ করবেন, তার উপর সকলের নজর থাকবে।
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, চিন শুধুমাত্র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তাই পাঠায়নি, বরং নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের কাছেও বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, চিনা কৌশলগত সম্প্রদায় একটি সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির উপর গভীর মনোযোগ দিচ্ছে – যেটিকে তাঁরা ‘কেনেডি ফেনোমেনন’ বলে অভিহিত করেন - এবং এটি আগামিদিনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ নেওয়ার আগে মার্কিন রাজনৈতিক পরিসরে ঘটতে পারে। গত চার বছরে রিপাবলিকান পার্টি কী ভাবে ‘ট্রাম্পিফায়েড’ হয়েছে বা ট্রাম্পের কাছে হার মেনেছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যে চিনা ইন্টারনেট ভরে গিয়েছে। চিন এখন এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে, ‘ট্রাম্প নিয়ন্ত্রিত রিপাবলিকান পার্টি’ হোয়াইট হাউস, সেনেট, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এর অর্থ হল এই যে, ট্রাম্প ২.০ আসলে ট্রাম্প ১.০-র চেয়ে অনেক বেশি নির্মম হতে চলেছে এবং এই প্রশাসন আইন প্রণয়ন ও বিচারবিভাগীয় শাখার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে, যার ফলে এই প্রশাসনের কর্মীদের নিয়োগ, নীতি এবং বৈদেশিক সামরিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকবে। কিছু অনলাইন ভাষ্যকাররা ট্রাম্পকে অন্তত আগামী দুই বছরের জন্য নতুন সিজার বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, ট্রাম্পেরও সিজারের মতোই পরিণতি হবে এবং নতুন রোমান প্রজাতন্ত্র (অর্থাৎ ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা) শেষ পর্যন্ত নতুন রোমান সাম্রাজ্যে পরিণত হবে।
একই ভাবে চিন রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার উপর সতর্ক নজর রাখছে, বিশেষ করে কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য ফাটলের উপরে।
একই ভাবে চিন রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার উপর সতর্ক নজর রাখছে, বিশেষ করে কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য ফাটলের উপরে। চিনারা বিশ্বাস করেন যে, এটি ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন দল ও তাঁর ভবিষ্যৎ নীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, নিকি হ্যালি এবং মার্ক পম্পেওকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক বর্জন চিনা কৌশলগত পরিসরের মধ্যে বেশ গুঞ্জন সৃষ্টি করেছিল, যেখানে অনুমান করা হয়েছিল যে, ট্রাম্প ২.০-তে দ্বিধাগ্রস্ত ‘দর্শক’ বা ‘বিরোধিতাকারীদের’ সহ্য করা হবে না। এবং নতুন মন্ত্রিসভা হবে অত্যন্ত রক্ষণশীল ও অনুগত আস্থাভাজনদের সমন্বয়ে গঠিত, যাঁরা ট্রাম্পের র্যাডিক্যাল নীতির পুরোপুরি সমর্থন ও প্রচার করবেন। যাই হোক, চিন বিশ্বাস করে যে, ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী শৈলী রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বিভাজন বাড়িয়ে তুলবে, রাজনৈতিক অস্থিরতাকে তীব্রতর করবে এবং আগামী চার বছরে রাস্তার বিক্ষোভ, সহিংস দ্বন্দ্ব ও আন্তঃদলীয় সংগ্রাম নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠবে।
চতুর্থত, চিন ট্রাম্পের প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলি (যেমন জার্মানি এবং ফ্রান্স), নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের প্রতিক্রিয়ার উপর নিবিড় নজর রাখছে। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ও সংশ্লিষ্ট অনিশ্চয়তাকে কেন্দ্র করে মার্কিন মিত্রদের গভীর উদ্বেগ নিয়ে চিনা গণমাধ্যমে অনেক আলোচনা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে, ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিগুলি চিন ও জার্মানির মতো কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের গভীরতাকে উন্নীত করতে পারে, বাণিজ্য ঝুঁকি বহুমুখীকরণ এবং রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের চিনা বাজারের উপর আরও নির্ভরশীল করে তুলতে পারে। ইতিমধ্যে ট্রাম্পের ন্যাটোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার বিরোধিতা এবং বাইডেনের ‘চিনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইউরোপের সঙ্গে একত্রিত হওয়া’র কৌশলের সম্ভাব্য পরিত্যাগ, ইইউকে ‘ইউরোপীয় কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’ পুনরায় অনুসরণ করতে এবং প্রতিরক্ষা, কূটনীতি এবং অর্থনীতির মতো চিনের স্বার্থের জন্য অনুকূল ক্ষেত্রগুলিতে ইউরোপের নিজস্ব স্বাধীনতা বাড়াতে বাধ্য করবে।
এটি যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে, ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিগুলি চিন ও জার্মানির মতো কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের গভীরতাকে উন্নীত করতে পারে, বাণিজ্য ঝুঁকি বহুমুখীকরণ এবং রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের চিনা বাজারের উপর আরও নির্ভরশীল করে তুলতে পারে।
পঞ্চমত, চিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিক্রিয়ার উপর নিবিড় নজর রাখছে অর্থাৎ দলটি যৌক্তিক ভাবে ব্যর্থতাকে মেনে নেয় কি না এবং কী ভাবে দলটি অভ্যন্তরীণ ভাবে পুনর্গঠিত হতে পারে। প্রথমত, ডেমোক্র্যাটরা কী ভাবে ২০২৬ সালের মিড টার্ম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবে এবং দ্বিতীয়ত, যদি তারা প্রাক্তন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডোকে কেন্দ্র করে নতুন শক্তি গড়ে তুলতে পারে, তা হলে ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাইমন্ডোকে দাঁড় করাতে পারবে।
সবশেষে, এ কথা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, অবশ্যম্ভাবী ঝড়ের জন্য প্রস্তুত চিন এখন মরিয়া হয়ে ‘অধিক বন্ধু এবং কম শত্রু’র পথে হাঁটতে চাইছে এবং একই সঙ্গে ভারত-সহ অনেক দেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক উন্নত করার আশা করছে। সম্প্রতি চিন-ভারত সীমান্ত টহল চুক্তি সংক্রান্ত নিষ্পত্তি সম্ভবত এই লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ট্রাম্প ২.০-র প্রতিক্রিয়া স্বরূপ চিন কী ভাবে তার বন্ধুদের বৃত্ত সম্প্রসারণ এবং সংহত করতে পারে, তা লক্ষ্যণীয় হবে।
অন্তরা ঘোষাল সিং নয়াদিল্লির অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
১) ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় চিন-মার্কিন সম্পর্কের বোঝাপড়া এবং সেই সময়ে নিক্সনের আকস্মিক চিনা সফরের কথা বলা হচ্ছে।
২) সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে রিগানের সঙ্গে ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচারের সমন্বয়ের কথা বলা হচ্ছে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.