Author : Soumya Awasthi

Published on May 21, 2025 Updated 0 Hours ago

অনলাইনে মৌলবাদের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির সময় অস্ট্রেলিয়ার ২০২৫ সালের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলটি হিংস্র চরমপন্থী হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এআই-চালিত নজরদারি, কঠোর এনক্রিপশন আইন ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি একত্রিত করে।

অস্ট্রেলিয়ার নতুন সন্ত্রাস-বিরোধী কৌশলের সাইবার নিরাপত্তা স্তম্ভের বিশ্লেষণ

দেশের তরুণদের মধ্যে অনলাইনে মৌলবাদের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্ট্যালিজেন্স অর্গানাইজেশন (এএসআইও)-এর মহাপরিচালক মাইক বার্গেস সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ক্যানবেরায় তাঁর বার্ষিক মূল্যায়ন বক্তৃতায় বার্গেস মন্তব্য করেছেন যে এটি এএসআইও-কে জাতীয় সন্ত্রাসবাদের হুমকির স্তর 'সম্ভবপর' (‌পসিবল)‌ থেকে 'সম্ভাব্য' (‌প্রব্যাবল)‌করতে বাধ্য করেছে। সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে এমন কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতার মধ্যে রয়েছে একক আক্রমণ, অনলাইন মৌলবাদ, অতি-দক্ষিণপন্থী চরমপন্থার পুনরুত্থান, এবং বিদেশের যোদ্ধাদের ফিরে আসার বিষয়ে উদ্বেগ।


অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ ও হিংসাত্মক চরমপন্থা-‌বিরোধী কৌশল ২০২৫ সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-চালিত নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি প্রক্রিয়া একত্রিত করে আধুনিক সন্ত্রাসবাদী হুমকি মোকাবিলার জন্য একটি নীলনকশা প্রদান করে।



যখন সাইবারস্পেস ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও চরমপন্থী কার্যকলাপের জন্য একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, সেই সময় ডিজিটাল মৌলবাদ, এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগ এবং সাইবার-অর্থায়নকৃত সন্ত্রাসবাদের নতুন বাস্তবতা মোকাবিলা করার জন্য সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশলগুলিকে ক্রমবিকশিত হতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ ও হিংসাত্মক চরমপন্থা-‌বিরোধী কৌশল ২০২৫ সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-চালিত নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি প্রক্রিয়া একত্রিত করে আধুনিক সন্ত্রাসবাদী হুমকি মোকাবিলার জন্য একটি নীলনকশা প্রদান করে। ক্যানবেরা ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ব্যবহার করে, কঠোর এনক্রিপশন আইন পরিচালনা করে, এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে চায়।

ডিজিটাল হুমকির পটভূমি: সাইবার নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের সংমিশ্রণ

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্রমপ্রসার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি চরমপন্থী বিষয়বস্তুর প্রচারের জন্য উর্বর ভূমি তৈরি করেছে। এই বিষয়বস্তু এখন আর ডার্ক ওয়েবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং সোশ্যাল মিডিয়া,
গেমিং প্ল্যাটফর্ম, এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবা এবং সর্বজনীনভাবে প্রাপ্তিযোগ্য ফোরাম-‌সহ মূলধারার প্ল্যাটফর্মগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনাগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ানের ব্যবহৃত
অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে অনুপ্রবেশ। যুবসমাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে, তাদের লালন-পালন করতে এবং তাদের মৌলবাদী করে তুলতে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে ইন-গেম চ্যাটরুম ও গেমিং-সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া স্পেসগুলি — যেমন ডিসকর্ড, স্টিম ও টুইচ — ব্যবহার করছে । তদুপরি, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালগরিদমগুলি র‌্যাডিকাল উপাদানের পরিবর্ধক হিসাবে কাজ করে চলেছে, এবং এইভাবে প্রতিধ্বনি চেম্বার তৈরি করছে এবং চরমপন্থী আখ্যানের সংস্পর্শ বৃদ্ধি করছে।


যুবসমাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে, তাদের লালন-পালন করতে এবং তাদের মৌলবাদী করে তুলতে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে ইন-গেম চ্যাটরুম ও গেমিং-সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া স্পেসগুলি — যেমন ডিসকর্ড, স্টিম ও টুইচ — ব্যবহার করছে।



যদিও অস্ট্রেলিয়া সাম্প্রতিক কোনও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেনি, তবুও অস্ট্রেলিয়ার সংস্থাগুলির উপর আদর্শগতভাবে অনুপ্রাণিত সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সরকার স্বীকার করে।
সাইবারসিএক্সের ডিজিটাল ফরেনসিকস অ্যান্ড ইনসিডেন্ট রেসপন্স ২০২৫ রিপোর্ট অনুসারে, সাইবারস্পেস সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির জন্য নিয়োগ, মৌলবাদীকরণ, প্রশিক্ষণ, তহবিল সংগ্রহ, যোগাযোগ, জনসাধারণের ধারণা প্রভাবিত করা এবং পরিকল্পনা পরিচালনার জন্য একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে, যা এটিকে তাদের কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ করে তুলেছে।

 
এআই-চালিত ভুল তথ্য ও ডিপফেক প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা দৃশ্যপটের জন্য অন্যান্য চ্যালেঞ্জও তৈরি করে। চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি জনসাধারণের ধারণাকে প্রভাবিত করতে এবং হিংসা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এআই সরঞ্জাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগতকৃত ডিপফেক ভিডিও ও ডিজিটাল প্রচারণা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, ডিপফেক ও এআই-উৎপাদিত পর্নোগ্রাফি, এবং তার সঙ্গে টেলিগ্রামে ধর্ষণের বিষয়বস্তু বিতরণকারী বটগুলি, ডার্ক-নেট প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা হচ্ছে তহবিল জোগাড় করা, লক্ষ্যবস্তু গোষ্ঠীগুলিকে অমানবিক করে তোলা, এবং মৌলবাদীকরণ ও নিয়োগ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে হিংস্রতাকে উৎসাহিত করার জন্য ।

অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ দমন পদ্ধতি: জাতীয় নিরাপত্তার একটি স্তম্ভ হিসাবে সাইবার নিরাপত্তা

ডিজিটাল সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া একটি বহুমুখী পদ্ধতির বাস্তবায়ন করেছে — শক্তিশালী আইন প্রণয়ন সরঞ্জাম, শিল্প অংশীদারদের পারস্পরিক দায়িত্ব, রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ, বিষয়বস্তু সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, আর্থিক গোয়েন্দাগিরি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা — যা আধুনিক চরমপন্থাকে একটি তরল, ডিজিটাল ঘটনা হিসেবে প্রতিফলিত করে।

এক্সট্রিমিজম ইনসাইটস অনুসারে, স্বরাষ্ট্র বিভাগ ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৭,২৯৫টি হিংসাত্মক চরমপন্থী বিষয়বস্তু এবং ৯০,৬৮৪টি অনন্য অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায়, ২০২২ সালে, অস্ট্রেলিয়া সরকার গেমিং সেফটি টুলকিট তৈরির জন্য মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করে, যা পিতামাতা, যত্নপ্রদানকারী এবং গেমিং সম্প্রদায়কে বয়স-নির্দিষ্ট পরামর্শ প্রদানে সহায়তা করে।

সন্ত্রাসবাদ ও হিংসাত্মক চরমপন্থা প্রতিরোধ কৌশল ২০২৫ এএসআইও, অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি), অস্ট্রেলিয়ান সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার, এবং ফাইভ আইজ ইনট্যালিজেন্স-শেয়ারিং নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি বহু-সংস্থা পদ্ধতি এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ব্যবহার করে।

অস্ট্রেলিয়া সরকার একটি আইনভিত্তিক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে যা অনলাইন চরমপন্থা মোকাবিলা করতে পারে। সন্ত্রাসবিরোধী বিধি সংশোধন (ঘৃণা প্রতীক নিষিদ্ধকরণ  এবং অন্যান্য ব্যবস্থা) আইন ২০২৩ নতুন কিছু বিষয়কে
ফৌজদারি অপরাধের আওতায় এনেছে, যেমন অনলাইনে বা মৌখিকভাবে হিংসাত্মক চরমপন্থী উপাদান রাখা বা বিতরণ করা। এই আইনগত প্রচেষ্টার পরিপূরক হল অনলাইন নিরাপত্তা আইন ২০২১, যা ই-নিরাপত্তা কমিশনারকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্চ ইঞ্জিন, অ্যাপ স্টোর এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সন্ত্রাসবাদ, হিংস্রতা বা চরমপন্থী মতাদর্শ প্রচারকারী সামগ্রী অপসারণ, তালিকা থেকে বাদ দেওয়া বা অ্যাক্সেস ব্লক করার ক্ষমতা প্রদান করে। এই ক্ষমতা নিশ্চিত করে যে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং কার্যকরী সরঞ্জাম রয়েছে, যাতে অনলাইনে বিপজ্জনক সামগ্রী প্রকাশিত হলে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা যায়। ২০১৯ সালে, অস্ট্রেলিয়া তার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব সংশোধন (নাগরিকত্ব বাতিল) বিল (২০০৭) সংশোধন করে সরকারকে সন্ত্রাসবাদে জড়িত দ্বৈত নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করার অনুমতি দেয়।

অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী পদ্ধতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল এর কঠোর এনক্রিপশন আইন, যা
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগের অ্যাক্সেস প্রদান করতে বাধ্য করার ক্ষমতা প্রদান করে। টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য আইন সংশোধন (সহায়তা ও প্রবেশাধিকার) আইন ২০১৮ সরকারের নজরদারি ক্ষমতা প্রসারিত করেছে, যার ফলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সন্দেহভাজন যোগাযোগ আটকাতে, ডিক্রিপ্ট করতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।


অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী পদ্ধতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল এর কঠোর এনক্রিপশন আইন, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগের অ্যাক্সেস প্রদান করতে বাধ্য করার ক্ষমতা প্রদান করে।



অস্ট্রেলিয়ার লেনদেন প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষণ কেন্দ্র (অসট্র‌্যাক) সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং এবং কাউন্টার-টেররিজম ফাইন্যান্সিং ব্যবস্থার অধীনে অসট্র‌্যাক নিশ্চিত করে যে নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলি সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থায়ন করা থেকে বিরত থাকবে । এই কাঠামোকে আরও উন্নত করার জন্য,  অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কাউন্টার-টেররিজম ফাইন্যান্সিং অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪ অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে ২৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে পাস করা হয়েছিল, যা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স দ্বারা নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চলতি প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

অস্ত্র, জাল পরিচয়পত্র, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রয় ও ক্রয়, এবং সাইবার আক্রমণ সরঞ্জামের মতো অবৈধ পণ্যের বাজার হিসাবে ডার্ক ওয়েব কাজ করে, যা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সক্ষম করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি আরেকটি চ্যালেঞ্জ, কারণ বিটকয়েন ও মোনেরো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে কোনও আর্থিক পদচিহ্ন না রেখে তাদের কার্যকলাপে অর্থায়ন করার অনুমতি দেয়। এটি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে এএইপি একটি মার্কিন কোম্পানি চেনঅ্যানালাইসিসের সঙ্গে সহযোগিতা করে অপারেশন স্পিনকাস্টার পরিচালনা করে, যা সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য ব্লকচেন লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। ২০২৪ সালের সংশোধনী বিলটি অস্ট্রেলিয়ার আইনগুলিকে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানগুলির সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে, যার মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সির অপব্যবহারও অন্তর্ভুক্ত।

চ্যালেঞ্জ

অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কৌশল উন্নত নজরদারি, এআই-চালিত হুমকি মূল্যায়ন এবং বায়োমেট্রিক রিপোর্টিং বৃদ্ধি করেছে, যাতে চরমপন্থীদের খুঁজে বার করা যায়, যা জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। তবে, গণ নজরদারি, অ্যালগরিদমিক পক্ষপাত, বর্ণগত প্রোফাইলিং এবং ডিজিটাল গোপনীয়তার ক্ষয় নিয়ে
উদ্বেগ রয়ে গেছে। সন্ত্রাসবাদী নেটওয়র্কগুলির অভিযোজনযোগ্যতা — এনক্রিপ্ট করা প্ল্যাটফর্ম, বিকেন্দ্রীভূত যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তি ব্যবহার — ক্রমাগত প্রচলিত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির চেয়েও বেশি থাকছে। এই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল দৃশ্যপটের জন্য উদ্ভাবন, সতর্ক তদারকি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এবং নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করে যে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রচেষ্টা অসাবধানতাবশত বাকস্বাধীনতাকে পরাভূত করবে না বা বৈধ রাজনৈতিক আলোচনাকে চরমপন্থী কার্যকলাপ হিসাবে ভুল করবে না।

ভারতের জন্য শিক্ষা

ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবুও, উগ্রবাদের প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার পদ্ধতিগত কর্ম পরিকল্পনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সাইবারস্পেস ও উদীয়মান প্রযুক্তির শোষণ মোকাবিলায় আরও ঐক্যবদ্ধ পদ্ধতি গ্রহণ করে এটি উপকৃত হতে পারে।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পর এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগ অ্যাক্সেস করার জন্য স্পষ্ট আইনি কাঠামো সহযোগিতা বাধ্যতামূলক করা উচিত। সংস্থাগুলি এবং অন্য সমমনস্ক অংশীদারদের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি শক্তিশালী করার ফলে আন্তঃসীমান্ত ‌বিপদের ট্র্যাকিং উন্নত হবে।


প্রতিরোধ, সমন্বিত গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থিতিশীল পরিকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত একটি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী কাঠামো তৈরি করতে পারে, যা ব্যক্তিগত অধিকারের সঙ্গে নিরাপত্তার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রেখে একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তোলে।



যদিও ভারতে ইতিমধ্যেই একটি উগ্রবাদমুক্তকরণ এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি রয়েছে, তবুও এটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের পুনরায় সংহত করার জন্য মানসিক সহায়তা, ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে সাইবার পুনর্বাসন কর্মসূচিও প্রতিষ্ঠা করতে পারে। প্রতিরোধ, সমন্বিত গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থিতিশীল পরিকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত একটি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী কাঠামো তৈরি করতে পারে, যা ব্যক্তিগত অধিকারের সঙ্গে নিরাপত্তার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রেখে একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তোলে।

উপসংহার

অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ ও হিংসাত্মক চরমপন্থা-‌বিরোধী কৌশল ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে পরিশীলিত এবং গোয়েন্দা-চালিত সন্ত্রাসবাদ-‌বিরোধী পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে। তবে, গণ নজরদারি, এআই-ভিত্তিক হুমকি সনাক্তকরণ, এবং কঠোর এনক্রিপশন আইনের উপর এর নির্ভরতা জটিল নৈতিক ও আইনি বিতর্ক উত্থাপন করে। ডিজিটাল হুমকি নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার ভারসাম্য বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সাইবার র‍্যাডিকালাইজেশনের ক্ষেত্রে একই ধরনের বাধার সম্মুখীন ভারত কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য এবং ত্রুটিগুলি থেকে শিক্ষা নিতে পারে, দ্রুত বিকশিত ডিজিটাল হুমকির যুগে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যবস্থাগুলিকে শক্তিশালী,  নৈতিক এবং ভবিষ্যৎ-রোধী হিসেবে নিশ্চিত করতে পারে।



সৌম্য অবস্থি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Soumya Awasthi

Soumya Awasthi

Dr Soumya Awasthi is Fellow, Centre for Security, Strategy and Technology at the Observer Research Foundation. Her work focuses on the intersection of technology and national ...

Read More +